ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিয়ের অনুষ্ঠানের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কনেকে না  নিয়েই ফেরত গেছে বরপক্ষ। 
গত শুক্রবার উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কনের বাবা। 
স্থানীয় সূত্র ও কনেপক্ষের লোকজন জানায়, পুটিয়া গ্রামের সোমেদ আলী মাতুব্বরের মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সদরপুর উপজেলার চরব্রাহ্মন্দী ভেন্নতুলী গ্রামের তৈয়ব মোল্লার ছেলে প্রবাসী নাঈম মোল্লার সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। শুক্রবার বিয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। যথাসময়ে বরযাত্রী আসে। কিন্তু বিয়ের গেটে মাত্রাতিরিক্ত পার্টি স্প্রে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বরযাত্রীরা। এ নিয়ে কনেপক্ষের লোকজনের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় লিপ্ত হন তারা। এক পর্যায়ের উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে কনের বাবাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে বরযাত্রীরা বউ না নিয়ে ফেরত যান। 
কনের বাবা বলেন, বিয়ের গেটে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে স্প্রে করছিল। এ সময় বরপক্ষের লোকজনও স্প্রে করতে ছিল। এর মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে ঠেলা-ধাক্কা, হাতাহাতি শেষে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে অনুষ্ঠানের চেয়ার-টেবিল ও অনেক খাবার নষ্ট হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় তিনি বরপক্ষের লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কিন্তু তারা কোনো কথা শোনেনি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবি জানান তিনি। 
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বর নাঈম মোল্লা ও তাঁর বাবা তৈয়ব মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। 
কাউলিবেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি হয়। কনে ছাড়াই বরপক্ষকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, কনের বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিবির অভিযানে আ.লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেপ্তার ৭

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ঝটিকা মিছিল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলম, তুরাগ থানা ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বাবু, বংশাল থানা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ওয়ারেজ সিকদার, তুরাগ থানা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহেদ আলম, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য শহীদুল হক চৌধুরী রানা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সম্প্রতি যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলাম তুষার এবং তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি মো. রেজাউল করিম।

আরো পড়ুন:

পুলিশ সপ্তাহ শুরু মঙ্গলবার, নির্বাচনী নির্দেশনা পাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

মোবাইল গেমে আসক্ত এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কাণ্ড

ডিবি জানায়, ২৭ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ৩টায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-রমনা বিভাগের একটি টিম। অন্যদিকে ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি আভিযানিক দল রাজধানীর বংশাল থানাধীন ইংলিশ রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকেল সোয়া ৩টায় মো. শাহেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া দুপুর পৌনে ২টায় ডিবি-লালবাগ বিভাগের একটি টিম রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে মো. ওয়ারেজ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে।

ডিবি সূত্র জানায়, ডিবি-রমনা বিভাগের একটি টিম রাজধানীর গোপীবাগ এলাকা থেকে সকাল ৭টায় শহীদুল হক চৌধুরী রানাকে এবং ডিবি-উত্তরা বিভাগের একটি টিম সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কামারপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করে।

এছাড়া ডিবি সাইবার বিভাগের একটি টিম রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাহিদুল ইসলাম তুষারকে গ্রেপ্তার করে।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টায় ডিবি সাইবার টিম কর্তৃক উত্তরা পূর্ব থানার ১৮ নম্বর সেক্টর থেকে মো. রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে।

উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ