বনে বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে উচ্ছেদ আতঙ্ক
Published: 6th, April 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বনের জমিতে গড়ে তোলা বসতিতে উচ্ছেদ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা না করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। গতকাল রোববার তিন শতাধিক গ্রামবাসী বিক্ষোভ সমাবেশের পর এক সংবাদ সম্মেলনে করে এমন দাবি তুলে ধরেন। তাদের উচ্ছেদ না করে বন রক্ষায় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজে লাগানোরও আহ্বান জানানো হয় সেখানে।
এলাকাবাসীর তথ্যমতে, রাখালিয়াচালা গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় বনের পতিত জমিতে সহস্রাধিক পরিবার ১০-১৫ বছর ধরে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। সম্প্রতি বন বিভাগের কালিয়াকৈর রেঞ্জ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে যৌথ বাহিনীর তত্ত্বাবধানে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। ইতোমধ্যে কয়েকশ বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া
হয়েছে। এ কারণে কালিয়াকৈর রেঞ্জ ও
কাঁচিঘাটা রেঞ্জে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
রোববারের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া রাখালিয়াচালার বসতি স্থাপনকারী হাসান খান আবু হানিফ, শিক্ষক নাসির উদ্দিনসহ কয়েকজন বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে পাশের সিনাবহ গ্রামে বনের জমিতে গড়ে তোলা বসতি উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেখানে বন বিভাগের লোকজন তাণ্ডব চালায়। এ কারণে উপজেলার নানা জায়গায় বনের জমিতে বসতি স্থাপনকারী কয়েক হাজার পরিবারে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা জানতে পেরেছেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে রাখালিয়াচালায়ও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। দীর্ঘদিন ধরে যারা এখানে বসবাস করছেন, তাদের উচ্ছেদ না করার
আহ্বান জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই এলাকায় বনের জমিতে ৫ আগস্টের পর কেউ ঘর নির্মাণ করেননি। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তা অপপ্রচার করে এলাকায় বসতি স্থাপনকারী শান্তিপূর্ণ মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছেন। বন কর্মকর্তাদের কাছে তাদের দাবি, এভাবে উচ্ছেদ করে এসব মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।
গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। তিনি সেখানে বলেন, ‘আমরা বনের ক্ষতি না করেই দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। একটি মহল মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে উচ্ছেদ করানোর চেষ্টা করছে।’ বনের জমিতে যারা বসতি স্থাপন করেছেন, তাদের উচ্ছেদ না করে বন রক্ষায় সহায়ক শক্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে বন বিভাগের মৌচাক বিট কর্মকর্তা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আতঙ ক বন ব ভ গ র স থ পনক র এল ক য় আতঙ ক
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানের প্রতি উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান চীন-যুক্তরাষ্ট্রের
কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে। সীমান্তে চতুর্থ রাতের মতো গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে উত্তেজনা নিরসনে দুই পক্ষকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।
সংযম প্রদর্শনের আহ্বান চীনের
রোববার পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে কথা বলেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং ই। পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান যে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে, তার প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন তিনি।
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে ওয়েং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘চীন একটি দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের পক্ষে এবং বিশ্বাস করে যে, এই সংঘাত পাকিস্তান ও ভারত কারো মৌলিক স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে না, তা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যেও উপকারী নয়।’
দুই পক্ষই সংযম প্রদর্শন করবে এবং উত্তেজনা নিরসনে এগিয়ে আসবে, এমনটা প্রত্যাশা তার। ওয়েং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামির সঙ্গেও আলাপ করেছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ‘ভারতের মিথ্যা দাবি, ভিত্তিহীন প্রচারণা এবং একতরফা পদক্ষেপ’ নিয়ে তারা কথা বলেছেন।
‘দায়িত্বশীল সমাধান’ চায় যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর রোববার জানিয়েছে তারা ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। দুই দেশই যাতে একটি ‘দায়িত্বশীল সমাধান’ নিয়ে কাজ করে সেটি চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন তারা দুই দেশের মধ্যকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত ও পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ রেখেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে একটি দায়িত্বশীল সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে।’
হামলার পরপর যুক্তরাষ্ট্র ভারতের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছিল। চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় ভারত। নিজেদের কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও। সূত্র: ডয়েচে ভেলে