Samakal:
2025-04-07@16:26:35 GMT

নিয়ম মানিয়া নিরাপদ হউক

Published: 6th, April 2025 GMT

নিয়ম মানিয়া নিরাপদ হউক

সাম্প্রতিক ঈদুল ফিতরের ছুটির সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনার যেই চিত্র রবিবার সমকাল তুলিয়া ধরিয়াছে, উহা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। রাজধানীর দুইটি এবং ঢাকার বাহিরের আট বিভাগীয় শহরের বিশেষায়িত আটটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করিয়া সমকাল জানাইয়াছে, ঈদের ছুটির এই  চার দিবসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩২ শতাংশের অধিক ছিলেন ব্যাটারিচালিত রিকশার যাত্রী, যাহা একই সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতদের প্রায় সমান। বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সংগৃহীত তথ্য বলিতেছে, গত ঈদুল আজহায় সড়কে সর্বাধিক দুর্ঘটনার কারণ ছিল মোটরসাইকেল; ৫১ শতাংশের অধিক। এইবারের ঈদুল ফিতরে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে মোটরসাইকেলের স্থান আশঙ্কাজনকভাবে দখল করিয়াছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্লেখ্য, প্রতিবেদন অনুযায়ী, উক্ত সময়ে হাসপাতালে আগত ২৫.

৫ শতাংশ আহত রোগীর দুর্ঘটনার কারণ নিবন্ধন বহিতে উল্লেখ করা হয় নাই। অর্থাৎ উক্ত চার দিবসের সকল দুর্ঘটনার কারণ জানা গেলে সম্ভবত ব্যাটারিচালিত রিকশার দায় আরও বৃদ্ধি পাইত। এই সকল তথ্য পুনরায় প্রমাণ করে– মোটরসাইকেলের ন্যায় ব্যাটারিচালিত রিকশাও সড়কে চলাচলকারী মানুষের জন্য এক মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হইয়াছে। 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, শুধু ঈদের অবকাশ নহে, ইদানীং মূল সড়কগুলিতে অধিকাংশ সময়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটিতে দেখা যায়। যাহার ফলে সড়কে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হইতেছে। তাঁহার আশঙ্কা, এই সকল বাহন নিয়ন্ত্রণে না আনা হইলে দুর্ঘটনার হার আরও বৃদ্ধি পাইবে। তৎসহিত বৃদ্ধি পাইবে নিহত ও আহতের সংখ্যা।

দেশের কোনো মহাসড়কে ত্রিচক্রযান চলিতে পারিবে না– এই বিধান বহু পূর্বেই জারি করা হইয়াছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য, বিধানটি বরাবরই উপেক্ষিত। মহাসড়ক পুলিশও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়টি দেখিয়াও না দেখিবার ভান করে। ফলশ্রুতিতে, একদা বিভিন্ন মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানের ক্ষেত্রে শুধু সিএনজি অটোরিকশা চলিলেও ইদানীং ব্যাটারিচালিত রিকশাও চলমান অজস্র। এই বিষয়টি কাহারও অজানা নহে, প্রচলিত রিকশার সহিত নিছক একটি ইঞ্জিন সংযুক্ত করিয়াই নাম দেওয়া হইয়াছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। ইহাতে না রহিয়াছে মানসম্মত গতি হ্রাসের ব্যবস্থা, না রহিয়াছে সড়কের ধরন অনুযায়ী নকশা। এককথায়, চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সৃষ্ট এক প্রকার যান এই ব্যাটারিচালিত রিকশা। অভিজ্ঞতা বলে, এই তথাকথিত যান্ত্রিক বাহনে একনাগাড়ে কয়েক মাস চলিলে যে কাহারও পৃষ্ঠপ্রদাহ চরমে উঠিবে। উহার সহিত সংশ্লিষ্ট চালকেরও শরীরের ঘটিবে সর্বনাশ। এতৎসত্ত্বেও এই যান লইয়া আমাদের নীতিনির্ধারকগণের নিদ্রাভঙ্গ হইতেছে না।
অনস্বীকার্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত প্রধানত সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে দেশে সাম্প্রতিক বৎসরগুলিতে বেকারত্ব ক্রমবর্ধমান। উহারই প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষ নিরুপায় হইয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা চালনাকে পেশারূপে গ্রহণ করিয়াছে। শুধু আইনগত পদক্ষেপ এই প্রকট সমস্যার সমাধান দিতে পারিবে না।
বহু পূর্ব হইতে নির্বাহী আদেশ তো বটেই, উচ্চ আদালতেরও নির্দেশ– মহাসড়ক, তৎসহিত ঢাকার ন্যায় নগরীসমূহের মূল সড়কে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলিতে পারিবে না। আমাদের জানামতে, এহেন রিকশাচালকদের সমিতির নেতৃবৃন্দও সরকারের উক্ত সিদ্ধান্তের সহিত ঐকমত্য পোষণ করিয়াছিলেন। অতএব পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহ ইচ্ছা করিলেই উক্ত নিয়মটি বলবৎ করিতে পারে। ইহাতে একদিকে দুর্ঘটনার হার যদ্রূপ হ্রাস পাইতে পারে, তদ্রূপ মহাসড়ক ও নগরীর মূল সড়কগুলিতে যানজটও সহনীয় পর্যায়ে আনয়ন করা যায়।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কাল সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন তামিম

হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন আগেই। অপেক্ষায় ছিলেন শারীরিক অবস্থার আরেকটু উন্নতি হলে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসক দেখানোর। তামিমের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, কাল উন্নত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন তিনি।

গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের আগে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ওপেনার তামিম ইকবাল। তাৎক্ষণিক তাঁকে বিকেএসপির কাছের কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ব্লক ধরা পড়ার পর সেখানেই তাঁর হার্টে একটি রিং পরানো হয়।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ দলে এবার মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কোচ৫১ মিনিট আগে

পরদিন পারিবারিক সিদ্ধান্তে তামিমকে আনা হয় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকার পর ২৮ মার্চ তিনি বাসায় ফিরে যান। এরপর থেকে বাসাতেই আছেন তামিম। তবে পারিবারিকভাবে তখনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হলে তাঁকে উন্নত পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।

তামিম এখন অনেকটাই ভালো আছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ