যুবদল নেতা হত্যা মামলায় সাবেক এমপি আফজাল ৭ দিনের রিমান্ডে
Published: 7th, April 2025 GMT
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফজাল হোসেনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২৩ মার্চ মধ্যরাতে মেহেরপুর পৌর শহরের সরকারি কলেজ মোড়ের তাহের ক্লিনিক পাড়ার মামুন হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আফজাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৫ মার্চ তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর ফেরদৌস আলম। তবে, মূল নথি না থাকায় ওই দিন রিমান্ড শুনানি হয়নি। তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
সোমবার রিমান্ড শুনানিকালে এমপি আফজালকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী মো.
পল্টন মডেল থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর রোকনুজ্জামান রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। এ মহাসমাবেশ পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ইউপি সদস্য বোরহান মোল্লা মারা গেছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিহত বোরহান মোল্লা মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার চরব্রাহ্মনদী এলাকার মান্নান মোল্লার ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চরব্রাহ্মনদী এলাকার শিমুল সরদারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল ঝাউদি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বোরহান মোল্লার। ব্যক্তিগত কাজ শেষে গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ইজিবাইকে করে শহরের পুরানবাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বোরহান মোল্লা। শহরের চৌরাস্তা এলাকায় আসলে তার ওপর হামলা চালায় শিমুল সরদার ও তার লোকজন। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বোরহান মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা বোরহান মোল্লাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরো পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলনে চোখ হারানো কিশোরকে কুপিয়ে জখম
কক্সবাজারে কেএফসি ও পিৎজা হাটসহ ৫ রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর
অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসক। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় মারা যায় বোরহান মোল্লা।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, “ইউপি সদস্য বোরহান মোল্লা নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।”
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ