বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে বেশ কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, পরিচিতি, বিভিন্ন পরিষদ, মহাসচিব, শান্তিরক্ষা মিশন, বিশেষায়িত সংস্থা, বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ, এলডিসি, এসডিজিসহ অন্য তথ্যগুলো শিখে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে হবে। যেমন– বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সার্ক, আসিয়ান, বিমসটেক, ব্রিকস, ওআইসি, কমনওয়েলথ, ন্যাম, আরব লিগ, অ্যামনেস্টি, জিসিসি, জি-২০, জি-৭ এবং ওপেক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসব সংস্থার প্রতিষ্ঠাকাল, সদরদপ্তর, মহাসচিব, সদস্য সংখ্যা, সর্বশেষ সম্মেলন এবং আলোচিত অন্য তথ্যগুলো জানতে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির টপিকস ভিত্তিক সাজেশন:
l ভারত, চীন, জাপান, মিয়ানমার, ইসরায়েল খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নেপাল, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ইরান, ইরাক, তুরস্ক ভালো করে পড়তে হবে।
l ইউরোপ মহাদেশ থেকে রাশিয়া, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া স্ক্যান্ডেনেভিয়ান রাষ্ট্র কী কী, তাদের রাজধানী জানতে হবে।
l আফ্রিকা মহাদেশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, মিসর খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া আফ্রিকার শিং, আরব বসন্ত পড়তে হবে।
l উত্তর আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্র খুব গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা, অঙ্গরাজ্য, বিভিন্ন প্রেসিডেন্টের অবদান, হোয়াইট হাউস, আইনসভা ভালো করে পড়তে হবে।
l সংগঠনগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘ থেকে গঠনের প্রেক্ষাপট, সদরদপ্তর, মূল অঙ্গসংগঠন, শান্তিরক্ষী বাহিনী, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ ভালো করে পড়তে হবে। জাতিসংঘভুক্ত বিভিন্ন সংস্থার সদরদপ্তর খুব গুরুত্বপূর্ণ।
l এ ছাড়া সংগঠনগুলোর মধ্যে ব্রিকস, জি-২০, সার্কের বিস্তারিত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ, ন্যাম, কমনওয়েলথ, আরব লিগ, সিরডাপ, বিমসটেক, ওআইসি, আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটি, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভালো করে পড়তে হবে।
l পরিবশেগত বিষয় থেকে গ্রিন হাউস ইফেক্ট, গ্রিন হাউস গ্যাস, জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ুর উপাদান, বায়ুমণ্ডলের স্তর, পরিবেশবাদী সংগঠন, কিয়োটা প্রটোকল, মন্ট্রিল প্রটোকল, কপ সম্মেলন।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক দিবস, বিভিন্ন ধরনের চুক্তি ও যুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক বিশ্ব জানতে হবে (খেলাধুলা, সূচক, নোবেল, সম্মেলন, সদস্যসংখ্যা)।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক দিবস, বিভিন্ন ধরনের চুক্তি ও যুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক বিশ্ব জানতে হবে (খেলাধুলা, সূচক, নোবেল, সম্মেলন, সদস্য সংখ্যা)। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব স এস
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ওআইসিকে পদক্ষেপ নিতে জামায়াতের আহ্বান
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি না মেনে ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যাগে এ আয়োজন হয়।
আজ সোমবার বিকেল চারটায় মহাখালীতে পথসভা সভা করে দলটি। এরপর সেখান থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মহাখালী থেকে নাবিস্কো হয়ে মগবাজারে এসে শেষ হয়।
পথসভায় রেজাউল করিম ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী ও দখলদারি দেশ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে। হাজার হাজার শিশু, নারী-পুরুষকে হত্যা করেছে। একের পর এক যুদ্ধাপরাধ করেছে।
গাজায় গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ, ওআইসি, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ ও বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এই নেতা। পাশাপাশি তিনি ইসলামি রাষ্ট্রগুলোকে একত্র করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে (ওআইসি) এ যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে বৈঠক ডাকার আহ্বানও জানান।
গাজায় গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে ইসরায়েলকে যারা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন রেজাউল করিম। তিনি বলেন, অবিলম্বে এসব বন্ধ না হলে গোটা বিশ্বের মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে। মুসলিমরা ইসরায়েল ও তাদের সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর পণ্য বর্জন করবে।
পথসভা শেষে মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও’, ‘বদরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘শিশুদের ওপর হামলা কেন’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’ এমন স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা, প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।