২০২৪ সালে সাড়া ফেলে দেওয়া সিনেমা ‘লাপাতা লেডিজ’ এর গল্প চুরি করে নির্মাণ করা হয়েছে কিনা– এ নিয়ে নানা বিতর্ক। যে সিনেমা অস্কার দৌড়ে যোগ দিয়েছিল, সেই ছবির বিরুদ্ধেই গল্প চুরির অভিযোগ। এর ফলে প্রশ্নের মুখে প্রযোজক-পরিচালক আমির খান এবং কিরণ রাও। এবার সেই বিতর্কে মুখ খুললেন ছবির গল্পের লেখক বিপ্লব গোস্বামী।

 গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখক বিপ্লব গোস্বামী একটি পোস্ট করে ছবির বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। পুরো ঘটনার প্রতিবাদ করে লেখক লিখেছেন, ‘২০১৪ সালে স্ক্রিন রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আমি ‘লাপাতা লেডিজ’-এর গল্প জমা দিয়েছিলাম। সেইসময় মধ্যপ্রাচ্যের ছবিটি তৈরি হয়নি। সেই মূল কাহিনি থেকেই ২০১৮ সালে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলাম। প্রাথমিক অবস্থায় নাম ছিল ‘টু ব্রাইডস’। এমনকি চিত্রনাট্যটি সিনেস্তান স্টোরিটেলার্স প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় ওই বছরই।’ 

পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, ‘সাহিত্যে ছদ্মবেশ ও পরিচয় বিভ্রান্তি নিয়ে অসংখ্য রচনা রয়েছে। উইলিয়াম শেকসপিয়র থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত একাধিক বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যিক এই বিষয়টি নিয়ে তাদের সাহিত্য সৃষ্টি করে গেছেন। তাদের দেখানো পথেই আমি হেঁটেছি। লাপাতা লেডিজ-এর ক্ষেত্রেও এই বিষয় অবলম্বনেই কাহিনি রচনা করেছিলাম।’

একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘আমাদের ছবির গল্প ১০০% খাঁটি। ছবির বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই অভিযোগ শুধু আমার কাজকে ছোট করেছে তাই নয়, ছবির গোটা টিমকেও অপমানে বিদ্ধ করেছে।’ 

সম্প্রতি ‘বোরখা সিটি’ নামে মধ্যপ্রাচ্যের এক সিনেমার কিছু ক্লিপ ভাইরাল হয়। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আরবের ওই ছবির গল্পটা খানিক মিলে যায় কিরণ পরিচালিত ‘লাপাতা লেডিজ’-এর সঙ্গে। সেই ছবির ক্লিপ ভাইরাল হতেই বিতর্কের সূত্রপাত।  
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় দুই মাসে ২১৩ শ্রমিকের মৃত্যু

চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে পরিবহন খাতে। এ ছাড়াও নির্মাণ খাতে ৭ জন ও পোশাক খাতে ৩ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এই দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে আহত হয়েছেন ১৭০ জন।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে উল্লিখিত তিনটি খাতের বাইরে অন্যান্য খাতে ২১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময়ে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন ৭০ জন পরিবহন খাতের, ১৮ জন নির্মাণ খাতের এবং ১২ জন পোশাক খাতের। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্যান্য খাতের ৭০ জন শ্রমিক। জাতীয় দৈনিকগুলোয় প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বিলস এ জরিপ পরিচালনা করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক স্মৃতি দিবস পালিত হয়। যেখানে কর্মক্ষেত্রে নিহত, পঙ্গু, আহত বা অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। বাংলাদেশেও গতকাল দিবসটি পালিত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ