গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে গুলি করে হত্যা, ভুল স্বীকার
Published: 7th, April 2025 GMT
ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১০-১৫ তলারও বেশি উচ্চতায় উঠে নিচে পড়ে যাচ্ছে মানুষ। মনে হচ্ছে, তারা আকাশে উড়ছে! নিচে বিশাল ইট-সুরকি-ধুলার কুণ্ডলী। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপ পুরো ভবন। সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি ভিডিওতে এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আজান শুরু হতেই বোমা হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মসজিদ। থেমে যায় মুয়াজ্জিনের কণ্ঠস্বর। এভাবে একের পর এক ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। রাতে ঘুমিয়ে থাকা নারী-শিশুর শরীর ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের।
গতকাল রোববার ভোরে গাজার খান ইউনিসের একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বোমা হামলায় সেখানে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে নারী-শিশুর মরদেহ। ওই হামলা থেকে বেঁচে ফেরা খান ইউনিসের বাসিন্দা জামাল আল-মধুন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘরগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেল। আমরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আটজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তাদের সবাই নারী ও শিশু। একজন পুরুষও নেই। এই নিরীহ নারী-শিশু সবার মরদেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
গত ২৩ মার্চ গাজায় ১৫ জন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) তাদের ভুল স্বীকার করেছে। তারা শুরুতে দাবি করেছিল, অন্ধকারে হেডলাইট বা ফ্ল্যাশলাইট ছাড়া গাড়িবহরের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা গুলি চালিয়েছিল। তবে নিহত প্যারামেডিকদের একজনের তোলা মোবাইল ফোনের ফুটেজে দেখা গেছে, আহতদের সাহায্য করার জন্য ডাকাডাকির সময় যানবাহনগুলোয় আলো জ্বালানো ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর হামলায় অন্তত ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবরুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ করা অঞ্চলে ইসরায়েলের পোলিও টিকা দিতে বাধা দেওয়াকে টাইম বোমার সঙ্গে তুলনা করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় টিকা দিতে বাধা দেওয়ায় গাজার ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ী পক্ষাঘাত ও দীর্ঘস্থায়ী অক্ষমতার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের আইনসভার দুই সদস্যকে আটক করেছে ইসরায়েল। একটি প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে তারা ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন। পরে ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সংসদ সদস্যরা রোববার ভোরে দেশ ছেড়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস ইন প্যালেস্টাইন’। ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল আনটিল জেনোসাইড স্টপস’ নামে আজ সোমবার বিশ্বজুড়ে এ অবরোধ পালনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে গুলি করে হত্যা, ভুল স্বীকার
ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১০-১৫ তলারও বেশি উচ্চতায় উঠে নিচে পড়ে যাচ্ছে মানুষ। মনে হচ্ছে, তারা আকাশে উড়ছে! নিচে বিশাল ইট-সুরকি-ধুলার কুণ্ডলী। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপ পুরো ভবন। সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি ভিডিওতে এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আজান শুরু হতেই বোমা হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মসজিদ। থেমে যায় মুয়াজ্জিনের কণ্ঠস্বর। এভাবে একের পর এক ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। রাতে ঘুমিয়ে থাকা নারী-শিশুর শরীর ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের।
গতকাল রোববার ভোরে গাজার খান ইউনিসের একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বোমা হামলায় সেখানে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে নারী-শিশুর মরদেহ। ওই হামলা থেকে বেঁচে ফেরা খান ইউনিসের বাসিন্দা জামাল আল-মধুন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘরগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেল। আমরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আটজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তাদের সবাই নারী ও শিশু। একজন পুরুষও নেই। এই নিরীহ নারী-শিশু সবার মরদেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
গত ২৩ মার্চ গাজায় ১৫ জন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) তাদের ভুল স্বীকার করেছে। তারা শুরুতে দাবি করেছিল, অন্ধকারে হেডলাইট বা ফ্ল্যাশলাইট ছাড়া গাড়িবহরের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা গুলি চালিয়েছিল। তবে নিহত প্যারামেডিকদের একজনের তোলা মোবাইল ফোনের ফুটেজে দেখা গেছে, আহতদের সাহায্য করার জন্য ডাকাডাকির সময় যানবাহনগুলোয় আলো জ্বালানো ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর হামলায় অন্তত ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবরুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ করা অঞ্চলে ইসরায়েলের পোলিও টিকা দিতে বাধা দেওয়াকে টাইম বোমার সঙ্গে তুলনা করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় টিকা দিতে বাধা দেওয়ায় গাজার ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ী পক্ষাঘাত ও দীর্ঘস্থায়ী অক্ষমতার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের আইনসভার দুই সদস্যকে আটক করেছে ইসরায়েল। একটি প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে তারা ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন। পরে ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সংসদ সদস্যরা রোববার ভোরে দেশ ছেড়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস ইন প্যালেস্টাইন’। ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল আনটিল জেনোসাইড স্টপস’ নামে আজ সোমবার বিশ্বজুড়ে এ অবরোধ পালনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।