ছোট পর্দার পাশাপাশি নন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিম চলচ্চিত্রেও বেশ ব্যস্ত। গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে এ অভিনেতার সিনেমা ‘চক্কর’। শরাফ আহমেদ জীবন পরিচালিত ওই সিনেমায় তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ‘চক্কর’ মুক্তির রেশ কাটতে না কাটতেই মোশাররফ করিম অভিনীত নতুন আরও একটি সিনেমার নাম জানা গেল।

নূর ইমরান মিঠুর ‘কুরকাব’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমার একদিনের দৃশ্যধারণ বাকি আছে বলে জানালেন নির্মাতা। অনেকটা গোপনেই হয়েছে এর শুটিং। সিনেমায় একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন মীর রাব্বি। এ ছাড়া বেশির ভাগ নতুন শিল্পীরাই অভিনয় করেছেন। 

বড় পর্দা ও ওটিটিতে ব্যস্ততা বাড়লেও যে কোনো উৎসব আয়োজনে হাজির হন ছোট পর্দায়। গেল ঈদে ছোট পর্দায় ছিল তাঁর সরব উপস্থিতি। বেশ কয়েকটি নাটক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।   

এদিকে মোশাররফ করিম অভিনীত ‘বিলডাকিনি’ মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে পয়লা বৈশাখে। নির্মাতা ফজলুল কবির তুহিন জানান, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিলডাকিনি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর আগে কয়েকবার তারিখ ঠিক করেও মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নির্মাতা। সবশেষ গত ২৪ জানুয়ারি মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটি।

নির্মাতা তুহিন বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত জানুয়ারিতে মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলাম। আমাদের এখানে প্রতি ঈদের সময় হলে দর্শকের সমাগম দেখা যায়। বন্ধ থাকা হলগুলোও খোলা হয়। সেই রেশ থাকতেই বৈশাখ উপলক্ষে দর্শকের সামনে বিলডাকিনি নিয়ে আসতে চাই।’

নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের উপন্যাস ‘বিলডাকিনি’ অবলম্বনে একই নামে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। এর দৃশ্যধারণ হয়েছে শুটিং নওগাঁর প্রতিসর, নাটোর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কারাগারে। চিরায়ত বাংলার রূপ মানুষ দেখতে পাবে এই ছবিতে এবং একই সঙ্গে মানুষের চিরায়ত দুঃখও দেখতে পাবে। যেখানে মানুষের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রণার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার অনুপ্রেরণা মিশে গেছে। এতে উঠে আসবে নারীশক্তি ও মাতৃত্বের স্বাধীনতার গল্প। এমনটিই জানিয়েছেন নির্মাতা।

সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। বিলডাকিনিতে মোশাররফ করিম আছেন মানিক মাঝি চরিত্রে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীতে বিজেপি-তৃণমূলের মিছিল

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমী উপলক্ষে আজ রোববার মিছিল বের হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টিসহ (বিজেপি) বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের উদ্যোগে এই মিছিল হয়। এদিকে এ উপলক্ষে মিছিল বের করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।

রামের জন্মদিন উপলক্ষে এই রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র হাতে, বিশাল বিশাল সাউন্ড বক্স বাজিয়ে জয়ধ্বনি করে রামভক্তদের হাঁটতে ও নাচতে দেখা যায়। কয়েক জায়গায় পুলিশ মিছিল আটকালে বিজেপির রাজনৈতিক নেতাসহ ভক্তরা পথে বসে পড়েন।

তৃণমূল কংগ্রেসও এদিন পাল্টা পথে নেমেছে। তাঁদের নেতা-নেত্রীরাও রামনবমী পালন করতে পথে নেমেছেন। দলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামনবমী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা বলেন, তাঁরা বিজেপির মতো অস্ত্র নিয়ে নয়, অস্ত্র ছাড়া রামের পূজা করছেন।

হুগলি জেলার তৃণমূলের সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি উপোস করে পথে মিছিল করতে নেমেছি। ওদের দিকে (বিজেপি) একজনও কেউ দেখাতে পারবেন যে উপোস করে নেমেছেন? আমরা পূজা করি পূজার মতো করে। ওদের মতো বাঁদরামি করি না।’

বীরভূমের সংসদ সদস্য অভিনেত্রী শতাব্দী রায় বলেন, ‘বিদ্বেষ ভুলে, পারস্পরিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে আমরা পথে নেমেছি। আমরা সীতা-রামকে মানি অর্থাৎ রামের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী সীতাকেও আমরা মানি। তাঁকে ভুলে গেলে হবে না। আর আমরা মনে করি যে অস্ত্র ছাড়াই ভগবানকে ডাকা সম্ভব, আমরা সেটাই করি।’

এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম অঞ্চলে একটি নতুন রামমন্দিরের শিলান্যাস করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ চলছে জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিন্দুবিরোধী রাজনীতির বিরুদ্ধে আজ হিন্দু ঝড় উঠেছে, রাম হিন্দুদের ভগবান। আর আজ হিন্দুরা পীড়িত, সে কারণেই আজ এখানে আমরা সমাবেশ করলাম। রামমন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করলাম, কারণ এখানে অনেক হিন্দু শহীদ হয়েছেন।’

কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এদিন প্রথমবার বেশ বড় করে রামনবমী পালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগে এদিন পূজা হয়।

তবে হুগলির কেষ্টপুর অঞ্চলে বিজেপির সাবেক সংসদ সদস্য লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। হাওড়া জেলায় ১৬টি মিছিল এদিন বেরোনোর কথা, যার কয়েকটি ইতিমধ্যেই বেরিয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘অঞ্জনি পুত্র সেনা’ নামের একটি হিন্দু সংগঠন। মিছিল ঘিরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মালদায় স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ রামভক্তদের মিষ্টি খাওয়ান। সেখানকার বিজেপির সংসদ সদস্য খগেন মুর্মুকেও মিষ্টিমুখ করান মুসলমান বাসিন্দারা। মুর্মু বলেন, এটাই বাংলার ঐতিহ্য, যেখানে সবাই মিলেমিশে থাকেন।

শহরের কেন্দ্রে অবস্থান চাকরিহারা ব্যক্তিদের

অন্যদিকে কলকাতায় ধর্মতলা অঞ্চলেও বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশে বসেছেন কয়েক হাজার মানুষ। এরা সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে চাকরি হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে আজ কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ বিক্ষোভ ও মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে।

শহীদ মিনারে আজ অবস্থান শুরু করেছেন বেশ কয়েক হাজার চাকরি হারানো মানুষ। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার স্কুলশিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি গেছে। চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল।

আগামীকাল সোমবার শহরের নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা ব্যক্তিদের বড় সমাবেশ আছে। সেখানে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চাকরি হারানো মানুষদের কথা শুনবেন বলে আগেই জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্চ মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড করেছে নগদ
  • পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ আরোপিত সংস্কৃতি: মৎস্য উপদেষ্টা
  • বউমেলায় বেশির ভাগ ক্রেতা নারী
  • পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীতে বিজেপি-তৃণমূলের মিছিল
  • রাম নবমী উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে হিন্দু মহাজোট
  • জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস আজ
  • টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে অফিস-আদালত 
  • ছুটির পর প্রাণ ফিরল বাংলাবান্ধা বন্দরে
  • টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে কাল খুলছে অফিস