নতুন ঘরানার বেশ কয়েকটি হাইব্রিড সোলার আইপিএস সল্যুশন উদ্ভাবন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ওয়ালটন। নতুন মডেলের হাইব্রিড সোলার আইপিএস সল্যুশন পারফরম্যান্স, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপ ও সোলার প্যানেলের সহায়তায় পরিবেশবান্ধব, নবায়নযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহের সুবিধার কথা জানাল। ফলে সৌরশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচ কমানোর সঙ্গে গ্রাহক পরিবেশ সুরক্ষায় অংশীজন হতে পারবেন।
চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ওয়ালটনের ‘আর্ক’ ব্র্যান্ডের ১২০০ ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার, ২০৫০ ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার, ৩ হাজার ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার ও ৫৫০০ ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার ক্ষমতার হাইব্রিড সোলার আইপিএস সল্যুশন পাওয়া যাচ্ছে। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য যা ব্যবহারযোগ্য। বিশেষ করে কৃষি ও উৎপাদনভিত্তিক ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ সব উদ্যোগ পরিবেশবান্ধব সাশ্রয়ী বিদ্যুতের জন্য এমন হাইব্রিড সোলার আইপিএস সল্যুশন সিস্টেম সময়োপযোগী উদ্ভাবন।
সব মডেলের সোলার হাইব্রিড আইপিএস বিশেষ সুবিধায় রয়েছে বিশেষ কাস্টমাইজেশন সুবিধা। নিজের প্রয়োজনে গ্রাহক মডেলের কনফিগারেশন বদলে নিতে পারবেন। থাকবে অনগ্রিড ও অফগ্রিড সুবিধা। নির্মাতারা জানান, সব মডেলের সঙ্গে সোলার প্যানেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এআরসি মনো আরটিএম২০১০এম এবং আরসি মনো আরটি৭১-৪৫০এম, যা পারফরম্যান্স, দ্রুত চার্জিং ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপ নিশ্চিত করে।
তা ছাড়া সোলার হাইব্রিড আইপিএস মডেলের বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো বিদ্যুৎবিভ্রাট বা ভোল্টেজ ওঠানামার সময়ে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। জানা গেছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, অফিস, হোটেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ অন্যসব সংস্থার জরুরি অপারেশনাল সিস্টেম ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সুরক্ষিত রাখতে এসব প্যানেল সহায়ক। সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহক শুধু বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন। অন্যদিকে, পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহারে অংশীজন হওয়ার সুযোগ পাবেন।
ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, নবায়নযোগ্য, সাশ্রয়ী ও  পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিতে আমরা নতুন হাইব্রিড সোলার আইপিএস সল্যুশন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। হাইব্রিড সিস্টেম সৌরশক্তি ও গ্রিড বিদ্যুৎ থেকে স্মার্ট ইনভার্টার পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাটারি চার্জ করবে। ফলে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, বিপরীতে দীর্ঘ সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যাকআপ পাওয়া যাবে।
হাইব্রিড প্যানেলের জন্য ২০ বছরের বিক্রয়োত্তর পরিষেবা, ব্যাটারির জন্য ১২ মাস আর সোলার ইনভার্টারের জন্য ১৮ মাসের পরিষেবা পাওয়া যাবে। আগ্রহীরা ব্র্যান্ডের দাপ্তরিক সাইট থেকে বিস্তারিত
তথ্য জানতে পারবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ র জন য প রব ন ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

সূর্যকুমার ও পান্ডিয়ার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পরও মুম্বাইয়ের হা

তখন ম্যাচ শুরু হতে প্রায় ঘণ্টা খানেক বাকি। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের একানা স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর কায়রন পোলার্ড একটা স্বারক জার্সি উপহার দিলেন ব্যাটসম্যান সূর্য কুমার যাদবকে। খানিক বাদে মাঠে গড়ানো লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ‘স্কাই’ খ্যাত এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের মুম্বাইয়ের জার্সিতে শততম। অষ্টম ক্রিকেটার হিসাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে শততম ম্যাচ খেললেন সূর্যকুমার। তবে তার এই বিশেষ ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখতে পারল না মুম্বাই।

টস জিতে প্রথমে লক্ষ্ণৌকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। মিচেল মার্শ, এডিন মার্করাম ও ডেভিড মিলারের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে লক্ষ্ণৌ। জবাব দিতে নেমে ২.২ ওভার শেষে সফরকারী দলটির সংগ্রহ ছিল ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করে তারা । তিনে নামা নামন ধীর ও মুম্বাইয়ের জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নামা সূর্যকুমারের ব্যাটিংয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় অতিথি দলটি। তবে সেটা যথেষ্ট ছিল না জয়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানেই থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস। ১২ রানের জয় পায় লক্ষ্ণৌ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌর ওপেনার মার্শ একাই রান তুলতে থাকেন। ৯ চার ও ২ ছক্কায়, ৩১ বলে ৬০ রান করে, সপ্তম ওভারের শেষ বলে মার্শ সাজঘরে ফিরেন। তখন আরেক ওপেনার মার্করামের রান মাত্র ১৪! টপ অর্ডারে এই দুই ব্যাটার ছাড়া আর কেউ রান পাননি। নিকোলাস পুরান করেন ১২। এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন ঋষভ পন্থ। করেন মাত্র ২ রান।

আরো পড়ুন:

স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ম্যাকগার্কে হায়দরাবাদকে হারালো দিল্লি

প্রায় ১৮ বছর পর ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের ‘অন্যরকম’ হার

তবে আয়ুশ বাদোনিকে নিয়ে সেই চাপ সামলে নেন মার্করাম। গড়েন ৫১ রানের জুটি। ৪টি চারে বোদানি ১৯ বলে করেন ৩০ রান। এরপর স্বদেশী মিলারকে সাথে নিয়ে নিজের সহজাত ব্যাটিং করে যান মার্করাম। এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৫৩ রান করেন। অন্যদিকে কিলার খ্যাত মিলারের অবদান ছিল ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ বলে ২৭ রান। বল হাতে মুম্বইয়ের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন কাপ্তান হার্দিক। একটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, অশ্বনী কুমার, ভিগনেশ পুথুর।

ম্যাচ শুরু আগে অনুশীলনে চোট পাওয়ায় এই ম্যাচে ছিলেন না রোহিত শর্মা। তার বদলি হিসেবে ওপেনিংয়ে খেলা উইল জ্যাকস করেন মাত্র ৫ রান। রায়ান রিকেলটনের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। ধীর বেশ দাপুটের সঙ্গেই খেলছিলেন। তবে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায়, ২৪ রানে ৪৬ রানে থামতে হয় তাকে। সূর্যকুমার নিজের চেনা ছন্দে খেলে ৪৩ বলে ৬৭ রান করেন। স্কাই তার ইনিংস সাজান ৯ চার ও ১ ছক্কায়। তিনি ফেরার পরেই রানের গতিটা কমে যায়।

তিলক বর্মা চেষ্টা করলেও রাতটা তাঁর জন্য ছিল না। ২৩ বলে ২৫ রান করার পর মুম্বাই ম্যানেজম্যান্ট তাকে রিটার্য়াড হার্ট করায়। শেষে হার্দিক ১৬ বলে ২৮ রান করলেও পারেননি দলকে জেতাতে। শেষ তিন ওভারে রানের পাহাড় চেপে দিয়ে বাজিমাত করে লক্ষ্ণৌ। আকাশ দীপ, শার্দূল ঠাকুর ও আবেশ খানরা নেন ১টি করে উইকেট।

আসরে এখন পর্যন্ত সমান ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে এই দুই দল। যেখানে লক্ষ্ণৌর জয় ২টিতে। অন্যদিকে মাত্র ১টি ম্যাচ জিতে রীতিমত ধুঁকছে মুম্বাই।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অগ্রণী ব্যাংককে জেতালেন তাইবুর
  • ইউনাইটেড সমর্থকদের ‘ক্লাসলেস’ বললেন গার্দিওলা
  • অ্যালেন স্বপন ফিরলেন, রোমাঞ্চ ফিরল কি
  • প্রস্তুতি ম্যাচে প্রত্যাশিত ফল
  • ই-বাইক
  • শান্তদের জিম্বাবুয়ে সিরজের ক্যাম্পে ছাড়তে চায় না ক্লাবগুলো
  • আবাহনীর রেকর্ড গড়া জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক
  • সূর্যকুমার ও পান্ডিয়ার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পরও মুম্বাইয়ের হা
  • ৩ কোটি টাকায় ১ রান, ফেরারির দামে অটোরিকশার পারফরম্যান্স