গাজার জন্য 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল' কর্মসূচির ডাক এলো কোথা থেকে?
Published: 7th, April 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে চলছে বিক্ষোভ। 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল' কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে পালন করা হচ্ছে সাধারণ ধর্মঘট। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই কর্মসূচি কোথা থেকে শুরু হলো, তা জানেন না অনেকেই।
শনিবার (৫ এপ্রিল) প্রথম এই কর্মসূচির আহ্বান করা হয় 'ট্রান্সলেটিং ফালাস্তিন' নামের একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে। একাউন্টটি সাধারণত গাজায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কনটেন্ট পোস্ট করে থাকে। শনিবার তারা একটি ছবি পোস্ট করে যাতে ফিলিস্তিনের পতাকাসহ লেখা থাকে "দ্য ওয়ার্লড স্টপস ফর গাজা। নো ওয়ার্ক। নো স্কুল। আনটিল দ্য জেনোসাইড স্টপস।'
৭ এপ্রিল সাধারণ ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট করা হয় ইংরেজি এবং আরবি দুই ভাষাতেই। পৌনে চার লাখ ফলোয়ারের এই ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে দ্রুতই ছড়িয়ে যায় এই ধর্মঘটের আহ্বান। সংহতি জানিয়ে সেই পোস্টের কমেন্টে অনেকেই জানান, তারা নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবেন এবং কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশেও 'দ্য ওয়ার্লড স্টপস ফর গাজা' কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে সোমবার তাদের কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ এবং মিছিল করছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
গাজার জন্য 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল' কর্মসূচিটি অবশ্য একেবারেই নতুন নয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর ওই বছরই ১১ ডিসেম্বর এমন একটি ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাপী এই ধর্মঘটের মূলমন্ত্র ছিল 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল, নো শপিং।' শুধু ক্লাস বা অফিস বর্জন নয়, সেদিন কোনোরকম কেনাকাটাও করতে নিরুৎসাহিত করা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নিতে হলে সেদিন অফলাইন বা অনলাইনে কোনো কেনাকাটা করা যাবে না, নিজের ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করা যাবে না, ফেইসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ডিএক্টিভেট করতে হবে, এবং 'স্ট্রাইকফরগাজা' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে টুইটারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
মার্সেলের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারী অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মার্সেলের প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন গাজীপুর সদর থানার ভবানীপুরে প্রতিষ্ঠানটির ডিস্ট্রিবিউটর পুষ্প ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা। বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারীর গ্রেপ্তার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্সেলের সৎ এবং ভালো ডিস্ট্রিবিউটররা।
সূত্র জানায়, দেশব্যাপী কয়েক সহস্রাধিক ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী দামে সেরা মানের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দ্রুত ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে মার্সেল ব্র্যান্ড। ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে প্রতি বছরই বাড়ছে মার্সেল পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি। এতে করে ব্যবসায়ীকভাবে লাভবানও হচ্ছেন মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটররা। তবে কতিপয় অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক কোটি কোটি টাকার পণ্য বাকিতে নিয়ে অর্থ পরিশোধ না করায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মার্সেল। শুধু তাই নয়; বাকিতে নেয়া পণ্যের টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে অসাধু ডিস্ট্রিউিটর কর্তৃক কোম্পানির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোর প্রচেষ্টায় মার্সেল ব্র্যান্ডের সুনামও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক আন্ডার রেটে পণ্য বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হন মার্সেলের সৎ এবং ভালো ডিস্ট্রিবিউটররা।
উল্লেখ্য, অর্থ আত্মসাতের কূটকৌশল হিসেবে অজয় কুমার সাহাসহ আরো একজন ডিস্ট্রিবিউটর গাজীপুর জেলায় সংশ্লিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নালিশী মামলা দায়ের করলে আদালত শুনানি নিয়ে অভিযোগের ভিত্তি নাই মর্মে মামলা দুটিকে খারিজ করে দেন।
আরো পড়ুন:
মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন কুষ্টিয়ার মিঠুন
প্রথমবারের মতো ইয়েমেনে এসি রপ্তানি করল মার্সেল
দীর্ঘদিন ধরে অসাধু ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ এবং নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন মার্সেলের সৎ ডিস্ট্রিবিউটররা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় অসাধু ডিস্ট্রিউিটরকে আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মার্সেল।
মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মার্সেলের কাছ থেকে বাকিতে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য নেন গাজীপুর সদরের ভবানীপুরে মার্সেলের পরিবেশক ‘পুষ্প ইলেকট্রনিক্স’ এর সত্ত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উক্ত অর্থ পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে গত ২৬ মার্চ, ২০২৫ কালিয়াকৈর থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়। মামলা নম্বর-৫৩। উক্ত মামলায় গত ৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন অজয় সাহা।
ঢাকা/এস/এসবি