ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় তানজানিয়ার এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল রোববার রাতে সীমান্তের পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই নারীর নাম তিজাইব্রাহিমু আমিনা শাবান (৩২)। তিনি তানজানিয়ার নায়মাঙ্গানা প্রদেশের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

বিজিবি জানায়, পরশুরামের নিজকালিকাপুর বিওপির টহল দল সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিজ কালিকাপুর সীমান্ত দিয়ে তিউনেশিয়ার ওই নাগরিক বাংলাদেশ অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পূর্ব নিজকালিকাপুর মজুমদার বাড়ির মসজিদের সামনে তাঁকে আটক করা হয়। তল্লাশি করে তাঁর কাছে তানজানিয়ার পাসপোর্ট পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের কোনো ভিসা বা ভ্রমণনথি পাওয়া যায়নি।

বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানান, তিনি অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের সহায়তায় নিজকালিকাপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভিসা ছাড়াই ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে পরশুরাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, বিজিবির অভিযানে আটক হওয়া তানজানিয়ার নাগরিকের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

এর আগে গত ২২ মার্চ সোমালিয়ার একজন নাগরিক, ১৯ মার্চ নাইজেরিয়ার একজনকে আটক করা হয়েছে। গত এক বছরে নিজকালিকাপুর ও বিলোনিয়া সীমান্ত থেকে ৯ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব শ র পরশ র ম

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে হামলা

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পাকিস্তানের হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়েছে। হাইকমিশনের বাইরে শত শত ভারতীয় বিক্ষোভকারীর প্রতিবাদ সমাবেশের পর এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এই ঘটনায় দোষীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হামলার সময় হাইকমিশনের জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলা হয় এবং ভবনের বাইরের দেয়াল ও ফলকে গেরুয়া রঙের পেইন্ট নিক্ষেপ করা হয়। এতে চতুর্দিকে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ঘটনার পর হাইকমিশনের চারপাশে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং দোষীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ লন্ডনে হাইকমিশনে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি “নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য” তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনে পাকিস্তান নিজেও তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

বিক্ষোভের সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই ব্যক্তিকে সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি, পাকিস্তান সমর্থকরাও পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

সম্প্রতি ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারতের ২৬ নাগরিক নিহত হওয়ার ওই ঘটনার পর নয়াদিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য পাকিস্তানি আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ