গরুর দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্ত্রী-সন্তান হত্যা মামলার আসামি জামিনে বেরিয়ে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন
Published: 7th, April 2025 GMT
প্রায় দুই বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় মা মাহামুদা হক ওরফে বৃষ্টি (৩৩) ও মেয়ে সানজা মারওয়া (১০) হত্যার ঘটনাটি ছিল বেশ আলোচিত। মা-মেয়ে হত্যা মামলার আসামি মাহামুদার স্বামী এস এম সেলিম (৩৬) চলতি বছরের জানুয়ারিতে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিয়ের জন্য কনে দেখাও হয়ে গেছে।
পুলিশের অভিযোগপত্র অনুযায়ী, পারিবারিক কলহ থেকে ২০২৩ সালের ১৩ জুন রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১৪ জুন দিবাগত রাত আড়াইটার মধ্যে পরিকল্পিতভাবে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। হত্যার জন্য সেলিম গরুর দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ছিলেন। এই দুধ পানে তাঁর স্ত্রীর পাশাপাশি সন্তানের মৃত্যু হয়।
জামিনে মুক্ত হয়ে বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা নিজেই প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেছেন সেলিম। তবে এলাকার ভাষ্য, সেলিম ইতিমধ্যে বিয়ে করে ফেলেছেন। তিনি নববধূকে নিয়ে নিজের পৈতৃক ফ্ল্যাট ছেড়ে অন্য জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়েছেন।
সেলিমের জামিনে মুক্ত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাহামুদার পরিবারের সদস্যরা। মাহামুদার মা জুঁই বেগম প্রথম আলোকে বলেন, এভাবে খুনের আসামি যদি জামিন পেয়ে যান, বিচার না হয়, তাহলে ঘরে ঘরে খুন হবে।
সেলিমের জামিন বাতিল করে তাঁর বিচার ও শাস্তির দাবি জানান জুঁই বেগম। তাঁর আশঙ্কা, সেলিম দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেন।
কী ঘটেছিল
মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মাহামুদার দ্বিতীয় বোনকে মুঠোফোনে কল করেন সেলিম। তিনি বলেন, স্ত্রী মাহামুদা ও মেয়ে সানজা কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। দুজনের শরীর শীতল হয়ে গেছে।
মাহামুদার এই বোন ময়মনসিংহে নিজের শ্বশুরবাড়িতে থাকায় তিনি ফোন করে বিষয়টি ঢাকায় তাঁর মামা ও ফুফুদের জানান। তাঁরা রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় অর্কিড জামশেদ টাওয়ারে সেলিম-মাহামুদার ফ্ল্যাটে যান। দেখেন, মাহামুদা তাঁর শয়নকক্ষের বিছানায় নিথর অবস্থায় পড়ে আছেন। পাশের কক্ষের বিছানায় নিথর অবস্থায় পড়ে আছে সানজা।
সে সময় সেলিম জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করে বাসায় অ্যাম্বুলেন্স আনেন। তিনি ও মাহামুদার পরিবারের সদস্যরা মা-মেয়েকে (মাহামুদা ও সানজা) নিয়ে রামপুরার ফরাজী হাসপাতালে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে মাহামুদা ও সানজাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে পুলিশ এসে হাসপাতাল থেকে সেলিমকে আটক করে।
মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মাহামুদার বাবা মো.
এই মামলায় গ্রেপ্তারের পর সেলিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে তিনি স্ত্রী-মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, স্ত্রী তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। সেই ক্ষোভ থেকে তিনি স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাহমুদা গরুর দুধ পান করতেন। সেই সুযোগ তিনি নেন। ওষুধের দোকান থেকে তিনি (সেলিম) ৩০টি ঘুমের ট্যাবলেট কিনে এনে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দেন। তবে শুধু স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল তাঁর। সন্তানও যে দুধ পান করবে, তা তিনি বুঝতে পারেননি।
মে-মেয়ে হত্যার ঘটনার এক সপ্তাহ পর ২০২৩ সালের ২১ জুন মাহামুদার মামা সোহেল শিকদারের বাড্ডার বাসায় গিয়েছিলেন এই প্রতিবেদক। সে সময় বাড়িটিতে মাহামুদার মা ও ছোট সন্তান সারিম ছিলেন। সারিম সারাক্ষণই কান্নাকাটি করছিল।
মাহামুদার মামা সোহেল শিকদার সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, সেলিমের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে সেলিম-মাহামুদার দাম্পত্য কলহ চলছিল। এর আগে করোনা মহামারির সময় ফরিদপুরে গিয়ে এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন সেলিম। অল্প সময়ের মধ্যে সেই বিয়ের বিচ্ছেদ হয়। মাহামুদাকে হত্যার আগেও এক নারীর সঙ্গে সেলিমের সম্পর্ক চলছিল। সেই মেয়েটিকেই সেলিম বিয়ে করে থাকতে পারেন।
হত্যার ঘটনার সময় মাহামুদা-সেলিম দম্পতির ছোট ছেলে সারিম মারওয়ানের বয়স ছিল ৯ মাস। ঘটনার পর থেকে ছেলেটি তার নানা-নানির সঙ্গে মুন্সিগঞ্জে থাকে। ছেলেটির বয়স এখন প্রায় আড়াই বছর। তার নানি জুঁই বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মা (মাহামুদা) আর বোনের (সানজা) কথা জিজ্ঞেস করলে শিশু সারিম আকাশের দিকে আঙুল তুলে আধো স্বরে বলে, “আম্মু আকাশে, আপু আকাশে।”’
মাহামুদার মা জুঁই বেগম বলেন, হত্যার ঘটনার পর পুলিশ ও পারিবারিক হস্তক্ষেপে সারিমের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা করে সেলিমের পরিবার দেবে বলে বন্দোবস্ত হয়। সেই টাকা তাঁরা পাচ্ছেন বলে জানান মাহামুদার মা।
কনে দেখা শেষ
হাইকোর্ট থেকে পাওয়া জামিনের আদেশের অনুলিপির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ জানুয়ারি ৬ মাসের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে সেলিমকে।
স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার অভিযোগের বিষয়ে গত ৫ এপ্রিল সেলিমের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি এই হত্যা ও অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়ে জানতে চাইলে সেলিম বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁর কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়েছিল।
তাহলে স্ত্রী-সন্তানকে কে হত্যা করেছে, এমন প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। এ নিয়ে আপনার সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলব।’
সেলিম বলেন, তিনি তাঁর ছেলে সারিমের খোঁজখবর রাখছেন। তার জন্য প্রতি মাসে টাকা পাঠাচ্ছেন।
আবার বিয়ে করেছেন কি না, জানতে চাইলে তা অস্বীকার করেন সেলিম। তবে এলাকার লোকজন বলেন, সেলিম বিয়ে করে তাঁর মেরুল বাড্ডার পৈতৃক ফ্ল্যাট ছেড়ে আফতাবনগরে বাসা ভাড়া নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে ৬ এপ্রিল সেলিমের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করলে তিনি আফতাবনগরে বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। সেলিম বলেন, তিনি বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিয়ে করবেন।
কনে ঠিক হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সেলিম বলেন, ‘কনে দেখা হয়েছে। আম্মুর পছন্দে বিয়ে করছি।’
মাহামুদার মা জুঁই বেগম বলেন, ‘সেলিমই আমার মেয়ে আর নাতনিকে হত্যা করেছে। আমার মেয়ে আমাকে বারবারই বলত, “অসুস্থ হওয়া ছাড়া কোনো দিন যদি আমি মারা গেছি শোনো, তাহলে বুঝবা, সেলিম আমাকে মেরে ফেলছে।” আমি এই হত্যার বিচার চাই। এমন হত্যার বিচার না হলে ঘরে ঘরে খুনের ঘটনা ঘটবে।’
আরও পড়ুনবাড্ডায় মা-মেয়েকে হত্যার অভিযোগ১৪ জুন ২০২৩আরও পড়ুনগরুর দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন সেলিম১৪ জুন ২০২৩উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য় র প রস ত ত স ব ক র কর ন স ল ম বল ন প রথম আল ই ব গম র জন য ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
৮-১৪ এপ্রিল ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’
আগামী ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫’ পালিত হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘‘যদি জাটকা সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে ইলিশের উৎপাদন অনেক গুণে বাড়বে। উৎপাদন বাড়লে বাজারেও এর প্রভাব পড়বে, সরবরাহ বাড়বে, দামও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’’
সোমবার (৭ এপ্রিল) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ইলিশকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পালন করা হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘এ বছরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে’। জাটকা হচ্ছে ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট আকারের ইলিশ। এক কেজি ওজনের ইলিশ কমপক্ষে ৪০-৫০ সেন্টিমিটার এবং ২ কেজির অধিক হলে ৬০-৬২ সেন্টিমিটার হবে। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের মাধ্যমে জাটকাকে ইলিশ রূপান্তর করা হবে।’’
এ সময় তিনি বলেন, ‘‘বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ২৯ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। দেশজ জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশের বেশি। বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি আহরিত হয় এ দেশের নদ-নদী, মোহনা ও সাগর থেকে। ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ স্থানে রয়েছে।’’
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সরকার জাটকা রক্ষায় কেবল আইন প্রয়োগ করছে না, বরং এই মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত ৩ লাখ ৬১ হাজার ৭১টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ২৮ হাজার ৮৮৫ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে। ইলিশের প্রধান মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৫টি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা হিসেবে মোট ১৩ হাজার ৭০৭ মেট্রিক টন ভিজিএফ (চাল) দেওয়া হয়েছে। ভিজিএফ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’-এর মাধ্যমে জেলেদের তাদের চাহিদানুযায়ী বকনা বাছুরসহ নানা প্রকার উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।’’
উপদেষ্টা জাটকা রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘‘ইলিশ ধরা বন্ধ থাকলেও উৎসব থেমে থাকবে না। বরং আমাদের ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সচেতনতার এই সুযোগটাও বড় উৎসবের অংশ হতে পারে।’’
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-২০২৩ এর ৩(১) বিধি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো ধরনের মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ১২.৭৮ শতাংশ বাড়ার রেকর্ড রয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এর প্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়, যাতে সামুদ্রিক মৎস্য বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানি, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এ কমিটি বিজ্ঞানসম্মত তথ্যাদি যাচাই করে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকাল আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন নির্ধারণের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের প্রেক্ষিতে সরকার গত ১৬ মার্চ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।’’
তিনি বলেন, ‘‘সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-২০২৩ সংশোধন করে সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০টি জেলায় (ঢাকা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট ও সিরাজগঞ্জ) ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫’ উদযাপন করা হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ৮ এপ্রিল বরিশাল বিভাগের ইলিশ সমৃদ্ধ অন্যতম জেলা বরিশাল জেলার সদর উপজেলার বেলস্ পার্কে অনুষ্ঠিত হবে এবং বরিশাল সদর উপজেলার ডিসি ঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে নৌ র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. ইমাম উদ্দীন কবীর, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবদুর রউফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ