হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত অন্নপূর্ণা-১ (৮,০৯১ মিটার) পর্বতের চূড়ায় এবার বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন বাবর আলী। আজ ৭ এপ্রিল সকালে তিনি পর্বতশৃঙ্গে পৌঁছান। সেখানে বাবরের সঙ্গে আছেন গাইড ফূর্বা অংগেল শেরপা।

বাবার আলীর পর্বতশীর্ষে আরোহণের খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন অভিযানের ব্যবস্থাপক ফরহান জামান এবং নেপালের অভিযানের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাকালু অ্যাডভেঞ্চারের সত্ত্বাধিকারী মোহন লামসাল।

পর্বতারোহী বাবর আলী পেশায় চিকিৎসক। তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সাধারণ সম্পাদক। গত বছর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে একই অভিযানে বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্ট এবং চতুর্থ সর্বোচ্চ উচ্চতার লোৎসে পর্বত জয় করেন।

হিমালয়ের অন্যতম পর্বতশৃঙ্গ অন্নপূর্ণা ১–এর পথে বাবর আলী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপ

যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদা ও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে  মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, কূটনীতিক, বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা সমবেত হন।

অনুষ্ঠান শুরু হয় বাংলাদেশের ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীতের বাদ্যযন্ত্র পরিবেশন দিয়ে। এরপর কনস্যুল জেনারেল সেহেলী সাবরিন শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।

কনস্যুল জেনারেল সেহেলী সাবরিন তার বক্তব্যে অতিথিদের স্বাগত জানান এবং উপস্থিত থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ঐতিহাসিক যুব-নেতৃত্বাধীন শহীদদের সম্মান জানান। গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতি তুলে ধরেন।

তিনি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।

কনস্যুল জেনারেল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন, মানবাধিকার এবং জনসম্পর্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের আশাবাদ প্রকাশ করেন।

তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশী আমেরিকান সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে মিয়ামি-ডেড কাউন্টির মেয়রের প্রতিনিধি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের সহকারী পরিচালক, রেগুলেটরি অ্যান্ড ইকোনোমিক রিসোর্সেস, অফিস অব ইনোভেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের মারিয়া ড্রেইফাস-আলভার্ট।

তিনি তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মিয়ামি-ডেড কাউন্টির পক্ষে ড্রেইফাস-আলভার্ট একটি স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র কনস্যুল জেনারেল সেহেলী সাবরিনকে প্রদান করেন, যা বাংলাদেশী আমেরিকান সম্প্রদায়ের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়।

এছাড়া, পেমব্রোক পার্ক শহরের মেয়র, পেমব্রোক পার্কের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সিটি কমিশনার, এল পোর্টাল গ্রামের মেয়র, সানরাইজ সিটির ডেপুটি মেয়র এবং ব্রোয়ার্ড কাউন্টির প্রতিনিধি বাংলাদেশে ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের সম্মানে পৃথক পৃথক স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র প্রদান করেন।

বিশিষ্ট উপস্থিতির মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশী মিশন অফিসের প্রতিনিধি, মিয়ামিতে বিভিন্ন বিদেশী কনস্যুলেটের প্রতিনিধি, মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রোটোকল বিভাগের কর্মকর্তারা, সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের সদস্যগণ, একাডেমিক ও মিডিয়া কর্মীরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের সদস্যরা।

উদযাপনের অংশ হিসেবে, কনস্যুলেটে একটি বাংলাদেশ কর্ণার স্থাপন করা হয়, যেখানে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্য, বস্ত্র ও হস্তশিল্প সামগ্রী, মশলা ও খাদ্যদ্রব্য, বিশ্বখ্যাত জামদানি ও মসলিন শাড়ি, রেশম, কাঁথা সেলাই, টান্ট, মিনি পুড়ি, সবজি রঙের পণ্য, ওষুধপত্র, বিখ্যাত রিকশা পেইন্ট সামগ্রী, সিরামিক্সসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শিত হয়, যা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও কারুকার্যকে প্রতিফলিত করে।

বাংলাদেশের ইতিহাস ও অর্জন তুলে ধরতে একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়, যা দেশের স্বাধীনতার অগ্রযাত্রাকে বিনম্রচিত্তে শ্রদ্ধা জানায়।

ঢাকা/হাসান/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ