গাজায় হামলা: রাবি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের পৃথক কর্মসূচি
Published: 6th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান বর্বর গণহত্যা, দখলদারিত্ব ও মানবিক বিপর্যয়ের প্রতিবাদে আনুষ্ঠানিকভাবে সংহতি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এরই অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করেছে প্রশাসন। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, একই ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
কাঁথা-বালিশ নিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপককে অব্যাহতি
রবিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বর্বর আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সিনেটে ভবনের সামনে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য এ সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
এছাড়া, সংহতি জানিয়ে আগামীকাল সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০টিরও বেশি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, আমরা ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। মানবাধিকার, শান্তি ও ন্যায়বিচারের প্রতি অটল অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ প্রতিবাদ বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অবদান রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন ফিলিস্তিনি শিশু হতাহতের শিকার হচ্ছে। এ সংখ্যা বিশ্বব্যাপী গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তুললে সরকার পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ‘দোহাই’ দেয় বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে এ কথা বলেছেন তিনি। ‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ শাহবাগে এই উন্মুক্ত প্রান্তরে তাঁরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, সেটা ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে পূরণ হওয়ার কথা ছিল বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন সারজিস আলম। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই তাদের কাছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বলি, তারা আমাদের পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়।’ এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যখন শাপলা চত্বর, পিলখানা এবং জুলাইয়ে হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কোথায় ছিল?’
তবে সারজিস আলম তাঁর বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নিয়ে এই অবস্থান ব্যক্তকারী হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা উপদেষ্টা কিংবা পশ্চিমা কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
এ সময় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে সারজিস বলেছেন, ‘এই জেনারেশনকে (প্রজন্ম) ভয় করুন। যদি এই জেনারেশনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আবেগ নিয়ে খেলা করেন, তাহলে এই জেনারেশন সকল ক্ষমতার বিপক্ষে গিয়ে যে কাউকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারে।’
এই সমাবেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহসমন্বয়ক মোসাদ্দেক ইবনে আলী বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, তারা বিদেশি দূতাবাসগুলোর কাছে নিজেদের শির দাঁড়া বিক্রি করে দিয়েছে। দল গঠনের পর তারা দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়, কিন্তু কোথাও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা ছিল না। এই সরকারের ঘুড়িটা অন্তর্বর্তীকালের মধ্যে ঘুরলেও তার নাটাইটা বিদেশি কোনো দূতাবাসের হাতে রয়েছে।
সরকার কোন কোন বিচার করছে এবং সেটা কতখানি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলার দাবি জানান এবি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক ফ্যাসিবাদী দলকে চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের নজির আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেই নিয়মেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে’ সমাবেশে উপস্থিত দর্শকদের একাংশ। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে