নরসিংদীর শিবপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাকিব মিয়া (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। নিহত সাকিব উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের লাখপুর পূর্বপাড়ার মুসা মিয়ার ছেলে। সে লাখপুর শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৫ সনের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের চাচাত ভাই বাদল মিয়া।
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন। তারা হলেন- একই উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের লাখপুর পূর্বপাড়া গ্রামের রেনু লস্করের ছেলে মাসুম লস্কর (২০) ও মানিকদী দড়িপাড়া গ্রামের শওকত আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন (২৪)। আহতরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে মাসুম লস্কর ও সাকিব মিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। সড়কে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল তারা। একপর্যায়ে মানিকদী দড়িপাড়া মসজিদের সামনে সাব্বির নামে এক পথচারীকে চাপা দিলে নিয়ন্ত্রণ হারায় মোটরসাইকেলটি। এ সময় তারা ছিটকে পড়ে যায় এবং গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এসে আহত তিনজনকে শিবপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত অপর দুইজনের অবস্থা জটিল দেখে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন।
শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় ঈদের দিন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দুই বন্ধুর মৃত্যু
পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী দুই বন্ধু গতকাল শুক্রবার রাতে মারা গেছে। ঈদের দিন বিকেলে বেড়াতে বের হয়ে তারা আহত হয়েছিল।
নিহত ব্যক্তিরা হলো গাইবান্ধা জেলা সদরের কামাল হোসেনের ছেলে নয়ন হোসেন (১৭) এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর পূর্বপাড়া গ্রামের হাদিস ব্যাপারীর ছেলে হৃদয় হোসেন (১৭)। নয়ন সুলতানপুর পূর্বপাড়া গ্রামে নানার বাড়িতে থাকত। তারা দাশুড়িয়া দরগা বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় সূত্র ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবার সূত্র জানায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে দুই বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হয়। জেলার আটঘরিয়া উপজেলার খিদিরপুর-দেবত্তর সড়কের বেরুয়ান এলাকায় তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ সময় দুজন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে একজনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ও অন্যজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে নয়ন এবং রাত ২টার দিকে হৃদয়ের মৃত্যু হয়।
দাশুড়িয়া দরগা বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম নিহত দুজনের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, দুই বন্ধুকে ঈশ্বরদীর খালিশপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে। তিনি জানান, নিহত দুজনের ১০ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।