ভারতের পাঁচটি রাজ্যের ২১ শহরের তাপমাত্রা রবিবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। জাতীয় রাজধানী দিল্লিকে আগামী তিন দিন তাপপ্রবাহের সাথে লড়াই করতে হবে। দিল্লি ছাড়াও রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট এমনকি ওড়িশার শহরগুলোতেও তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। খবর এনডিটিভি অনলাইন।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি শহরেই বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা গেছে। এই শহরগুলোতে তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি থেকে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে।

আবহাওয়া অফিস ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বাতাসের গতি হ্রাসের একটি ভূমিকা রয়েছে, বিশেষ করে দিল্লিতে।

আবহাওয়া অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “সকালে ভূপৃষ্ঠে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার হতে পারে। এরপর বাতাসের গতি ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে এবং বিকেলে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ৪-৬ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হবে। সন্ধ্যা ও রাতে এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটারেরও কম গতিতে প্রবাহিত হবে।”

রাজস্থানের বারমেরে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস - যা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ। 

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ৬-১০ এপ্রিলের মধ্যে গুজরাটের কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকতে পারে এবং সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের কিছু জায়গায় তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকতে পারে।

একই সময়ে রাজস্থানেও তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকা, হরিয়ানা, চণ্ডিগড়, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা খুব বেশি।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউরোপের শহরগুলোতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

ইউরোপীয় শহরগুলোতে শত শত মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার উপদেষ্টা এলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। ট্রাম্পের ব্যাপক বৈশ্বিক শুল্ক ঘোষণার পর শনিবার এ বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জার্মান শহর ফ্রাঙ্কফুর্টে, মার্কিন ডেমোক্রেটিক পার্টির শাখা ডেমোক্রেটস অ্যাব্রোড আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচির নাম ছিল ‘হ্যান্ডস অফ!’

ফ্রাঙ্কফুর্টের ওপারনপ্লাজে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেন। তাদের হাতে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করুন’, ‘আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য হস্তান্তর করুন’ এবং ‘তোমার বাজে কথায় বিশ্ব ক্লান্ত ডোনাল্ড, চলে যাও!’ লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।

বার্লিনে মাস্ককে লক্ষ্য লেখা প্ল্যাকার্ডগুলোতে ছিল- ‘চুপ করো এলন, কেউ তোমাকে ভোট দেয়নি’।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে প্রায় ২০০ জন মানুষ জড়ো হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই আমেরিকান। বিক্ষোভকারীরা ‘অত্যাচারীকে প্রতিরোধ করুন’, ‘আইনের শাসন’, ‘ফ্যাসিবাদ নয় স্বাধীনতার জন্য নারীবাদ’ এবং ‘গণতন্ত্র বাঁচান’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেছিলেন। 

লন্ডন এবং লিসবনসহ ইউরোপের অন্যান্য শহরেও ট্রাম্প ও মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউরোপের শহরগুলোতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ