প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার পথে। দল পিছিয়ে আছে। এমন সময় ডি বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে সাধারণ এক ভলি করলেন লিওনেল মেসি। তার এই নিরীহ শটটাই খুঁজে পেল জালের দেখা। লিগটা যেহেতু মেজর লিগ সকার (এমএলএস), তাই এমন গোল প্রায়শই দেখা যায় এই লিগে।

সোমবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকালে বিশ্বকাপজয়ী মেসি অবশ্য গোল করেও জেতাতে পারেননি তার দল ইন্টার মায়ামিকে। এলএমএসে টরন্টো এফসির বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মায়ামিকে।

সামনেই কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তাই টরন্টোর বিপক্ষে মেসি মাঠে নামবেন কি না, তা নিয়ে রহস্য রেখে দিয়েছিলেন কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো। তবে ৭ বারের ব্যালন ডি-অর জয়ী ফুটবলার মাঠে নামলেন এবং দলকে গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট এনে দিলেন। এই মৌসুমে চতুর্থ ম্যাচে এটি মেসির তৃতীয় গোল। মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি আর্জেন্টাইন মহাতারকার ৪০তম গোল।

আরো পড়ুন:

মেসির একাদশে ফেরার ম্যাচে হেরে বিদায়ের শঙ্কায় মায়ামি

ফিরেই মেসির গোল, শীর্ষে উঠলো মায়ামি

চেজ স্টেডিয়ামে মায়ামি-টরন্টো ম্যাচের গোল দুটিই এসেছে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। টরন্টোর হয়ে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করেন সাবেক জুভেন্টাস উইঙ্গার ফেদেরিকো বার্নার্দেস্কি। অন্যদিকে যোগ করা সময়ের পঞ্চম এবং শেষ মিনিটে মায়ামিকে সমতায় ফেরান মেসি। তিনি প্রথমার্ধে আরো একটি গোল করেছিলেন। সেটি পরে ভিএআরে বাতিল হয়ে যায়।

এই ড্রয়ের মায়ামি এমএলএসে কলোম্বাসের চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। তবে মেসিরা একটি ম্যাচ কম খেলেছেন। ৬ ম্যাচ শেষে মায়ামির সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে ৭ ম্যাচ শেষে কলোম্বাসের ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় কলোম্বাস।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম র ধ গ ল কর টরন ট

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ

কানাডার ৪৫তম ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। গতকাল রোববার নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। পুরো কানাডায় এখন নির্বাচনের আমেজ। রাস্তার দুই পার্শ্বে বড় বড় রোড সাইন, কমিউনিটিতে ছোট ছোট সাইন, ইনডোর মিটিংয়ের এন্টারটেইনমেন্ট, রেন্ট এ কারসহ আরও অনেক কিছুতেই ভরে গেছে।

কানাডার পার্লামেন্ট হাউজ অফ কমেন্সের মোট আসন সংখ্যা ৩৪৩টি। গত নির্বাচনের চেয়ে ৬টি আসন বেড়েছে। প্রতিবছর জনসংখা বৃদ্ধির সঙ্গে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এবারের মোট ভোটার সংখ্যা ২ কোটি ৮৫ লাখ। এর মধ্যে চার দিনের অগ্রিম ভোট পড়েছে প্রায় ৭৩ লাখ, যা প্রায় পঁচিশ শতাংশের বেশি। যে কোনো দলের এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭২টি আসন।

আসন্ন ফেডারেল নির্বাচনে এখন পর্যন্ত পাঁচটি দল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি, পিয়েরে পয়লিয়েভ কনজারভেটিভ পার্টি, জাগমিত সিং এনডিপি পার্টি, ইভস ফ্রান্সসয়েন্স ব্লানচেট, ব্লক কুইবেক পার্টি এবং এলিজাবেথ মে অ্যান্ড জোনাথান পেডনলট যৌথভাবে গ্রীন পার্টি অফ কানাডা। এছাড়াও বেশ কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে।

কানাডার রাজনীতিতে বা সরকার ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন এই মুহূর্তে কানাডার প্রয়োজন শক্তিশালী অর্থনীতি।

কানাডার সর্বশেষ জনমত ও আসনভিত্তিক জরিপে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি এগিয়ে রয়েছে। যদিও বড় দুই দল লিবারেল পার্টি এবং কনজারভেটিভ পার্টির পলিসিতে বড় ধরনের কোনো পার্থক্য নেই।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কানাডার ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। কানাডার বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীল রাখা এবং ট্রাম্পের সঙ্গে ট্যারিফ আরোপের কানাডা ও আমেরিকার যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে; তা সমাধানে এই মুহূর্তে অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নিই কানাডিয়ানদের কাছে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। আর এই কারণেই দেশটির নাগরিকদের কাছে মার্ক কার্নির দল লিবারেল পার্টি জয়ের ধারায় এগিয়ে রয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ