মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ছয়জনকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলকাতার নাট্যনির্মাতা সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টোর বিরুদ্ধে। পরে আহতদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে ডিএইচ রোডে সিদ্ধান্তের গাড়ি বেশ কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেয়।

কলকাতা পুলিশের ডিসি দক্ষিণ-পশ্চিম (বেহালা) রাহুল দে ভারতীয় গণমাধ্যমে জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাজারের মধ্যে ঢুকে যায় একটি গাড়ি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন ছয়জন। তাদের মধ্যে চারজনকে স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

আরো পড়ুন:

কবে বিয়ে করবি, কবে বাচ্চা হবে, দেবের কাছে মায়ের প্রশ্ন

সুদীপ-পৃথার অসম বিয়ে ভেঙে গেল

বাকি দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার রোডের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন সিদ্ধান্ত। আশঙ্কাজনক দু’জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় সিদ্ধান্তকে। সোমবার (৭ এপ্রিল) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

শনিবার রাতে কলকাতার প্রথম সারির একটি পানশালায় উল্লাসে মেতেছিলেন পরিচালক সিদ্ধান্ত। তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিক, অভিনেত্রী ঋ সেনগুপ্ত, প্রযোজক শ্রিয়া বসু, অভিনেতা-ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা। তারা প্রত্যেকে সান বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘ভিডিও বৌদি’-এর সঙ্গে যুক্ত।

নতুন কাজ উদযাপনের জন্যই পানশালায় গিয়েছিলেন তারা। রাতভর মদ্যপানের পর সকালে আলাদা আলাদা দু’টি গাড়িতে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। সিদ্ধান্তের গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী ঋ এবং শ্রিয়া।

দুর্ঘটনার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পরও শ্রিয়া এমনই মাতাল ছিলেন যে, সোজা হয়েও দাঁড়াতে পারছেন না। পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় বেসামাল হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি।

ঋ সেনগুপ্ত বলেন, “আমি পরিচালকের গাড়িতে থাকলেও দুর্ঘটনার আগে নেমে যাই। ফলে এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না। খবরটি জানার পর খুব খারাপ লাগছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”

মদ্যপান না করার দাবি করে ঋ বলেন, “ভিডিও বৌমা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। ফলে সৌজন্যতার খাতিরে রাতপার্টিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি মদ্যপান করিনি, কোনোরকম নেশাই করি না।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

জয়পুরহাটে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় অর্থ আত্মসাতের তদন্ত শুরু

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা থেকে অর্থ আত্মসাতের তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দল। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা আক্কেলপুরে যান। তাঁরা প্রতারিত গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা গ্রাহকদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগও নিয়েছেন।

গত ২৩ মার্চ ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। শাখার ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকারও করেছেন। পুলিশ সেদিন রাতে ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা, এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার ব্যবস্থাপক রিওয়ানা ফারজানা ও এজেন্ট শাখার মালিক জাহিদুল ইসলামকে আটক করে। সেদিন রাতে একজন গ্রাহক থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এক দিন পর তিন আসামি জামিনে মুক্তি পান।

ওই ঘটনা তদন্তে আজ সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা আক্কেলপুরে আসেন। সকালে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের সড়কে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার নিচে গ্রাহকদের ভিড়। দুজন ব্যক্তি গ্রাহকদের বক্তব্য শুনছিলেন। কথা বলে জানা যায়, তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়ার উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী ও গোলাম রাব্বী। তাঁরা বলেন, কর্তৃপক্ষ তাঁদের তদন্ত করতে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই দুই কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেছেন একটি সিম ব্যবহার করে হুবহু ব্যাংকের মতো করে গ্রাহকদের মুঠোফোনে লেনদেনের খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে। খুদে বার্তা যে ইসলামী ব্যাংকের নয়, সেটি গ্রাহকেরা বুঝতে পারেননি। তাঁরা আরও বলেন, বিভিন্নভাবে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্যাশিয়ার মাসুদ রানার হিলির ডাঙ্গাপাড়ায় ইসলামী ব্যাংকের একটি এজেন্ট শাখা রয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন।

দুপুরের দিকে ইসলামী ব্যাংকের জয়পুরহাট শাখার কর্মকর্তারাও সেখানে আসেন। এরপর এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার তালা খোলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভেতরে ঢোকেন। সেখানে তাঁরা প্রতারিত গ্রাহকদের কথা শোনেন ও লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা, ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার ব্যবস্থাপকসহ ব্যাংকটির অন্য কর্মকর্তারা সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। আজ শাখাটিতে কোনো লেনদেন হয়নি।

ইসলামী ব্যাংকের জয়পুরহাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তাঁরা এখন পর্যন্ত দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের কথা জেনেছেন। প্রতারিত গ্রাহকেরা এখনো আসছেন। এ কারণে আত্মসাৎ করা টাকার সঠিক পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকটির একজন কর্মকর্তা বলেন, আড়াই বছর ধরে কৌশলে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছিল। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

শাহিনুর ইসলাম নামের একজন গ্রাহক বলেন, তাঁর ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁরা ১০ এপ্রিল মানববন্ধন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভুমি ভাবতেই পারেননি তার জীবনে এই সুযোগ আসবে
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমণিকে রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: শেখ সাদী
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমনিকে রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: শেখ সাদী
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমনিকে  তাদের রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: সাদী
  • হাতভাঙার ভুয়া এক্স-রে জমা দিয়ে মামলার অভিযোগ 
  • ম্যারাডোনা: কখনো দেবতা, কখনো বিপ্লবী, আবার কখনো জোচ্চোর ও মাদকসেবী
  • গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত, নিহত আরো অর্ধশতাধিক
  • গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে গুলি করে হত্যা, ভুল স্বীকার
  • জয়পুরহাটে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় অর্থ আত্মসাতের তদন্ত শুরু