গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে এবার চুরি হলো আফ্রিকান লেমুর
Published: 7th, April 2025 GMT
গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে এবার চুরি হলো আফ্রিকান লেমুর। এই পার্কে একের পর এক প্রাণী চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর আগেও, ২০২২ সালে দুটি ম্যাকাও পাখি এবং ২০২৩ সালে একটি নীলগাই নিখোঁজ হয়েছিল।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২২ মার্চ দিবাগত রাতে পার্কে থাকা তিনটি লেমুর (দুটি শাবক ও একটি প্রাপ্তবয়স্ক) চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ বা অগ্রগতি দেখা যায়নি।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাচারকালে লাভবার্ড, কাকাতুয়া, ম্যাকাও, ময়ুর, দুইটি লেমুরসহ ২০২ জোড়া বিপন্ন পাখি ও বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ও ঢাকা কাস্টমস হাউস। উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলো পরবর্তীতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের মাধ্যমে সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়। ওই লেমুর জোড়াটি পার্কে প্রথমবারের মতো বাচ্চা দেয়। ২০২২ সালে একটি লেমুর মারা গেলে বাকি তিনটি পার্কে ছিল। সর্বশেষ এই তিনটি লেমুর চুরির ঘটনায় বেষ্টনী এখন পুরোপুরি ফাঁকা।
বন বিভাগ দাবি করেছে যে, পার্ক থেকে লেমুর চুরির পর দেশে আর কোনো লেমুর অবশিষ্ট নেই।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানিয়েছেন, পার্ক থেকে তিনটি লেমুর চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং থানায় মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ওমানের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা শেষ বাংলাদেশের
শেষ বাঁশির পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কেউ কেউ হতাশায় শুয়ে পড়লেন টার্ফে। কেউ মাথা নিচু করে বসে রইলেন, কেউ নির্বাক দাঁড়িয়ে। এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) কাপে টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নদের এবার ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। আশরাফুল, পুষ্কর খীসাদের সব হাসি কেড়ে নিয়েছে ওমান। জাকার্তায় আজ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৫-৪ গোলে হেরে গেছে ওমানের কাছে। জয়ের পর উল্লাসে মেতে ওঠেন ওমানের খেলোয়াড়েরা।
প্রথম কোয়ার্টারে ওমান এগিয়ে গিয়েছিল। পরক্ষণেই সেই গোল শোধ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশও এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। এরপর ওমানের দুই গোলে স্কোরলাইন ৩-২। তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই ৪-২ করে ওমান। বাংলাদেশ ৪-৩ করে ব্যবধান কমায়। চতুর্থ কোয়ার্টারে পঞ্চম গোল করে ম্যাচে নিজেদের প্রাধান্য ধরে রাখে ওমান। শেষ দিকে পেনাল্টি স্ট্রোকে বাংলাদেশ ৫–৪ করলেও লাভ হয়নি।
ওমানের সঙ্গে ফাইনালে বাংলাদেশের দেখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু চার জয়ে বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের সেরা হলেও ওমান ‘এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। চায়নিজ তাইপের সঙ্গে গোলগড়ে পেছনে পড়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিতে ওঠে।
ওমানকে ফাইনালে হারিয়েই ২০২২ সালে সর্বশেষ এএইচএফ কাপ জেতে বাংলাদেশ।
তবে দুই দলের পরের দেখায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে এশিয়ান গেমসে ওমানের কাছে হেরে বাংলাদেশ হয়ে যায় অষ্টম। কয়েক বছর ধরেই হকিতে ওমান বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ। শেষ পর্যন্ত সেই ওমানের কাছে হেরেই এই প্রথম এশিয়ার দ্বিতীয় সারির দলগুলোর টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের।
ওমান নিজেদের দেশে টুর্নামেন্ট খেলেছে সম্প্রতি। পাকিস্তানে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে গেছে জাকার্তা। ওদিকে গত এশিয়ান গেমসের ২২ মাস পর এই প্রথম বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে, সেটাও কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই। অন্যরা যখন ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাংলাদেশ তখন আর্থিক সংকটের কথা বলে কোনো ম্যাচ খেলেনি। তারপরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কোচ মামুন উর রশিদ। কিন্তু ওমান আগের চেয়েও শক্তিশালী হয়েছে, বাংলাদেশ রয়ে গেছে আগের জায়গাতেই।
১৯৯৭ ও ২০২২ সালে প্রথম দুটি এএইচএফ কাপে বাংলাদেশ খেলেনি। এরপর ২০০৮, ২০১২, ২০১৬ ও ২০২২ সালে চারবারই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এবার বড়জোড় তৃতীয় হতে পারে স্থান নির্ধারণী ম্যাচ জিতলে।