বগুড়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
Published: 7th, April 2025 GMT
বগুড়ায় দুই সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে বগুড়া শহরের কলোনি, বনানী ও গণ্ডগ্রাম গ্রাম এলাকা থেকে ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি ধারালো বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় অস্ত্র আইনে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ছাড়া হামলার শিকার এক সাংবাদিক বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ১০ জনকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন শাজাহানপুর উপজেলার গণ্ডগ্রাম দক্ষিণপাড়ার আবদুল মতিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২২), একই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৫), গণ্ডগ্রাম নতুনপাড়ার হারুনুর রশিদের ছেলে তারিকুল ইসলাম (২২), একই এলাকার জিন্নাহ খানের ছেলে জিসান খান (২১), গণ্ডগ্রাম সারিয়াকান্দিপাড়ার মৃত মিলন হোসেনের ছেলে জিহাদ (২০) ও বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার বটতলা এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে টুটুল (২০)।
গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় জেলখানা মোড়ে একটি জুস বারে দুই সাংবাদিকসহ তিনজন মারধরের শিকার হন।
আহত দুই সাংবাদিক হলেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং অনলাইন পোর্টাল বগুড়া লাইভের স্টাফ করেসপনডেন্ট আসাফুদৌলা (নিয়ন)। তাঁরা বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁদের সঙ্গে থাকা তৌফিকুল ইসলামকেও মারধর করা হয়েছিল।
বগুড়া জেলা ডিবির পরিদর্শক ইকবাল বাহার প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ছয়জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা কয়েকজন জুস বারে জুসের অর্ডার করেছিলেন। কিন্ত সাংবাদিকেরা জুস বারে এসে আগে আগে জুস চান। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ইকবাল বাহার আরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের দলনেতা রকিবুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ ছয়টি মামলা বিচারাধীন। বার্মিজ চাকু উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে শাজাহানপুর থানায় ডিবি বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে।
হামলার শিকার সাংবাদিক খোরশেদ আলম বলেন, তাঁদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ বেলা তিনটার দিকে বগুড়া সদর থানায় সাংবাদিক আসাফুদৌলা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এতে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের রাবার বাগান এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে অটোরিকশায় থাকা সকল যাত্রী ও চালকসহ মোট ছয়জনের মৃত্যু হলো।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে চারজন নিহত হয়। গুরুতর আহত রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ার ডাবুয়া মংশি মারমার মেয়ে মিনু মারমাকে (৩৫) চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার জে কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অন্য নিহতরা হলেন, চট্টগ্রামের রাউজানের কাজীপাড়ার সোয়ার আলীর ছেলে আবু তোরাব (৪৫), রাঙামাটির কাউখালীর তালুকদার পাড়ার আব্দুর রহিমের মেয়ে নূর নাহার (৪০), চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মিরহাটের মাহাবুবুর রহমান বাচ্ছু (৫৫), চট্টগ্রামের রাউজানের মো. জয়নাল আবেদীন (৬৩) ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারির মৃত গুলজারের ছেলে ইজাদুল (২৫)। ইজাদুল অটেরিকশার চালক ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়।
আরো পড়ুন:
দ্রুতগতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো ২ শিক্ষার্থীর প্রাণ
২৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে খিলক্ষেত-কুড়িল সড়ক
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেতবুনিয়ার মনারটেক এলাকায় রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে সিএনজি অটোরিকশা (চট্র মেট্রো থ ১১-৯১৭৩) ও বিপরীতদিক আসা পিকআপ ভ্যানের (চট্ট মেট্রো ন ১১-৬৪৯২) মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর পিকআপ ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, নিহত ছয়জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে।
ঢাকা/শংকর/বকুল