ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে নিখোঁজ অটোরিকশাচালক শেখ শাহ আলমের (৬০) লাশ চার দিন পর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুল এলাকার একটি সড়কের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

শাহ আলম ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বড় বাহরা গ্রামের বাসিন্দা। ২ এপ্রিল সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় শাহ আলমের নাতি আরাফাত হোসেন গত বুধবার রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। স্বজনদের দাবি, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ বেলা ১১টায় সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুর-নবাবগঞ্জ সড়কের পাশে ওই ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে শেখরনগর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন করেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশের সহায়তায় সেখানে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন।

শেখরনগর তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক তাইজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে চালককে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে নির্জন স্থানে ফেলে যায়।

নিহত শাহ আলম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ হ আলম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে। 

এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। 

লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।

২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে। 

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ