‘চক্কর’-এর পর এলো মোশাররফ করিমের নতুন সিনেমার খবর
Published: 7th, April 2025 GMT
ছোট পর্দার পাশাপাশি নন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিম চলচ্চিত্রেও বেশ ব্যস্ত। গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে এ অভিনেতার সিনেমা ‘চক্কর’। শরাফ আহমেদ জীবন পরিচালিত ওই সিনেমায় তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ‘চক্কর’ মুক্তির রেশ কাটতে না কাটতেই মোশাররফ করিম অভিনীত নতুন আরও একটি সিনেমার নাম জানা গেল।
নূর ইমরান মিঠুর ‘কুরকাব’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমার একদিনের দৃশ্যধারণ বাকি আছে বলে জানালেন নির্মাতা। অনেকটা গোপনেই হয়েছে এর শুটিং। সিনেমায় একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন মীর রাব্বি। এ ছাড়া বেশির ভাগ নতুন শিল্পীরাই অভিনয় করেছেন।
বড় পর্দা ও ওটিটিতে ব্যস্ততা বাড়লেও যে কোনো উৎসব আয়োজনে হাজির হন ছোট পর্দায়। গেল ঈদে ছোট পর্দায় ছিল তাঁর সরব উপস্থিতি। বেশ কয়েকটি নাটক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।
এদিকে মোশাররফ করিম অভিনীত ‘বিলডাকিনি’ মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে পয়লা বৈশাখে। নির্মাতা ফজলুল কবির তুহিন জানান, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিলডাকিনি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর আগে কয়েকবার তারিখ ঠিক করেও মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নির্মাতা। সবশেষ গত ২৪ জানুয়ারি মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটি।
নির্মাতা তুহিন বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত জানুয়ারিতে মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলাম। আমাদের এখানে প্রতি ঈদের সময় হলে দর্শকের সমাগম দেখা যায়। বন্ধ থাকা হলগুলোও খোলা হয়। সেই রেশ থাকতেই বৈশাখ উপলক্ষে দর্শকের সামনে বিলডাকিনি নিয়ে আসতে চাই।’
নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের উপন্যাস ‘বিলডাকিনি’ অবলম্বনে একই নামে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। এর দৃশ্যধারণ হয়েছে শুটিং নওগাঁর প্রতিসর, নাটোর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কারাগারে। চিরায়ত বাংলার রূপ মানুষ দেখতে পাবে এই ছবিতে এবং একই সঙ্গে মানুষের চিরায়ত দুঃখও দেখতে পাবে। যেখানে মানুষের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রণার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার অনুপ্রেরণা মিশে গেছে। এতে উঠে আসবে নারীশক্তি ও মাতৃত্বের স্বাধীনতার গল্প। এমনটিই জানিয়েছেন নির্মাতা।
সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। বিলডাকিনিতে মোশাররফ করিম আছেন মানিক মাঝি চরিত্রে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সংবিধান অর্থবহ করতে বিচার আরও সহজলভ্য করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
দেশ-জাতি নির্বিশেষে সাধারণ নাগরিকের জীবনে সংবিধানকে আরও কার্যকর ও অর্থবহ করে তুলতে হলে বিচার প্রক্রিয়াকে আরও সহজলভ্য, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আয়োজন শুধু একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ নয়, বরং এটি সাংবিধানিক আদর্শ ও ন্যায়বিচার রক্ষার প্রতিশ্রুতির একটি প্রতীকী উদযাপন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের সাংবিধানিক পথচলা ভিন্ন ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠলেও দুই দেশের অভিন্ন লক্ষ্য ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধান বিচারপ্রতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ আদালত বিভিন্ন স্বপ্রণোদিত উদ্যোগের পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, তা বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তিনি বলেন, বর্তমান যুগে সাধারণ মানুষের অধিকারের সুরক্ষায় সাংবিধানিক আদালতগুলোর আরও বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে, জলবায়ু ন্যায়বিচার, ডিজিটাল অধিকার ও তথ্য সুরক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আন্তঃদেশীয় বৈষম্য মোকাবিলায় বিশ্বের প্রতিটি দেশে এমন একটি ন্যায়বিচার কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা জরুরি- যা একদিকে নিজস্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, তেমনই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায়ও প্রাসঙ্গিক ভূমিকা পালন করবে।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের প্রতি আমন্ত্রণ ও আতিথেয়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।