রাজশাহীতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত ৪০
Published: 7th, April 2025 GMT
জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কবর জিয়ারতে যাবার সময় রাজশাহীর খড়খড়িতে ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে দুইটি বাসের সংঘর্ষে একটি বাস রাস্তার পাশের খাদে ছিটকে পড়েছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘোড়া পাখিয়া গ্রামের জুয়েল আহমেদ (৪০), নাসিম উদ্দিন (৪৫) ও মিজানুর রহমান (৩২)।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার জানান, দুইটি বাসে প্রায় ৯০ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাণীহাটি ইউনিয়ন শাখা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও সমর্থক। প্রয়াত জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, আলী আহসান মুজাহিদ ও কাদের মোল্লার কবর জিয়ারত করতে তারা যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে বাস দুটি যাবার সময় একটি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে সামনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি ছিটকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকটি পিছনের বাসে ধাক্কা খায়। এতে ওই বাসটিরও এক পাশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে আগুন লেগে যায়। পরে দ্রুত যাত্রীরা নেমে গিয়ে আগুন নিভিয়ে দেয় এবং খাদে পড়ে যাওয়া বাসের যাত্রীদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণো করেন। রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন আরও দুজন মারা যান। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, এ ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে আহতদের মধ্যে ৪৫৭ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে বাংলাদেশ
মিয়ানমারে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে আহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫৭ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিশেষ সহায়তাকারী দল। এই চিকিৎসার অংশ হিসেবে ১৫টি জটিল অস্ত্রোপচারও করা হয়েছে।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের চিকিৎসা সহায়তা দল আজ নেপিডো শহরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট যবুথিরি টাউনশিপ হাসপাতাল, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেয়। এই তিন হাসপাতালে আজ মোট ৫০ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা এবং তিনটি জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বাধীন উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম আগামীকালও চলমান থাকবে।
এর আগে গতকাল শনিবার মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলকে ধসে পড়া মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার অনুরোধ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল আজ সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
১ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দল মিয়ানমারের নেপিডো শহরে উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।