নারায়ণগঞ্জের বন্দরে রনি নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং মাধবপাশা সেনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি (৩০) বন্দরের ১নং মাধবপাশা এলাকার ছলিমউদ্দিন ওরফে ছৈল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এসবের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রনির চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। কিছু দিন সে পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করে। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সম্প্রতি মাধবপাশা, সেনপাড়াসহ আশপাশের ৫ গ্রামের মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এরপর গা-ঢাকা দেয় রনি।
রোববার এলাকায় ফিরে এসে মাসুদ মিয়ার ছেলে রাসেলকে মারধর করে রনি। এর জের ধরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাধবপাশার হাজী নূর বক্স রোডে রনিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় রনিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
উলামা পরিষদ ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদ ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলার নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল তিনটায় শহরের ডিআইটি মসজিদের দ্বিতীয় তলায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সভাপতি আল্লামা আব্দুল আউয়াল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির আমীর আল্লামা আব্দুল হামিদ মধুপুরী।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, আলীরটেক মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ আতাউল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী জাকির হুসাইন কাসেমী, মহানগর আহবায়ক মুফতী মামুনুর রশীদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুফিজুল ইসলাম, দারুল কোরআন রূপগঞ্জের মুহতামিম মাওলানা বদরুল আলম সিলেটী, কারিমীয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু সায়েম খালেদ, শায়খুল হাদীস মুফতী মুসা কাসেমী, ভূইগর কাসিমিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইসমাঈল আব্বাসী, হাজীপাড়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতী আব্দুল আহাদ, শিক্ষাসচিব মুফতী মাহমুদুল হাসান, হাজীগঞ্জ মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী ইমরান হোসাইন, বাগে জান্নাত মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুর রহীম, তালতলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মহিউদ্দিন খান, বন্দর মাহমুদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আবুল কাসেম, ফতুল্লা ইমাম সমাজের সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক কাসেমী, বায়তুল হিদায়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুল গনী, ফতুল্লা উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুফতী ফয়জুল্লাহ, আড়াইহাজারের মাওলানা আইয়ুব, সোনারগাঁও লাধুরচর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আবু বকর কাসেমী, মাদরাসাতুশ শরফের মুহতামিম মাওলানা ওবাইদুল কাদের নদভী, সিরাজুল উলুম আদর্শনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ, মাদানী একাডেমির পরিচালক মুফতী তানঈম মাদানীসহ প্রমুখ শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।
পরিচিতি সভায় ঘোষণা করা হয়, নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদে সভাপতি হিসেবে আল্লামা আব্দুল আউয়াল এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুফতী জাকির হুসাইন কাসেমী নেতৃত্ব দেবেন। ৩১৩ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আব্দুল কাদির এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের জিহাদী। এ কমিটি ৩০১ সদস্য নিয়ে গঠিত হয়।
সভায় মহানগর খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক হিসেবে মুফতী মামুনুর রশীদ, সদস্য সচিব মুফতী মাহমুদুল হাসান এবং মহানগর উলামা পরিষদের আহবায়ক মুফতী আব্দুর রহমান, সদস্যসচিব মাওলানা আব্দুর রহীম, সহ-সদস্য সচিব মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদকে মনোনীত করা হয়।
এছাড়া খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ ব্যবসায়ী কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হন হাজ্বী কামাল এবং সদস্য সচিব হাজ্বী আব্দুল কাদির।