সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতের বিচারক তামজিদ আহম্মেদ এ নির্দেশ দেন। রোববার রাতে তাঁকে ঢাকার মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। 

রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দার বাসিন্দা কাজী কেরামত আলী জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। দীর্ঘদিন তিনি এই কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯২ সালের উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাজী কেরামত আলী। পরবর্তীতে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হন। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর এক বছর ওই পদে ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত বছরের ৩০ আগস্ট রাজীব মোল্লা নামের শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১৭০ জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলার দুই নম্বর আসামি কাজী কেরামত আলী। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকেই পলাতক ছিলেন। সোমবার সকালে ঢাকা থেকে রাজবাড়ী আনা হলে তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

রাজবাড়ী আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রাজ্জাকের ভাষ্য, শিক্ষার্থী রাজীবের করা মামলার ২ নম্বর আসামি কাজী কেরামত আলী। তিনি হুকুমের আসামি। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সোমবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউএনও কামাল হোসেনের বেতনবৃদ্ধি দুই বছরের জন্য স্থগিত

সরকারের অনুমতি ছাড়া জমি কেনায় নওগাঁর আত্রাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনের বেতনবৃদ্ধি দুই বছরের জন্য স্থগিত করে লঘুদণ্ড দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে, তিনি খুলনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ছিলেন।

এ সময় তার বিরুদ্ধে তার মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে পিতা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি গ্রহণ ও চাকরিতে যোগদানকালে ওই মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করা, নিজ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন এবং সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া জমি কেনার অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা হয়।

মামলার তদন্তে নিজের মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে পিতা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি প্রাপ্তি ও চাকরিতে যোগদানের সময় ওই মিথ্যা পরিচয় ব্যবহারের অভিযোগ, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জনের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু নিজের জেলা কুষ্টিয়ায় জমি কেনার ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন না নিয়ে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ লঙ্ঘনের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

তাই শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী কামাল হোসেনকে দুই বছরের জন্য বার্ষিক বেতনবৃদ্ধি স্থগিত রাখা নামের লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হ‌য়ে‌ছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের ক্যান্সারে আক্রান্ত আয়ুষ্মানের স্ত্রী তাহিরা
  • ইউএনও কামাল হোসেনের বেতনবৃদ্ধি দুই বছরের জন্য স্থগিত
  • ছোটদের ইংরেজি শেখান যিনি