দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। বেশ বিরতির পর কাজ করেছেন ঢাকাই সিনেমায়। রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় তাঁকে দেখা যাবে। ঈদের আগে চুপিসারে সিনেমার দৃশ্যধারণে অংশ নিয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন শাকিব খানের সঙ্গে। যদিও এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি জয়া।
সিনেমার গল্পটা একটু অন্য রকম– এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নির্মাতা। এ সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে জয়া অভিনয় না করলেও তিনি সিনেমার প্রধান একটি নারী চরিত্রে থাকছেন বলে জানা গেছে। এ সিনেমা দিয়ে এক যুগ পর পর্দায় দর্শক আবারও দেখবেন শাকিব-জয়ার রসায়ন। ২০১৩ সালে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ সিনেমায় অভিনয়ের পর একসঙ্গে আর অভিনয় করেনি এ জুটি। জানা যায়, এ সিনেমায় শুধু জয়াই নন, সঙ্গে থাকবেন আরও একজন দেশি নায়িকা। তাঁর নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আইটেম গানেও চমক হিসেবে হাজির হবেন জনপ্রিয় আরও এক চিত্রনায়িকা।
এর আগে ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের কথা শোনা গেলেও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। অ্যাকশনধর্মী সিনেমা হবে ‘তাণ্ডব’। এটি প্রযোজনা করছে আলফা আই-এসভিএফ বাংলাদেশ। সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। গত ফেব্রুয়ারিতে এর দৃশ্যধারণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। নানা কারণে সেটি হয়নি। গত ২৪ মার্চ শুরু হয়েছে সিনেমার দৃশ্যধারণ। পরিচালকের সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন আদনান আদিব খান, যিনি ‘তুফান’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। নির্মাতা সূত্রে জানা যায়, সিনেমাটি ঈদুল আজহায় মুক্তির লক্ষ্যেই নির্মিত হতে যাচ্ছে। গত ২৮ মার্চ শাকিবের জন্মদিনে প্রকাশ হয়েছে সিনেমার ফার্স্ট লুক।
এদিকে, একসঙ্গে খুব বেশি কাজ না করলেও জয়া আহসান ও শাকিব খান দু’জনই আলাদা ব্যস্ত ছিলেন কাজ নিয়ে। জয়া আহসান ঢাকার পাশাপাশি কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও কাজ করেন। সেখানকার সিনেমা নিয়ে তাঁর ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। দেশের প্রেক্ষাগৃহে গত বছর মুক্তি পেয়েছিল তাঁর দুটি সিনেমা।
এবারের ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত সিরিজ ‘জিম্মি’। এটি নির্মাণ করছেন আশফাক নিপুণ। এ সিরিজ দিয়েই প্রথমবার প্রধান চরিত্রে ওটিটিতে যাত্রা শুরু করলেন এ অভিনেত্রী। এর আগেও তাঁকে ওটিটিতে দেখা গেছে। নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ-২’ সিরিজে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষা আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে
বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, এই লক্ষ্যে মেডিকেল শিক্ষার কারিকুলাম ঢেলে সাজাতে হবে এবং পরিবর্তন আনতে হবে সেবা দেওয়ার পদ্ধতিতে। শনিবার বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের ২৪তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার তিন দিনব্যাপী শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হবে আজ রোববার। সম্মেলনে বাংলাদেশে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার নানা দিক নিয়েও আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, কিছু কিছু চিকিৎসা আছে যেগুলো প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা পদ্ধতি ও ওষুধ দিয়ে সুস্থ রাখা যায়। এ ব্যাপারে মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছু শারীরিক পরিশ্রম করার পাশাপাশি কমদামি ম্যাটফরমিন নামক ট্যাবলেট দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এ ছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের অনেক ওষুধ আছে যেগুলো এখনও কার্যকর এবং দামও কম। মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা যতদূর সম্ভব মানুষের আর্থিক খরচ কমিয়ে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
‘সবার জন্য উন্নত চিকিৎসা’ স্লোগানে এ আয়োজনে অন্তত ১০টি সেশনে শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হচ্ছে। সম্মেলনে দেশের দুই হাজারেরও বেশি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নিচ্ছেন। এবারের সম্মেলনে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্সসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে ১০ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নিয়েছেন। তারা অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে বিশ্বমানের চিকিৎসা পদ্ধতির সংযোগ স্থাপনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনির-উজ-জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. সরোয়ার বারী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সোসাইটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ জাকারিয়া আল আজিজ।
অধ্যাপক মনির-উজ-জামান বলেন, মেডিসিন হলো চিকিৎসা ব্যবস্থার মূলধারা, যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বল্প খরচে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করে। বর্তমানে দেশে ১১৪টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ৩৭টি সরকারি থাকলেও, মেডিসিন বিভাগের জনবল এখনও প্রয়োজনের তুলনায় কম। তিনি সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় নতুন পদ সৃষ্টি ও পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের জোর দাবি জানান। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক মনির-উজ-জামান।