শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন ইধিকা
Published: 7th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের দর্শকদের ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছেন টলিউডের চিত্রনায়িকা ইধিকা পাল। ঈদে মুক্তি পেয়েছে শাকিব-ইধিকা জুটির দ্বিতীয় সিনেমা ‘বরবাদ’। এই জুটির প্রথম সিনেমা ‘প্রিয়তমা’। প্রিয়তমা সিনেমার পরে দর্শকরা এই জুটিকে ভালোবেসেছেন এবং তারা প্রত্যাশা বাড়িয়েছেন।
ইধিকা পাল একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘প্রিয়তমার পরে আমার মনে হয় কোথাও গিয়ে দর্শকের এক্সেপেকটেশন অনেকটা বেড়ে গেছে। বরবাদে কাজ করার আগে আমাকে এটা মাথায় রাখতে হয়েছে, দর্শকের এক্সপেকটেশন লেভেলটা আমাকে ছুঁতে হবে বা তার থেকে বেটার পারফর্ম করতে হবে। ’’
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে কাজ করতে পেরে আনন্দিত ইধিকা। দর্শকদের প্রতি ভালোবাসারও কমতি নেই এই নায়িকার। আবার দর্শকদের ভালোবাসাও উপভোগ করছেন তিনি। তবে শাকিবকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলে যাননি ইধিকা।
ইধিকার ভাষায়, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ আমাকে চিনেছে শাকিব খানের জন্য। উনি যদি প্রিয়তমাতে কাজ করার সুযোগ আমাকে না করে দিতেন, তাহলে হয়তো আমি ওই সিনেমাটাই করতে পারতাম না। আর যদি ওই সিনেমাটা না করতে পারতাম তাহলে বাংলাদেশের মানুষ আমাকে চিনতেই পারতো না।’’
আরো পড়ুন:
ফ্যান্টাসি কিংডমে নতুন ৩ রাইড, বিনোদনে বাড়তি সংযোজন
ঈদের ঢাকা: মিরপুরে জাতীয় চিড়িখানায় উৎসবের আমেজ
প্রিয়তমা সিনেমার পরে শাকিবের সঙ্গে আবার কাজ করার জন্য ইধিকা পাল নাকি মুখিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার প্রথম ডেবিউ উনার সঙ্গে করেছি। তার জন্য আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করি। আর অবশ্যই একজন স্টারের সঙ্গে কাজ করার জন্য শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশ, কলকাতার প্রত্যেক আর্টিস্টই মুখিয়ে থাকে। আমিও শাকিবের সঙ্গে কাজ করার জন্য সামহাউ মুখিয়েই ছিলাম।’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ কর র প র য়তম
এছাড়াও পড়ুন:
কণ্ঠস্বরকে সুস্থ রাখতে চাই সচেতনতা
ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে কণ্ঠের ওঠানামা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কথা কী প্রভাব সৃষ্টি করবে, তার ৩৮ শতাংশ নির্ভর করে কণ্ঠের ওঠানামার ওপর। পেশাগত কণ্ঠ ব্যবহারকারী মানুষ যেমন গায়ক, অভিনেতা, শিক্ষক, উকিল, ধারাভাষ্যকার, বিক্রয়কর্মী, কলসেন্টারের কর্মী, কণ্ঠশিল্পীদের জন্য কণ্ঠই সবকিছু।
কণ্ঠনালির প্রদাহএ প্রদাহ দুই ধরনের। সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদি ল্যারিনজাইটিস। ভাইরাস, আবহাওয়া পরিবর্তন, পরিবেশদূষণেও কণ্ঠনালির প্রদাহ হতে পারে। পাকস্থলীর অ্যাসিড রিফ্লাক্সের জন্য কণ্ঠনালির দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হতে পারে। ধূমপান, অতিরিক্ত চা বা পানীয় পান করলে, হাঁপানির জন্য ইনহেলার ব্যবহার করলে বা যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের দীর্ঘমেয়াদি ল্যারিনজাইটিস হতে পারে।
কণ্ঠস্বরের অতিব্যবহারঅতিরিক্ত চিৎকারের কারণে যেমন স্বর ভেঙে যায়, তেমনি আবার মৌসুম বদলের সময়ও এমন সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। তাপমাত্রার তারতম্যের সময় কণ্ঠনালি বা টনসিলের প্রদাহের উপসর্গ হিসেবে স্বর ভেঙে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
তবে কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে রোগী স্বর ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন: কণ্ঠস্বরের ওপর যাঁদের খুব বেশি চাপ পড়ে (যেমন গায়ক, আবৃত্তিকার, শিশুদের শিক্ষক)। তাঁদের স্বরতন্ত্রীতে ছোট ছোট গোটা হতে পারে (নডিউল)। এ রকম হলে স্বর অস্বাভাবিক রয়ে যায় দীর্ঘদিন। স্বর ভাঙার অন্যান্য কারণ হলো থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি, ফুসফুস বা শ্বাসতন্ত্রের ক্যানসার, স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহার ইত্যাদি।
মৌসুমের কারণে কণ্ঠনালির প্রদাহ হলে গলাব্যথা, জ্বর, কাশি ও সর্দির মতো উপসর্গ থাকে।
থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিতে ওজন বৃদ্ধি, শীতপ্রবণতা, দুর্বলতা, বিষণ্নতা, চিন্তায় ও কাজে ধীরতা, চুল পড়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়।
ফুসফুস বা শ্বাসতন্ত্রের ক্যানসারে ওজন হ্রাস, বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
কণ্ঠস্বরের যত্নে যা করতে হবে● কণ্ঠস্বরের সমস্যা তিন সপ্তাহের বেশি থাকলে নাক–কান–গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
● আর্দ্রতা কণ্ঠের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি, তাই প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে।
● কণ্ঠ ব্যবহারে সাবধানী হোন। অতিউচ্চ বা পরিবর্তিত স্বরে কথা বলবেন না।
● ধূমপান, অ্যালকোহল, তামাক, গাঁজা ও অন্যান্য নেশা সম্পূর্ণ পরিহার করুন।
● ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে খাওয়া শেষ করুন এবং অল্প আহার করুন।
● অতিরিক্ত টেলিফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
● অপ্রয়োজনে বারবার গলা পরিষ্কার ও কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
● শুষ্ক আবহাওয়া কণ্ঠের জন্য ক্ষতিকর। শীতাতপ যন্ত্রের বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকে, এটি কণ্ঠের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। রাতে আর্দ্রতা বৃদ্ধিকারী যন্ত্র ব্যবহার করুন।
● গলা শুকনো থাকলে অথবা মিউকাস জমে থাকলে জোরে কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করার চেষ্টা করা ক্ষতিকর।
● যখন বেশি মিউকাস উৎপন্ন হয়, তখন মিউকাস তরলকারী ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
আমরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করি প্রধানত কণ্ঠের মাধ্যমে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও খাওয়ার বদভ্যাস কণ্ঠস্বরের নানা সমস্যার জন্ম দেয়। তাই সঠিক কণ্ঠস্বর বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক, ইএনটি হেড নেক সার্জারি, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, ঢাকা