টেকনাফে অপহৃত দুজনকে উদ্ধার করা যায়নি, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
Published: 7th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবনিয়া এলাকার একটি বসতবাড়ি থেকে গত শনিবার রাতে অপহৃত দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা যায়নি। তাঁদের মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন অপহরণকারীরা।
অপহৃত দুজন হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা এলাকার বাসিন্দা নুর কামাল (৫০) ও রঙ্গিখালী এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে বেলাল উদ্দিন (১৮)। তাঁরা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
অপহৃত নুর কামালের স্ত্রী তৈয়বা বেগম বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে স্বামী নুর কামাল ও ভাতিজা বেলালকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় ৫ জনের একটি পাহাড়ি সন্ত্রাসী দল। এরপর গতকাল রোববার বিকেলে তাঁকে ফোন করে দুজনের মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ না দিলে দুজনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফের বাহারছড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, দুজনকে অপহরণের বিষয়টি জানার পরপরই পুলিশকে অবহিত করা হয়। তবে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত অপহৃত দুজন উদ্ধার হননি।
জানতে চাইলে বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক শুভ রঞ্জন সাহা বলেন, ‘অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। এরপরও পুলিশের উদ্ধার অভিযান চলছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপহ ত দ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে দুই নেতার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল
চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তাকে চাঁদার দাবিতে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। শফিউল আলম নামের অপহরণের শিকার ওই ব্যক্তিকে অবশ্য ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। শফিউল পোশাক কারখানা আজিম গ্রুপের সিনিয়র সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার বিসিক শিল্প এলাকায় নিজের কর্মস্থলের সামনে থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনার জন্য চান্দগাঁও থানা যুবদলের এক নেতা ও এক ছাত্রদল নেতাকে অভিযুক্ত করা হলেও ভুক্তভোগীর করা মামলায় কেবল চান্দগাঁও থানা যুবদলের এক নেতাকে আসামি করা হয়েছে। যুবদলের ওই নেতার নাম মো. সোহেল। এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অভিযুক্ত দুই নেতার বিষয়ে জেনেও চুপ থাকায় নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলমের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে সাইফুল আলমকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে অফিস থেকে বেরিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে শফিউল আলমকে টেনেহিঁচড়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করা হয়। সেখান থেকে চান্দগাঁও থানাধীন সিঅ্যান্ডবি টেকবাজার রেললাইনের সামনে নামিয়ে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় নিয়ে যান অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা ভুক্তভোগীকে মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন থানা-পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আধঘণ্টার মধ্যে শফিউল আলমকে উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুবদল নেতা সোহেল ও ছাত্রদল নেতা আলফাজের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই-বাছাই করে তদন্ত করতে একটু সময় লাগছে। এ জন্য কেন্দ্র থেকে আমাকে শোকজ করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ আধঘণ্টার মধ্যে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।