পরীক্ষার কক্ষে তোমার করণীয় ৭টি টিপস
Published: 7th, April 2025 GMT
কোনো দুশ্চিন্তা নয়
পরীক্ষার কক্ষে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করবে। দুশ্চিন্তা ভালো পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। অনেক শিক্ষার্থী অতিরিক্ত টেনশনের কারণে অনেক জানা প্রশ্নের উত্তরও সঠিকভাবে করতে পারে না। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর প্রশ্নপত্রে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর যা করবে
প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর পুরো প্রশ্নটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে। কোনো প্রশ্ন আংশিক পরিবর্তন করে দেওয়া হলো কি না, তা খেয়াল রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র দেখে মনে মনে পুরো পরীক্ষার পরিকল্পনা করবে। তুমি কীভাবে শুরু করবে এবং কীভাবে শেষ করবে, তার ছক করে নিলে পরীক্ষা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
সময় বণ্টন করে নাও
প্রশ্নের মান অর্থাৎ নম্বর অনুযায়ী কতটুকু লিখতে হবে, তা নির্ধারণ করেই লেখা শুরু করতে হবে। শুরুর প্রশ্নগুলো যতটা সম্ভব ভালো করে দেওয়া উচিত, তবে তা হতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। একটি রচনামূলক প্রশ্নের বা সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য সাধারণত ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময়ের মধ্যে লেখা শেষ করতে হবে।
প্রশ্ন নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ
যেসব প্রশ্নের উত্তর ভালো জানা আছে, সেগুলো আগে লেখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। পরীক্ষক যখন খাতা মূল্যায়ন করবেন, তখন শুরুতেই লেখার মান ভালো দেখলে শিক্ষার্থীর প্রতি ইতিবাচক ধারণা পাবেন। এতে ওই বিষয়ে ভালো নম্বর পাওয়া সহজ হবে। তুলনামূলক সহজ ও জানা প্রশ্নের উত্তর পর্যায়ক্রমে লেখাই ভালো।
উত্তরপত্র পরিচ্ছন্ন হতে হবে
পরীক্ষার খাতায় ওভাররাইটিং, কাটাছেঁড়া, অস্পষ্ট লেখা পরিহার করতে হবে। লেখায় কোনো ভুল হলে এক টানে কেটে দিতে হবে।
লেখার ভাষা সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল হওয়া উচিত। গণিত,ভূগোল, জীববিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন চিহ্ন ও চিত্র স্পষ্ট করে আকঁবে। একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হলে পরের পৃষ্ঠায় প্রশ্নের উত্তর শুরু করবে। এ ছাড়া প্রশ্নের উত্তরে ধারাবাহিকতা ভালো ফলের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
লেখা অযথা বড় করবে না
বেশি লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়, এটি একটি ভুল ধারণা। অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক লিখে উত্তর বড় করবে না । অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লিখে খাতা ভরলে সময় নষ্ট হবে, বেশি নম্বর কিন্তু পাওয়া যাবে না। অনেকেই কয়েক লাইনে এক পৃষ্ঠা শেষ করে পরবর্তী পৃষ্ঠায় লেখা শুরু করে। এতে পরীক্ষকরা বিরক্ত হন। মনে রেখো, প্রাসঙ্গিক ও যথাযথ উত্তরেই কিন্তু বেশি নম্বর পাওয়া যায়।
লেখার শেষে রিভিশন
পরীক্ষার শেষে খাতা রিভিশনের জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় রাখবে। এ সময় সবার আগে লক্ষ করবে প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরপত্রে লেখা ক্রমিকের মিল আছে কি না। প্রশ্নের কোনো অংশের ক্রমিকও (যেমন ‘ক’ বা ‘খ’) ঠিকমতো লেখা হয়েছে কি না, দেখতে হবে। ক্রমিক নম্বর ভুল হলে কিন্তু পরীক্ষক নম্বর দেওয়ার জন্য প্রশ্ন ও উত্তরের মধ্যে মিল পাবে না। এ ছাড়া কোথাও কোনো ভুল আছে কি না বা কোনো প্রশ্ন বাদ পড়ল কি না, মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫: একনজরে নম্বর বণ্টন ও সময় বিভাজন
দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন ও সময় বিভাজন করা হয়েছে। এটি নির্ধারণ ও ঘোষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ২০২৫ সালের প্রত্যেক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই এই নম্বর বণ্টন ও সময় বিভাজনটি জেনে রাখা ও মেনে চলা দরকার।
বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে
৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (MCQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (CQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
আরও পড়ুনঈদের ছুটিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা যা যা করতে পারে২৮ মার্চ ২০২৫ব্যবহারিক বিষয়সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে
ব্যবহারিক বিষয়সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী অংশের জন্য ২৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে।
যে ৯টি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা আছে
পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), রসায়ন (তত্ত্বীয়), জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়), গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), কৃষিশিক্ষা (তত্ত্বীয়), সংগীত (তত্ত্বীয়), শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) এবং চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়)।
MCQ ও CQ–এর মাঝে বিরতি
পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। অর্থাৎ, MCQ ও CQ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
আরও পড়ুনইংরেজি ১ম পত্রে বেশি নম্বর কীভাবে পাবে ২৬ মার্চ ২০২৫সকালের পরীক্ষাক। সকাল ১০: ০০টা থেকে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে-
১. সকাল ০৯: ৩০ মিনিট অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী OMR শিট বিতরণ;
২. সকাল ১০: ০০টা বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ;
৩. সকাল ১০: ৩০ মিনিট সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ ও বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র (OMR শিট) সংগ্রহ (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০: ২৫ মিনিট)।
বিকেলের পরীক্ষাখ। বেলা ২: ০০টা থেকে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে-
১. বেলা ০১: ৩০ মিনিট অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী OMR শিট বিতরণ;
২. বেলা ০২: ০০টা বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ;
৩. বেলা ০২: ৩০ মিনিট সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ ও বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র (OMR শিট) সংগ্রহ (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ০২: ২৫ মিনিট)।