ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
Published: 7th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে একদল তরুণ। সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করে তারা। পরে মার্কিন দূতাবাসের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মিছিলের সামনে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে সকাল থেকে মার্কিন দূতাবাসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সেনা সদস্যরা। তারা এক প্রকার মানবপ্রাচীর তৈরি করে রেখেছেন। অধিকাংশ মানুষদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে গাজার জয় হবেই হবে। যতদিন এই পৃথিবী থাকতে ততদিন ওই ইসলামের ভূমি ধ্বংস করা যাবে না।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার তারেক মাহমুদ বলেন, ছাত্র জনতা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে নতুন বাজারের দিকে আসে। এখানে তারা অবস্থান করছে। মিছিল শেষ তারা চলে যাবে।
এর আগে সকাল থেকে বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তারা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ’ ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমরা কারা, তোমরা কারা ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ বলে স্লোগান দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ম র ক ন দ ত ব স র স মন অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষের শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন নিয়ে রহস্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়েছে। কে কোন উদ্দেশ্যে আগুন লাগিয়েছে, এ নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে পুড়ে যায়। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে যায় এবং শান্তির পায়রা মোটিফটি আংশিক পুড়ে যায়।
অনেকে বলছেন, অন্য মোটিফগুলো ঠিক থাকলেও ওই দুটি মোটিভ কীভাবে পুড়ল? নিশ্চয়ই কেউ ইচ্ছে করে শুধু ওই দুটি মোটিফে আগুন দিয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল রতন গণমাধ্যমকে বলেছেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, শনিবার ভোরে জিন্স প্যান্ট ও কালো টি-শার্ট পরা এক যুবক চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। তার মুখে মাস্ক ছিল, চেহারা বোঝা যাচ্ছিল না। তার মধ্যে কোনো ধরনের চাঞ্চলতা বা উদ্বেগ দেখা যায়নি। সে খুব ধীর-স্থিরভাবে প্রতিকৃতিতে আগুন লাগায়।
শনিবার দুপুরে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “আমরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছি। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা আমরা খুঁজে বের করব।”
সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোল্লা বলেছেন, শোভাযাত্রার জন্য অনেক মোটিভ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, টি নির্দিষ্ট মোটিফে আগুন লাগে, যা নিঃসন্দেহে রহস্যজনক। এ বিষয়ে তদন্ত করছি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বিভিন্ন ধরনের ও আকৃতির মোটিফ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কাজ করেছেন। আগুন লাগলে তখনো তো লাগতে পারত। অথচ, খুব ভোরে মানুষজন যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখনই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনাস্থল এবং আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
শনিবার ভোর ৫টা ৪ মিনিটে চারুকলা অনুষদে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।
ঢাকা/এমআর/রফিক