যুবদল নেতা শামীম হত্যায় ৭ দিনের রিমান্ডে সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন
Published: 7th, April 2025 GMT
ঢাকার নয়াপল্টনে সংঘর্ষে যুবদলের নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের (বাজিতপুর-নিকলী উপজেলা) সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আজ সোমবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ডের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন আফজাল হোসেনের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মনসুর। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আফজাল হোসেনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ মার্চ মধ্যরাতে আফজাল হোসেনকে মেহেরপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
আফজাল হোসেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তাঁর বিরুদ্ধে বাজিতপুর থানায় একাধিক মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
আরও পড়ুনকিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি আফজাল হোসেন মেহেরপুরে গ্রেপ্তার২৪ মার্চ ২০২৫আফজাল হোসেন ২০০৮ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি টানা চারবারের সংসদ সদস্য। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে আফজাল হোসেন প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে খাল, বিল ও নদী দখল এবং প্রতিপক্ষের লোকজনকে দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফজ ল হ স ন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ
অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন আদালত। মামলাটি অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
সোমবার এ মামলায় নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানা আদালতে হাজির হন।
তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু আদালতে দুটি আবেদন করেন। এর মধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি আবেদন করা হয়। কারণ হিসেবে আজিজুর রহমান দুলু বলেন, “এ মামলার বিচার চলছে। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গত ১৬ এপ্রিল মিডিয়াতে বলেন, নাসির হোসেন ব্যাভিচার করে তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। বিচার শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন, নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন কি না এবং ব্যাভিচার করেছেন কি না।”
একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার পুরো অভিযোগ না শুনিয়ে সারসংক্ষেপ পড়ে শোনানোর আবেদন করেন নাসির ও তামিমার আইনজীবী।
এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। আইন অনুযায়ী তিনি এখন আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, উভয় পক্ষেরই আবেদন দেওয়ার অধিকার আছে। এটা বিজি কোর্ট। একটা মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য দরকার, এত সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় ইফেক্ট পড়ে। আমি বিব্রত বোধ করে মামলাটা অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিই। এতে আপনারা কি নাখোশ হবেন?
তখন আইনজীবীরা জানান, এতে তাদের আপত্তি নেই। তখন আদালত বলেন, মামলাটা বদলি করে সিএমএম বরাবর পাঠিয়ে দিই। সিএমএম মামলাটি একটা কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে, এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ঢাকা/এম/রফিক