শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত কুদ্দুস ব্যাপারীকে ওরফে বোমা কুদ্দুসকে (৫৪) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ঢাকার শাহজাহানপুর থেকে র‌্যাব-৮ ও ৩ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল নগরীর রূপাতলীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৮ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ। 

আরো পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৭

আরো পড়ুন:

জলাশয় ইজারার বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

রংপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫ 

গ্রেপ্তার কুদ্দুস ব্যাপারীর বিরুদ্ধে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানায় বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১৯টি এবং ঢাকা মহানগরের বিমানবন্দর ও ভাটারা থানায় একটি করে মামলা রয়েছে।

আরো পড়ুন: শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৬

গতকাল শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে পূর্ব বিরোধের জেরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।

আরো পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ

লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ জানান, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কুদ্দুস ব্যাপারী এবং জলিল মাতবর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে কুদ্দুস ব্যাপারী জয়ী হন। এরপর থেকেই কুদ্দুস ব্যাপারী ও জলিল মাতবরের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে দুই পক্ষ আগেও সংঘর্ষে জড়িয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিলাসপুর ইউনিয়নের কাজিয়ারচর গ্রামের জসিম ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির সামনে দুই পক্ষ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একই ইউনিয়নের মুলাই বেপারীকান্দি গ্রামের ফসলের মাঠে এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিলেন ইউএনও

দুপুরবেলা বিদ্যালয়ে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এরপর শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপে মেতে ওঠেন তিনি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষামূলক নানা প্রশ্নোত্তরে জমে ওঠে সেই আলাপ। গতকাল রোববার কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় দেখা যায় এমন চিত্র।

গতকাল দুপুরে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাবীবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁদের অভ্যর্থনা জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজেশ কান্তি কানু, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জুনায়েদ, সৈয়দ নুর, আমানুল্লাহ, রবিউল আলম প্রমুখ।

পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়ের মাঠ, বিদ্যমান ভবন, নির্মাণাধীন একটি ভবন ঘুরে দেখেন শেখ এহসান উদ্দিন। এ সময় শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার সরঞ্জাম এবং বিদ্যালয়ের জন্য অনুদানের আশ্বাস দেন তিনি।

টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে নাফ নদীর তীর–সংলগ্ন দমদমিয়ার গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২০ সাল থেকে আলোর পাঠশালাটি পরিচালনা করে আসছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। বিদ্যালয়টিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫০ জনের মতো।

বিদ্যালয়টি পরিদর্শনের সময় ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে দমদমিয়া আলোর পাঠশালা। প্রথম আলো ট্রাস্টের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ