খুলনা নগরীর ঈদ মেলায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
Published: 7th, April 2025 GMT
খুলনা নগরীর জাতিসংঘ পার্কে ঈদ মেলায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মো. পলাশ (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে জাতিসংঘ পার্কের ঈদ মেলায় তাকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষ।
নিহত পলাশ নগরীর মতলবের মোড় এলাকার মো.
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সনোয়ার হুসাইন মাসুম জানান, পলাশ স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তার নিজস্ব দল রয়েছে। শনিবার রাতে মেলার ভেতরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র পলাশের গ্যাংয়ের সাথে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সাথে বিরোধ বাঁধে। যে ঘটনার জের ধরে রবিবার রাতে তাকে ছুরিকাঘাত করে ওই গ্রুপের সদস্যরা। অস্ত্রের আঘাতে পলাশের পেট থেকে ভুড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে।
এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়।
লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।
২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে।