বাড়ি থেকে ফেরার পথে কুমিল্লায় হঠাৎ অসুস্থ বিএনপি নেতা বরকতউল্লা, নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়
Published: 7th, April 2025 GMT
নোয়াখালী থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে কুমিল্লা নগরের ঝাউতলা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।
আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বরকতউল্লাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বরকতউল্লার স্ত্রী শামীমা বরকত।
শামীমা বরকত মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামীর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাঁকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সকাল সাতটার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
এর আগে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে ঢাকায় ফেরার পথে লাকসামে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা বরকতউল্লা।
গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে বরকতউল্লার সঙ্গে থাকা কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা বলেন, ‘বুলু ভাই দলীয় ও ব্যক্তিগত কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে লাকসামে হঠাৎ তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এরপর দ্রুত তাঁকে কুমিল্লা শহরে নিয়ে আসা হলে আমরা তাঁকে মুন হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসক দ্রুত তাঁকে সিসিইউতে পাঠান।’
ইউসুফ মোল্লা আরও বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন, বরকতউল্লার ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে। এ জন্য শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে ভয়ের কিছু নেই বলেও চিকিৎসক জানিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা এমএসএফের
মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা বলেছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা ছাড়া কাউকে আটক রাখা আইন পরিপন্থী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানায় এমএসএফ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কোনো মামলা না করে মেঘনা আলমকে দুই দিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে রেখে তৃতীয় দিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এমএসএফ মনে করে, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত রাখতে সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ নিতে পারে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির চেষ্টা করা এবং দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে মেঘনাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি কী ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন, তা ডিএমপির পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলা হয়নি।
আরও পড়ুনবিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ, মডেল মেঘনা কারাগারে১১ এপ্রিল ২০২৫উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আজ প্রথম আলোকে বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিকর কাজ থেকে তাঁকে নিবৃত্ত রাখার জন্য আটক করতে পারেন। মডেল মেঘনা আলম ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত। যে কারণে তাঁকে গতকাল রাতে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন।
আরও পড়ুনমডেল মেঘনা আলমকে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ রাখার কারণ হিসেবে যা বলল পুলিশ১১ এপ্রিল ২০২৫