জামাকাপড় কাচার এক পেশাদার সংস্থার কাছে শাড়ি কাচতে দিয়েছিলেন ভারতের মুম্বাইয়ের এক নারী। কিন্তু শাড়িটি নষ্ট অবস্থায় ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এ ঘটনায় ওই নারীকে ২৪ হাজার ৮০০ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে কাপড় কাচার সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে উপভোক্তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কমিশন। খবর আনন্দবাজার অনলাইন।

অভিযোগকারী সঞ্চিতা সনতাক্কের দাবি, তিনি শাড়িটি ‘ড্রাই ক্লিনিং’ করতে দিয়েছিলেন ওই সংস্থায়। কিন্তু ওই সংস্থা শাড়িটি নষ্ট অবস্থায় ফেরত দিয়েছে। এই বিষয়ে তিনি সংস্থার সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কখনো মেসেজ করেছেন, কখনো ইমেইল করেছেন। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। এই অবস্থায় আইনজীবীর মাধ্যমে মুম্বাই শহরতলির জেলা উপভোক্তা বিষয়ক কমিশনে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

কমিশনের কাছে বেশ কিছু নথিপত্রও জমা দেন ওই নারী। ওই সংস্থায় ‘ড্রাই ক্লিনিং’ করানোর বিল, নষ্ট হওয়া শাড়ির ছবি এবং শাড়ি কেনার সময়ের রশিদ জমা পড়ে কমিশনের কাছে। এ ছাড়া ওই নারী সংস্থার সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, সেই সংক্রান্ত নথিপত্রও উপভোক্তা কমিশনে জমা দেওয়া হয়। নথিপত্র খতিয়ে দেখে কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ওই ঘটনায় সংস্থার গাফিলতির ছবি স্পষ্ট। সংস্থার পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কমতি ছিল বলে মনে করছে আদালত।

ওই ঘটনায় শাড়ি নষ্ট হওয়ার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১২ হাজার ৮০০ রুপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে ওই নারীকে মানসিক যন্ত্রণার জন্য ১০ হাজার রুপি এবং তার আইনি খরচের জন্য দু’হাজার রুপি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৪ হাজার ৮০০ রুপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মুম্বাইয়ের ওই উপভোক্তা কমিশন। ৪৫ দিনের মধ্যে ওই ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় বার্ষিক ২ শতাংশ হারে সুদসহ ওই অর্থ দিতে হবে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওই স স থ উপভ ক ত ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

‘প্রত্নকথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন তিন উপদেষ্টার

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রকাশিত ভ্রমণ বই ‘প্রত্নকথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলার উন্নয়ন-সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর উপস্থিতিতে বইটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ভ্রমণ বইটি প্রকাশনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত বলেন, 
তিনি অত্যন্ত আনন্দিত যে, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্ননগরী খ্যাত মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখা, জেলার পর্যটনকে সমৃদ্ধ করা ও আগামী প্রজন্মের কাছে এগুলোকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ ধরনের একটি ভ্রমণ বই প্রকাশ করতে পেরেছেন।
ভ্রমণ বইটিতে মুন্সীগঞ্জের প্রত্নতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় ৬২টি স্থানের সচিত্র বর্ণনা, অবস্থান, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকের কথা বিবেচনায় বইটির সব তথ্য 
এবং বর্ণনা বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় 
লিখিত হয়েছে। 
বইটি সম্পাদনা করেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ উল্যাহ। তিনি জানান, বইটি মূলত দেশি-বিদেশি পর্যটকের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার একটি ভ্রমণ গাইড হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহ্‌রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মফিদুর রহমান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের  মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলম প্রমুখ। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ