দাম্পত্য সম্পর্ক নতুনভাবে রাঙিয়ে নেওয়ার চার উপায়
Published: 7th, April 2025 GMT
দাম্পত্য সম্পর্কে একটা সময় শীতলতা নেমে আসে। সম্পর্ককে নতুনভাবে রাঙিয়ে নেওয়াটা খুব কঠিন নয়। সম্পর্ক মানে একে অপরের প্রতি মানসিক নির্ভরতা-তাই সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মনোযোগ।
সময় দিন: সম্পর্ক রাঙিয়ে তোলার জন্য সময় বিনিয়োগ করা জরুরি। একসঙ্গে বসে গল্প করা, একে অন্যের ভালো স্মৃতিগুলো মনে করিযে দেওয়া। প্রিয়জনের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। এমনকি স্বপ্নের কথাগুলো শোনা আর সেগুলো পূরণে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া। এই অভ্যাসটুকু গড়ে তুলতে পারলে দুজনের একসঙ্গে সময় কাটানোর প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
শারীরিকভাবে কাছে থাকুন: এই সময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘শারীরিক দূরত্ব দুই জনের সম্পর্কের মধ্যে একটা দেয়াল তুলে দিতে পারে। তাই শুধু মানসিকভাবে নয়, শারীরিকভাবেও কাছাকাছি থাকা জরুরি।’’
আরো পড়ুন:
ছুটিতে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে যেসব ব্যায়াম করতে পারেন
ঈদের ছুটিতে সুস্থ থাকতে এই পাঁচ কাজ করবেন না
ভালোবাসা প্রকাশ করুন: দাম্পত্য সম্পর্ক মধুর করে তুলতে নানাভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করা জরুরি। সঙ্গীকে কেন ভালো লাগে, কখন বেশি ভালো লাগে, কোন হেয়ার স্টাইলে তাকে সবচেয়ে স্মার্ট লাগে, সঙ্গীর নিজস্বতা আপনাকে কীভাবে প্রভাবিত করে এগুলো বলুন। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো সম্পর্ক মজবুত এবং শক্তিশালী করে তোলে।
সম্পর্কে প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব এড়িয়ে চলুন: বর্তমানে অনেক দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলছে শুধুমাত্র সঙ্গীর অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের প্রভাবে। কাছাকাছি থাকার পরেও একজন আরেকজনের কাছাকাছি আসার সুযোগ কমে যায়। ফোন দুইজনের মাঝে তৃতীয়জনের ভূমিকা পালন করে। এতে সম্পর্ক স্বাভাবিক মাত্রা হারিয়ে ফেলে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আজ ঢাকা আসছে আইএমএফের প্রতিনিধিদল
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের বাকি ২৩৯ কোটি ডলার বাংলাদেশ পাবে কিনা তা নিশ্চিত করতে শনিবার (৫ এপ্রিল) ঢাকায় আসছে সংস্থাটির প্রতিনিধিদল।
সফরে ভর্তুকি কমানো, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করাসহ বিভিন্ন শর্ত নিয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করবে তারা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইএমএফের কিস্তি আটকে গেলে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে রক্ষণশীল হতে পারে বিশ্বব্যাংক, এডিবির মতো উন্নয়ন সহযোগীরা।
তবে অর্থ উপদেষ্টা বলছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে এই মুহূর্তে আইএমএফের সব শর্ত বাস্তবায়ন করা যাবে না।
অর্থপাচার, খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে বাংলাদেশের বিপর্যস্ত অর্থনীতির সহায়তায় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়া শুরু করে আইএমএফ। এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পাওয়া গেছে। বাকি দুই কিস্তির ২৩৯ কোটি ডলার বাজেট সহায়তার জন্য একসঙ্গে চায় সরকার। যা মিলতে পারে জুনে।
চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি দেখতে ঢাকায় আসছে আইএমএফের একটি দল। ঋণ পেতে মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, জিডিপির দশমিক পাঁচ শতাংশ হারে বাড়তি রাজস্ব আদায়, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোসহ বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। যা নিয়ে ৬ এপ্রিল থেকে টানা দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্থিতি নানা উদ্যোগেও আটকে আছে ৯ শতাংশে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনমনে অসন্তোষ বাড়াবে। অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, “বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে বা এ খাতে ভর্তুকি তুলে নেওয়া হলে নতুন করে মূল্যস্ফীতির চাপ তৈরি হবে। তার দায় কে নেবে?”
আইএমএফের শর্ত মেনে অন্তত ৫৭ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আদায় করতে হবে। কমাতে হবে কর অব্যাহতি। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ট্যাক্সের ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য দেওয়া হয়। এটি যৌক্তিকরণের একটি পরিকল্পনা করতে হবে।”
ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ করায় হু হু করে বাড়তে থাকা ডলারের দাম আপাতত ১২২ টাকায় স্থিতিশীল। এবার আইএমএফই চায় এই পদ্ধতি থেকে বের হোক বাংলাদেশ। যার সঙ্গে একমত নন খোদ অর্থ উপদেষ্টা।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “হঠাৎ করে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে পরিস্থিতি পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে। বিপদে পড়তে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় লাগবে।”
তবে আইএমএফের শর্ত মেনে এনবিআরের রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ঢাকা/হাসান/ইভা