রেকর্ড গড়তে মানুষ কত রকম কাণ্ডই না করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের একটি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে অভিনব এক কাণ্ড ঘটিয়েছে।
৩০৯ জন নারী–পুরুষ উজ্জ্বল হলুদ রঙের ‘কলা টুপি’ (বানানা হ্যাট) পরে ওই জাদুঘরে হাজির হয়েছিলেন। হঠাৎ দেখে কারও মনে হতে পারে যে জাদুঘর প্রাঙ্গণে বুঝি বিশাল বিশাল আকারের কলা হেঁটে বেড়াচ্ছে!
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। ওই দিন স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সেন্ট লুইসের সিটি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ এই রেকর্ড গড়েছে। তাদের এই আয়োজন পর্যবেক্ষণ করতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এক কর্মকর্তা।
পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি ঘোষণা করেন, সেন্ট লুইসের সিটি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষই এখন পর্যন্ত কলা টুপি পরে এক জায়গায় সবচেয়ে বেশি মানুষ জমায়েত হওয়ার রেকর্ডের মালিক। সেদিন কলা টুপি পরে মোট ৩০৯ জন ওই জাদুঘরে জড়ো হয়েছিলেন।
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের “আ-পিল-ইং” রেকর্ড গড়তে আমরা একদল বন্ধু জড়ো হয়েছিলাম। একত্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ কলা টুপি পরে এক জায়গায় জড়ো হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড। আমরা ৩০৯ জন অংশ নিয়েছি! অবশ্যই আপনাকে ছাড়া আমরা এই রেকর্ড গড়তে পারতাম না।’
সেন্ট লুইসের সিটি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়ার ওই আয়োজনের বেশি কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছে। সেসব ছবিতে কলা টুপি পরে অংশগ্রহণকারীদের জাদুঘরের ভেতর ঘুরতে এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সনদ হাতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ দ ঘর
এছাড়াও পড়ুন:
বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আজ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু সবার আগে বিচার বিভাগের স্থায়ী সংস্কার না করা হলে কোনো বিভাগের সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না। বিচার বিভাগের সংস্কার শব্দটা এখন সংস্কারের প্রতিশব্দ হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় আইনগত বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। সেগুলো নজরে এসেছে; এগুলো সংস্কার করা হবে।
আজ সোমবার দিনাজপুরের হাকিমপুরে মহিলা ডিগ্রি কলেজে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেশের বহু মেধাবী শিক্ষার্থী শুধু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারে না। আর্থিক অসচ্ছলতা যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয় সে জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য একটাই, শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থী গড়ে তোলা।’
কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার আজিজ আহমেদ ভূঁঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার হাসানুজ্জামান, দিনাজপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবির, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফত হোসাইন ও হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়।