২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, তখন থেকে উপত্যকাটিতে অন্তত ৫০ হাজার ৬৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১৫ হাজার ২২৫ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্যমতে, প্রায় ১৮ মাসে ১৫ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ বর্বরতায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গাজার শিশুদের জন্য খাদ্য ও চিকিৎসায় তহবিলও জুগিয়েছেন তারকারা। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ। যেখানে নিজের আক্ষেপ ও অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন তিনি।

আজ রোববার দুপুরে ফেসবুক পোস্টে সিয়াম লিখেছেন, ‘আমি যখন এই পোস্ট লিখছি, ততক্ষণে গাজার অস্তিত্ব কি মুছে গেছে? আমরা কি পারলাম না এই শহরটাকে, এই দেশটাকে বাঁচাতে? ফিলিস্তিনের এই ধ্বংসাবশেষের দায় কি আমরা কেউ এড়াতে পারব? ফিলিস্তিনের জন্য আমার মনের কান্না কখনো থামাতে পারিনি।’

এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে সিয়াম আহমেদ অভিনীত সিনেমা ‘জংলি’। সিনেমায় বাবা ও মেয়ের সম্পর্কের গল্প দেখানো হয়েছে, যেখানে বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম। ফিলিস্তিনি শিশুদের সঙ্গে ‘জংলি’র প্রসঙ্গ টেনে ঢাকাই ছবির এই নায়ক লিখেছেন, ‘যখন “জংলি”র গল্প লেখা হচ্ছিল, তখনো পাখির জায়গায় আমি বারবার ফিলিস্তিনি শিশুদেরই কল্পনা করতাম। আমরা কি শিশুদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়ে যেতে পারব না?’

অভিনেতা সিয়াম আহমেদ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে বন্দর আব্বাসের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০

ইরানের বন্দর আব্বাসের কাছে শহীদ রাজয়ি বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০০০ জন। 

সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা বিবিসি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, শহীদ রাজয়ি বন্দর ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থিত। এটি ইরানের সবচেয়ে উন্নত কনটেইনার বন্দর। বন্দর আব্বাস শহরের ২৩ কিলোমিটার পশ্চিমে ও হরমুজ প্রণালির উত্তরে অবস্থিত এই কনটেইনার বন্দর। এ প্রণালি দিয়ে বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ তেল পরিবহন করা হয়।

শনিবার ওই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরও রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, বন্দর এলাকা থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উড়ছে এবং সেখানে জ্বলতে থাকা বহু কনটেইনারের আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইরানের সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফরি শহীদ রাজয়িতে থাকা কনটেইনারগুলোয় রাসায়নিকের অনিরাপদ মজুত বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের কারণ কনটেইনারের ভেতরে থাকা রাসায়নিক।’

হোসেইন জাফরি আরও বলেন, এর আগেও সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মহাপরিচালক পরিদর্শনের সময় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন, সম্ভাব্য বিপদের কথা বলেছিলেন।

অন্যদিকে ইরানের সরকারি মুখপাত্র বলেন, বিস্ফোরণের পেছনের কারণ হতে পারে রাসায়নিক। তবে সুনির্দিষ্ট কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়।

বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকান্দার মোমেনিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগুন নেভানো ও অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ