গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন বুটেক্স শিক্ষক আব্বাস উদ্দীন
Published: 6th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দীন ‘গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’-এ শীর্ষ ২০-এ জায়গা করে নিয়েছেন। এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত তালিকা (https:// hmfoundation.com/ 2025/03/10/top-20-finalists-in-global- change-award-2025-revealed/) হতে এ তথ্য জানা যায়।
এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশন পরিচালিত বার্ষিক পুরস্কার ‘গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত। ২০১৫ সাল থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। মূলত ফ্যাশন ও টেক্সটাইল শিল্পে টেকসই উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী সমাধানের উন্নয়নকে উৎসাহিত করা এর মূল উদ্দেশ্য। এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, এ বছর বিশ্বের ৬টি মহাদেশের ৬৯টি দেশ থেকে ৪৭৬টি আইডিয়া জমা পড়ে। তা থেকে বিভিন্ন ধাপে যাচাই-বাছাই করে সেরা ২০টি আইডিয়া নির্বাচন করা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে একটি জায়গা করে নেয়। তা হলো বুটেক্সের ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আবারও নিরপরাধ দাবি হিটু শেখের, ভিন্ন কথা সাক্ষীদের
আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে মাগুরায়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিনও মামলার প্রধান আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ আদালত কক্ষে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন। কিন্তু আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষীরা প্রত্যেকে হিটু শেখের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে সোমবার ছিল এই মামলার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ। সেদিনও শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় হিটু শেখ নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন।
গতকাল কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হিটু শেখসহ ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, গত তিন কার্যদিবস টানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। গতকাল ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষীদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, আছিয়ার বোন হামিদা ছিলেন। এ নিয়ে মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। আজ বুধবার মাগুরা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাক্ষ্য দেবেন। গতকাল আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
গতকালও আদালত কক্ষে ঢোকার আগে হিটু শেখ ঘটনার জন্য তাঁর পুত্রবধূ আছিয়ার বোনকে দায়ী করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। হিটু শেখ বলেন, ঘটনার সময় আমিসহ আমার দুই ছেলে বাড়িতে ছিলাম না। সকালে বাইরে যাওয়ার সময়ও আছিয়াকে সুস্থ দেখে গেছি। আছিয়ার বোন এ সময় একাই বাড়িতে ছিল। সাংবাদিকরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন। দোষী হলে যে শাস্তি হয়, মাথা পেতে নেব।
বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। ঢাকা সিমএমএইচে ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।