লক্ষ্মীপুরে হাত ভাঙার ভুয়া এক্স-রে প্রতিবেদন দেখিয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অন্য একজনের এক্সরে রিপোর্ট মামলার ডকুমেন্ট হিসেবে থানায় জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরে পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকায়। মামলার বাদী রুবিনা ইয়াছমিন। তিনি একই এলাকার ফরিদ হোসেনের স্ত্রী। 

রবিবার (৬ এপ্রিল) অভিযোগকারী স্কুলশিক্ষিকা দিল আফরোজা সাংবাদিকদের জানান, ভুয়া হাত ভাঙার প্রতিবেদনে দায়েরকৃত মামলায় তার স্বামী কলেজ শিক্ষক খোকন আলম পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর এ কারণে ঈদের দিন শিক্ষক পরিবারটির ঘরে চুলার আগুন জ্বলেনি, বিলীন হয়ে গেছে ঈদ আনন্দ।  

ভুক্তভোগী শিক্ষক খোকন আলম একই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। 

দিল আফরোজা বলেন, “রুবিনা ইয়াছমিনদের সঙ্গে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। বিরোধীয় জমিতে ১৪৪ ধারা মামলা রয়েছে। ২৫ মার্চ ঘরে ঢুকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রুবিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে তিনি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এতে ফেয়ার ডাগনস্টিক সেন্টারের একটি এক্সরে প্রতিবেদন দেখিয়ে সদর হাসপাতাল থেকে পুলিশ কেসের টোকেন নেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনটি ভুয়া ছিল। লিপি আক্তার নামে এক রোগীর প্রতিবেদনের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে রুবিনা মামলার জন্য মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। মূলত রুবিনার হাত ভাঙেনি। আমার স্বামীকে ফাঁসাতে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।” 

ফেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী মো.

রেজাউল করিম ও কম্পিউটার অপারেটর নন্দ দুলাল সরকার স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্রে রুবিনার এক্স-রে প্রতিবেদনটি ভুল বলে সত্যতা নিশ্চিত করা হয়। নন্দ দুলাল সরকার বলেন, “রুবিনার সাথের লোক আমাকে ভুল বুঝিয়ে অন্য একজনের এক্সরে প্রতিবেদন নিয়ে গেছে। মূলত তিনি কোন এক্স-রে করেননি।”

এদিকে রুবিনা ইয়াসমিন বলেন, “আমার হাত ভেঙেছে। আমি মামলা করেছি। এক্স-রে প্রতিবেদন সঠিক।” 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বলেন, “মামলার ঘটনাটি তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/লিটন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক স র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে গুলি করে হত্যা, ভুল স্বীকার

ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১০-১৫ তলারও বেশি উচ্চতায় উঠে নিচে পড়ে যাচ্ছে মানুষ। মনে হচ্ছে, তারা আকাশে উড়ছে! নিচে বিশাল ইট-সুরকি-ধুলার কুণ্ডলী। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপ পুরো ভবন। সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি ভিডিওতে এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আজান শুরু হতেই বোমা হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মসজিদ। থেমে যায় মুয়াজ্জিনের কণ্ঠস্বর। এভাবে একের পর এক ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। রাতে ঘুমিয়ে থাকা নারী-শিশুর শরীর ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের। 

গতকাল রোববার ভোরে গাজার খান ইউনিসের একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বোমা হামলায় সেখানে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে নারী-শিশুর মরদেহ। ওই হামলা থেকে বেঁচে ফেরা খান ইউনিসের বাসিন্দা জামাল আল-মধুন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘরগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেল। আমরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আটজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তাদের সবাই নারী ও শিশু। একজন পুরুষও নেই। এই নিরীহ নারী-শিশু সবার মরদেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। 

গত ২৩ মার্চ গাজায় ১৫ জন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) তাদের ভুল স্বীকার করেছে। তারা শুরুতে দাবি করেছিল, অন্ধকারে হেডলাইট বা ফ্ল্যাশলাইট ছাড়া গাড়িবহরের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা গুলি চালিয়েছিল। তবে নিহত প্যারামেডিকদের একজনের তোলা মোবাইল ফোনের ফুটেজে দেখা গেছে, আহতদের সাহায্য করার জন্য ডাকাডাকির সময় যানবাহনগুলোয় আলো জ্বালানো ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর হামলায় অন্তত ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবরুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ করা অঞ্চলে ইসরায়েলের পোলিও টিকা দিতে বাধা দেওয়াকে টাইম বোমার সঙ্গে তুলনা করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় টিকা দিতে বাধা দেওয়ায় গাজার ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ী পক্ষাঘাত ও দীর্ঘস্থায়ী অক্ষমতার ঝুঁকিতে রয়েছে। 
এদিকে, যুক্তরাজ্যের আইনসভার দুই সদস্যকে আটক করেছে ইসরায়েল। একটি প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে তারা ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন। পরে ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সংসদ সদস্যরা রোববার ভোরে দেশ ছেড়েছেন। 

গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস ইন প্যালেস্টাইন’। ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল আনটিল জেনোসাইড স্টপস’ নামে আজ সোমবার বিশ্বজুড়ে এ অবরোধ পালনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
  • ভুমি ভাবতেই পারেননি তার জীবনে এই সুযোগ আসবে
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমণিকে রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: শেখ সাদী
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমনিকে রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: শেখ সাদী
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমনিকে  তাদের রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: সাদী
  • সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত, মদ্যপ পরিচালক গ্রেপ্তার
  • ম্যারাডোনা: কখনো দেবতা, কখনো বিপ্লবী, আবার কখনো জোচ্চোর ও মাদকসেবী
  • গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত, নিহত আরো অর্ধশতাধিক
  • গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে গুলি করে হত্যা, ভুল স্বীকার