নওগাঁর পোরশায় নিজ বাড়ি থেকে দুই ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের পূর্ববাড়ি গ্রামে থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের পূর্ববাড়ি গ্রামের প্রয়াত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৫৫) ও মেয়ে রেজিয়া বেগম (৫৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িতে দুই ভাই-বোন বসবাস করতেন। রাতে বাড়ির ভিতর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে বাড়ি ভিতর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। কয়েকদিন আগে তাদের মৃত্যু হওযায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

পোরশা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ময়নাতদেন্তর রিপোর্ট হাতে পেলে তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নওগ

এছাড়াও পড়ুন:

মার্সেলের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারী অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর গ্রেপ্তার

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মার্সেলের প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন গাজীপুর সদর থানার ভবানীপুরে প্রতিষ্ঠানটির ডিস্ট্রিবিউটর পুষ্প ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা। বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারীর গ্রেপ্তার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্সেলের সৎ এবং ভালো ডিস্ট্রিবিউটররা।

সূত্র জানায়, দেশব্যাপী কয়েক সহস্রাধিক ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী দামে সেরা মানের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দ্রুত ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে মার্সেল ব্র্যান্ড। ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে প্রতি বছরই বাড়ছে মার্সেল পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি। এতে করে ব্যবসায়ীকভাবে লাভবানও হচ্ছেন মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটররা। তবে কতিপয় অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক কোটি কোটি টাকার পণ্য বাকিতে নিয়ে অর্থ পরিশোধ না করায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন  হচ্ছে মার্সেল। শুধু তাই নয়; বাকিতে নেয়া পণ্যের টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে অসাধু ডিস্ট্রিউিটর কর্তৃক কোম্পানির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোর প্রচেষ্টায় মার্সেল ব্র্যান্ডের সুনামও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক আন্ডার রেটে পণ্য বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হন মার্সেলের সৎ এবং ভালো ডিস্ট্রিবিউটররা।

উল্লেখ্য, অর্থ আত্মসাতের কূটকৌশল হিসেবে অজয় কুমার সাহাসহ আরো একজন ডিস্ট্রিবিউটর গাজীপুর জেলায় সংশ্লিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নালিশী মামলা দায়ের করলে আদালত শুনানি নিয়ে অভিযোগের ভিত্তি নাই মর্মে মামলা দুটিকে খারিজ করে দেন।

আরো পড়ুন:

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন কুষ্টিয়ার মিঠুন 

প্রথমবারের মতো ইয়েমেনে এসি রপ্তানি করল মার্সেল 

দীর্ঘদিন ধরে অসাধু ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ এবং নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন মার্সেলের সৎ ডিস্ট্রিবিউটররা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় অসাধু ডিস্ট্রিউিটরকে আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মার্সেল।

মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মার্সেলের কাছ থেকে বাকিতে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য নেন গাজীপুর সদরের ভবানীপুরে মার্সেলের পরিবেশক ‘পুষ্প ইলেকট্রনিক্স’ এর সত্ত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উক্ত অর্থ পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে গত ২৬ মার্চ, ২০২৫ কালিয়াকৈর থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়। মামলা নম্বর-৫৩। উক্ত মামলায় গত ৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন অজয় সাহা।

ঢাকা/এস/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ