Risingbd:
2025-04-28@14:29:21 GMT

বিয়ে করলেন জামিল-মুনমুন

Published: 7th, April 2025 GMT

বিয়ে করলেন জামিল-মুনমুন

বিয়ে করলেন ‘মীরাক্কেল’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন। তার স্ত্রী অন্য কেউ নন, টিভি অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ। রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

মডেল-অভিনেত্রী মুনমুনের সঙ্গে পরিচয়ের তথ্য জানিয়ে জামিল হোসেন বলেন, “বছরখানেক আগে আমাদের পরিচয়। মুনমুনও অভিনয় করে। মূলত অভিনয়ের সুবাদেই পরিচয়। একটা সময় আমাদের মাঝে বোঝাপড়া তৈরি হয়। তারপর সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার কথা ভাবি।”

পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার তথ্য উল্লেখ করে জামিল হোসেন বলেন, “এরপর দুজনের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। নতুন জীবনের শুরুতে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী সবার কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চাই।”

আরো পড়ুন:

ঈদে তারকারা কে কোথায়?

ঈদের আগে উড়াল দিলেন ফারিণ

গতকাল রাতে জামিল হোসেন বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। জামিলের এ পোস্টে ভক্তদের পাশাপাশি বিনোদন অঙ্গনে তাদের দুজনের শুভাকাঙ্ক্ষীরাও শুভকামনা জানিয়েছেন।

জামিল ও মুনমুনের বিয়ের একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী মনিরা মিঠু। ক্যাপশনে তিনি লিখেন, “আমাদের প্রিয় জামিল-মুনমুনের বিয়ে হলো। বর-কনের জন্য সবাই অন্তর থেকে দোয়া করবেন।”

বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়ে পরিচিতি লাভ করেন মুনমুন। তারপর নাম লেখান টিভি নাটকে। অল্প দিনেই টেলিভিশন নাটকে সাবলীল অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন। জামিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কটি নাটকে অভিনয় করেছেন মুনমুন। তা ছাড়া ‘কাগজ’ নামে একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।

নোয়াখালীর ছেলে জামিল হোসেন; তবে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার-৬’ এর চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগী ছিলেন তিনি। এ প্রতিযোগিতা থেকে দেশে ফিরে জামিল অভিনয়ে মন দেন। বছরজুড়েই নাটক-টেলিফিল্মের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। পাশাপাশি ‘আয়নাবাজি’, ‘ভালোবাসা আজকাল’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক পর ব র আম দ র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন করলো জেলা লিগ্যাল এইড না’গঞ্জ 

বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি নারায়ণগঞ্জ উদযাপন করলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিনের শুরুতেই সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, নারায়ণগঞ্জ মোঃ আবু শামীম আজাদ পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এর শুভ সুচনা করেন। 

এ সময় জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক, মো, রবিউল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, ডাঃ এ.এফ.এম. মুশিউর রহমান, সিভিল সার্জন,  বিচারকবৃন্দ, জেল সুপার, জেলা সমাজ কল্যাণ বিষয়ক কর্মকর্তা, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, জেলা তথ্য বিষয়ক কর্মকর্তা, আইনজীবি সমিতির সভাপতি, সেক্রেটারীসহ নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনজীবিবৃন্দ, সকল আদালতের সহায়ক কর্মচারীবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। 

এরপর সকাল ৯টার দিকে লিগ্যাল এইড মেলা উদ্বোধন করা হয়। পরে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনাব মাইমানাহ আক্তার মনি, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নারায়ণগঞ্জ। 

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ জনাব মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী, জানুয়ারি-২০২৪ হতে মার্চ- ২০২৫ পর্যন্ত লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রমের এক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

এই সময়ের মধ্যে ৬৫৭ জনকে মামলায় আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়, আইনি পরামর্শ গ্রহীতা ১২০ জন, আপোষ মিমাংসার জন্য ১২১২টি আবেদন প্রাপ্ত হয়ে ৪৯৭টি সফল মিমাংসা হয় এবং চার কোটি চৌষট্টি লাখ সত্তর হাজার চারশত টাকা আদায় করে পক্ষদের মধ্যে প্রদান করা হয়। 

আলোচনা সভায় সভাপতি বলেন যারা আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা লিগ্যাল এইড থেকে উপকৃত হচ্ছে। আজকে এখানে যারা এসেছেন তাদের দায়িত্ব হলো সকলের কাছে সরকারের এই সেবার বিষয়টি পৌছে দেয়া, যাতে করে অসহায়, হতদরিদ্র মানুষজন সহজে আইনি সেবাটা পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। 

নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, যেহেতু আইনের চোখে সবাই সমান তাই সবাইকে ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে লিগ্যাল এইড এর প্রচার এবং প্রসারের জন্য প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। 

মো. রবিউল ইসলাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইনগত সহায়তা দিবসকে আরো মানুষের মধ্যে অধিক প্রচারের জন্য পরামর্শ প্রদান দিয়ে বলেন, দ্বন্দে কোনো আনন্দ নাই, তাই ঝামেলা মিটিয়ে সুন্দর জীবন যাপনের জন্য লিগ্যাল এইড এর সহায়তা নিতে পারে সকল শ্রেণীর মানুষ। 

পরবর্তীতে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সমাপনী বক্তব্যে বলেন, মানুষ যাতে সহজে, দ্রুত বিচার পায়, দারিদ্রতার কারণে যেন কেউ আইনগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সে উদ্দেশ্যে লিগ্যাল এইড অফিস নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করে চলছে। তিনি মানুষদের আইনগত ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। তার বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। 

এছাড়াও এই দিবসটি জনমানুষের মধ্যে অধিক প্রচার ও প্রসারের জন্য দিনব্যাপী লিগ্যাল এইড মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় অংশগ্রহণ করেন, জেলা আইনজীবী সমিতি, কর্মচারী কল্যান পরিষদ, লিগ্যাল এইড অফিস, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা কারাগার।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ