ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপদের মুখে ২০২৬ বিশ্বকাপ
Published: 7th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘটনায় বিশ্ব অর্থনীতি এখন দোলাচলে, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ক্রীড়াজগতেও। খেলাধুলার দুনিয়ায় আয়োজনের ব্যাপকতা, অর্থের সমাগম ও বিশ্বজুড়ে সম্পৃক্ততা বিচারে সবচেয়ে বড় দুটি ইভেন্ট ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক। এ দুটি ইভেন্টেরই পরবর্তী আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া গোটা বিশ্বে খেলাধুলা পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজারও যুক্তরাষ্ট্র।
এমন প্রেক্ষাপটে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের কারণে খেলাধুলায় স্পনসরদের অর্থের জোগান, ক্রীড়া স্থাপনা ও ব্র্যান্ড এবং ক্রীড়াপণ্য প্রস্তুত ও দামে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে স্টক মার্কেটে থাকা ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে দরপতনও ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর প্রথমেই বড় ধাক্কা লাগে স্টক মার্কেটে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্রীড়াসামগ্রী বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান আন্ডারআর্মারের শেয়ারের ১৮.
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার হিসাব অনুসারে, ২০২৪ সালে ১০৩০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রীড়াপণ্য আমদানি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, যার ৬২৭ কোটিরই রপ্তানিকারক চীন। বিশ্ববাজারের বেশির ভাগ ক্রীড়াপণ্যই নির্মিত হয় চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়াসহ এশিয়ার দেশগুলোতে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন, এতে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশ এশিয়ারই। কম্বোডিয়ার জন্য ৪৯%, ভিয়েতনামের ৪৬%, চীনের ৩৪% এবং ইন্দোনেশিয়ার জন্য ৩২% পাল্টা শুল্ক আরোপ হয়েছে। এসব দেশে তৈরি হয় খেলারসহ সব ধরনের ফুটওয়্যার, সাঁতারের পোশাক, ট্র্যাকশুট, আর্টিকলস, বল, গলফ, রেকেটসহ অন্যান্য সামগ্রী।
কোন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, আর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তিনি কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, সেই তালিকা তুলে ধরছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোজ গার্ডেন, হোয়াইট হাউস, ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র, ২ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প
এছাড়াও পড়ুন:
‘মেসিকে মেসির মতো থাকতে দিন’, ভক্ত–সমর্থকদের আর্জেন্টিনার ফুটবলপ্রধানের আহ্বান
লিওনেল মেসি কি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন?
অনেক দিন ধরেই প্রশ্নটি উঠছে। স্বয়ং মেসিই এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন একাধিকবার। তাঁর সব কথার ভেতরে প্রচ্ছন্ন একটি বার্তাই বারবার ফুটে উঠেছে। আগামী বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে মেসি আগেভাগে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চান না। নিজের ফিটনেসে খেয়াল রেখে প্রতিটি দিন ধরে ধরে এগোতে চান। অর্থাৎ বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়া পর্যন্ত মেসি সবদিক থেকে ফিট থাকলে হয়তো খেলবেন। যদিও তাঁর আশপাশের মানুষ বেশ আগে থেকেই আশায় তা দিচ্ছেন। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি থেকে জাতীয় দলের মেসির বেশ কয়েকজন সতীর্থই তাঁকে ২০২৬ বিশ্বকাপে দেখছেন।
আরও পড়ুনএল ক্লাসিকো: যে কারণে রিয়াল জিততে পারে, হারতে পারে যে কারণে৬ ঘণ্টা আগেযেমন দেখছেন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়াও। টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাপিয়া বলেছেন, ‘আশা করি, সে বিশ্বকাপে খেলবে। আমরা সবাই এটা চাই। সে এটার যোগ্য। ব্যাপারটা তার ওপর নির্ভর করছে, তার ইচ্ছা ও সে কেমন করছে, তার ওপর।’
অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত মেসির। কিন্তু সেটি তিনি জানানোর আগেই চারপাশ থেকে তাঁর খেলার বিষয়ে প্রত্যাশার বেলুনও ফোলানো হচ্ছে প্রচুর। তাপিয়া এখানে ব্যতিক্রম। তাঁর চাওয়া মেসিকে খামাখা চাপে না ফেলে তিনি নিজের মতো থাকুক, খেলাটি উপভোগ করুক, ‘তাকে তার মতো থাকতে দিতে হবে, উপভোগ করতে দিতে হবে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কে আমরা নিজেদের জাতীয় দলে খেলতে দেখছি, এটাই তো যথেষ্ট।’
এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া