স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য ৮০০–৯০০ কোটি টাকার তহবিল আসছে
Published: 7th, April 2025 GMT
স্টার্টআপ খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিল থেকে শুধু স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে মূলধন জোগান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট বা বিনিয়োগ সম্মেলনে ‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ অধিবেশনে প্যানেল আলোচনায় এসব কথা জানান গভর্নর। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানান তিনি।
সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চার দিনের এ বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
সম্মেলনের স্টার্টআপ কানেক্ট অধিবেশনে দেশি-বিদেশি তরুণ ও উদ্ভাবনী উদ্যোক্তারা অংশ নেন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য—এম্পাওয়ারিং ইনোভেশন কানেকটিং অপরচুনিটি।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে স্টার্টআপ খাতের এ তহবিল বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘স্টার্টআপগুলোর লাভ এক দিনেই আসে না। আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে, আপনাকে অধ্যবসায় করতে হবে।’
সুযোগ দিলে দেশে বিকাশের মতো দশটি ইউনিকর্ন বানানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘আমি বিকাশের মতো আরও কয়েকটি ইউনিকর্ন দেখতে চাই। বিকাশের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এটা করতে পারি। আমি আশা করি, আমাদের তরুণ প্রজন্ম হাল ছাড়বে না।’
অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে রেকর্ড করা বক্তব্য দেন লিংকডইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যান। প্যানেল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব, আইসিটি সচিব শীশ হায়দার চৌধুরী।
সেমিনারে মুল প্রবন্ধে বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা তুলে ধরেন কনস্টিলেশন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তানভীর আলী। তিনি বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে উদ্ভাবনী, স্টার্টআপ উদ্যোগের চাহিদা বেশি। প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে স্টার্টআপ খাতে এখনো বিনিয়োগ কম।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা করার লাইসেন্স পাওয়াসহ সরকারি লালফিতার দৌরাত্ম্য বেশ রয়েছে। প্রতিবছর বছর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের।
ইন্টারনেট কখনো বন্ধ হবে নাঅনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ইন্টারনেট আর কখনো বন্ধ হবে না। ভবিষ্যৎ সরকার যাতে এটা বন্ধ করতে না পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। টেলিকম অ্যাক্ট ২০০১–এ ইন্টারনেট বন্ধ করার বিধান আছে; আমরা সেটি বাতিল করার জন্য কাজ করছি, যাতে পরবর্তী সরকারগুলো আইনের সুযোগ নিয়ে ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ট র টআপ ব যবস তহব ল
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫
প্রতীকী ছবি