সিনেমাটির মাধ্যমে ক্যারিয়ারের অপূরণীয় একটা শখ পূরণ হয়েছে: প্রিন্স মাহমুদ
Published: 7th, April 2025 GMT
প্রিন্স মাহমুদ। আগোগোড়া গানের মানুষ। নব্বইয়ের দশকে অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। গত বছরের ঈদে তাঁর করা প্রিয়তমা সিনেমার ঈশ্বর ও রাজকুমার ছবির বরবাদ গান তুমুলভাবে আলোচনায় আসে। এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘জংলি’ সিনেমার সবগুলো গান করেছেন তিনি। গান তৈরির নানা গল্প নিয়েই কথা তাঁর সঙ্গে...
‘প্রিয়তমা’ সিনেমার ঈশ্বর ও রাজকুমার সিনেমার বরবাদ গানের পর এবার ঈদের জংলি সিনেমার সবগুলো গানই আপনার। অভিজ্ঞতা কেমন?
হ্যাঁ, ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমার সবগুলো গানই আমার করা। এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা সত্যিই আনন্দের মুগ্ধতার। গানগুলো করার সুবাদে আমিও জংলি টিমের একজন সদস্য হয়ে গেছি। সিনেমাটা একটা তরুণ টিম করেছে। এই টিমের সঙ্গে হলে হলেও ঘুরছি। ভালো লাগছে।
কিন্তু জংলি ছবির গানগুলো তো ঈশ্বর ও বরবাদের মতো এতটা আলোচিত হয়নি.
..
সব গান একই রকম আলোচিত হবে, সেটা ভাবা যাবে না। ঈশ্বর ও বরবাদ গান এক রকম জংলির গান আরেক রকম। জংলির গানগুলো রোমান্টিক। ডুয়েট পারফর্ম। এ গানগুলো স্লো মোশনে এগোবে। গানগুলো আজ থেকে ২০ বছর পর আরও জনপ্রিয়তা পাবে। আমার গানের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
সিনেমার গানগুলোতে নব্বইয়ের দশকের একটা ফ্লেভার রেখেছেন বলেছিলেন। সেটা কেন?
জংলি টিমের সবাই বেশ তরুণ। ওদের কাছে সম্ভবত নব্বইয়ের দশক বেশ আগ্রহের জায়গা। এই সিনেমার সিয়াম বুবলীর লিপসে ‘বন্ধু গো শোনো...’ যে গান সেটি কিন্তু নতুন করিনি। এই গানটি আমার করা ১৫-১৬ বছর আগে। একটা ছবির জন্য গানটি করেছিলাম। ছবিতে মেহজাবীন ও শুভ ছিল। ওই গানের একটা লাইন থেকে এ গানটি আবার নতুন করে করি। যেহেতু জংলি ছবি দেশীয় গল্প। গানটির মধ্যে জংলি টিম ৯০-এর দশকের একটা ফ্লেভার চাইছিল। আমিও সেটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। গানটির সঙ্গে ভিজ্যুয়ালও অসাধারণ হয়েছে। দেখবেন, এই গানটি ধীরে ধীরে মানুষের মনে গেঁথে যাবে।
প্রিয়তমা ও রাজকুমারের পর শুধু ‘জংলি’ সিনেমার গান নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন?
হ্যাঁ, ‘জংলি’ সিনেমার কাজ করার জন্য এমন এমন ছবির কাজ ছেড়ে দিয়েছি, যা অনেকে কল্পনাও করতে পারবে না। আমি আবার একটা কাজে ঢুকে গেলে অনেক বড় বড় কাজ হলেও সেটাতে যাই না। সেটা আমাকে যারা চেনেন বা জানেন তারা জানেন। ৯০ দশক থেকে ২৫ সাল পর্যন্ত যত গান বা অ্যালবাম করেছি, তখন একটা অ্যালবামের গান করার সময় আমি অন্য অ্যালবামের কাজ করিনি। মূলত আমি যে কাজটি করি সে কাজের দিকেই মনোযোগী থাকি। এ ছাড়াও এ ছবির মাধ্যমে আমার দীর্ঘদিনের একটা শখ পূরণ হয়েছে। ফলে ছবিটির গানগুলো করার প্রতি আমার অন্যরকম আনন্দ ছিল।
সে আনন্দটা কেমন?
একটা বিষয় বলি, আমি অনেক গান করেছি। কিন্তু সিনেমার জন্য ডুয়েট গান করা হয়নি। সিনেমায় নায়ক-নায়িকারা ডুয়েট গানে ঠোঁট মেলাচ্ছে, এটা আমার কাছে অনেকটাই স্বপ্নের মতো। ছোটবেলা থেকে এটা দেখে দেখেই তো বড় হয়েছি। আমার অনেক ফ্রেন্ডরা এমন গান করেছে, এমনটি আমার যারা সহকারী আছে, তারাও অনেকে সিনেমার ডুয়েট গান করে ফেলেছে। কিন্তু আমার করা হয়নি। প্রিয়তমা ছবির যে ঈশ্বর গানটি দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে গেছে, সে গানটিও শাকিব খানের লিপে ছিল না। ছবির পেছনে বেজেছে। যাই হোক, যখন ঈশ্বর গানটা করছিলাম তখনই এম রাহিম আর সিয়াম আমার কাছে আসে। ওরা আমাকে সবগুলো গান করার অফার করল। সেখানে ডুয়েট গানও থাকবে। আমি কল্পনা করা শুরু করেছি। রাজ্জাক-কবরী, জাফর ইকবাল-ববিতার ঠোঁটে যে গান উঠত বিষয়টি আমার রিকল হতে শুরু করে। তখনই মনে হলো ছবিটির জন্য এমন কিছু গান করব যে গানগুলো আজ থেকে ২০ বছর পরও মানুষ শুনবে। সেটাই করার চেষ্টা করেছি।
নতুন কোনো গানের খবর আছে?
আমি তো গানের মানুষ। গান ছাড়া আমার কাছে কোনো খবর নেই। নতুন গানের অনেক খবরই আছে। তবে আপাতত সেগুলোর কিছুই বলার মতো অপশনে নেই। এখন তো হলে হলে জংলি নিয়ে ঘুরছি। আমরা ছোটবেলায় যেমন দেখতাম সিনেমা দেখতে পুরো পরিবার আসে। পরিবারের বাচ্চাদের নিয়ে আসতেন। এবার সিনেমা হলে ঘুরে ঘুরে তেমন দৃশ্যই চোখে পড়ছে। ‘জংলি’ সিনেমাটি সবাই পরিবার নিয়ে এসে দেখছেন। তাদের বাচ্চাদের দেখাচ্ছেন। এটা আমার জন্য নস্টালজিক দৃশ্য। এটাই উপভোগ করছি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম প র য়তম গ ন কর আম র ক র জন য বরব দ র একট র দশক সবগ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আবেদ আলীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ফ্ল্যাট-বাড়িসহ জমি জব্দ
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অবসরপ্রাপ্ত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের একটি ছয় তলা বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাটসহ ৮ দশমিক ৮৮ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার নামে থাকা ১৩ ব্যাংক হিসাব ও একটি গাড়ি অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
জব্দ হওয়া বাড়িটি রাজধানীর মিরপুরের পীরের বাগ এলাকা রয়েছে। এছাড়া এক হাজার ১০০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকায় রয়েছে। বাড়ি, ফ্ল্যাট ও ৮ দশমিক ৮৮ বিঘা জমির মূল্য ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯৭ টাকা। তার গাড়ির মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবে ৬৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে ২ ইউএনওসহ সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
বর পক্ষকে উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, থানায় মামলা
এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আল আমিন এসব সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, আবেদ আলীর নামে স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। আবেদ আলীর নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সৈয়দ আবেদ আলীর নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গত বছরের ৮ জুলাই আবেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। গত ৫ জানুয়ারি পাঁচ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন ছাড়াও প্রায় ৪৫ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে আবেদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ঢাকা/মামুন/এসবি