ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিকেলে সংহতি সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা।

রবিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী ঘোষিত ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাবির অন্তত ২৬টি বিভাগ ও একটি অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিবৃতির মাধ্যমে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা দেন।

বিবৃতি দেওয়া বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ, যোগাযোগ বৈকল্য, শিক্ষা ও গবেষণা, উন্নয়ন অধ্যয়ন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল, অণুজীব বিজ্ঞান, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ, মৃত্তিকা, পনি ও পরিবেশ বিভাগ।

আরো পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে কাল ঢাবিতে সংহতি সমাবেশ

বহিরাগত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ঢাবি

এছাড়া বিবৃতি দিয়েছে, ইন্সটিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, ফার্মেসী, ফাইন্যান্স, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এবং ইতিহাস বিভাগ। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও কর্মসূচি ঘোষণা করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে । 

এদিকে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে সারাদেশে সংহতি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম সদস্য সচিব রেজওয়ান আহমেদ রিফাত।

রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলনের দুই সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এবং এবি জোবায়ের বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল' কর্মসূচি সফল করতে প্রতিটি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।

পরে এ কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও এ কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়। 

কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিকেল ৪টায় এই সংহতি এবং বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে কাল ঢাবিতে সংহতি সমাবেশ

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তুললে সরকার পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ‘দোহাই’ দেয় বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে এ কথা বলেছেন তিনি। ‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে ইনকিলাব মঞ্চ।

আজ শাহবাগে এই উন্মুক্ত প্রান্তরে তাঁরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, সেটা ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে পূরণ হওয়ার কথা ছিল বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন সারজিস আলম। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই তাদের কাছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বলি, তারা আমাদের পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়।’ এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যখন শাপলা চত্বর, পিলখানা এবং জুলাইয়ে হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কোথায় ছিল?’

তবে সারজিস আলম তাঁর বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নিয়ে এই অবস্থান ব্যক্তকারী হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা উপদেষ্টা কিংবা পশ্চিমা কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।

এ সময় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে সারজিস বলেছেন, ‘এই জেনারেশনকে (প্রজন্ম) ভয় করুন। যদি এই জেনারেশনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আবেগ নিয়ে খেলা করেন, তাহলে এই জেনারেশন সকল ক্ষমতার বিপক্ষে গিয়ে যে কাউকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারে।’

এই সমাবেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহসমন্বয়ক মোসাদ্দেক ইবনে আলী বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, তারা বিদেশি দূতাবাসগুলোর কাছে নিজেদের শির দাঁড়া বিক্রি করে দিয়েছে। দল গঠনের পর তারা দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়, কিন্তু কোথাও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা ছিল না। এই সরকারের ঘুড়িটা অন্তর্বর্তীকালের মধ্যে ঘুরলেও তার নাটাইটা বিদেশি কোনো দূতাবাসের হাতে রয়েছে।

সরকার কোন কোন বিচার করছে এবং সেটা কতখানি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলার দাবি জানান এবি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক ফ্যাসিবাদী দলকে চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের নজির আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেই নিয়মেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে’ সমাবেশে উপস্থিত দর্শকদের একাংশ। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন: মামুনুল হক
  • জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
  • আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে আপ বাংলাদেশের মিছিল
  • ফিলিস্তিনে নির্বিচার মুসলিম গণহত্যা বন্ধের দাবিতে মহাসমাবেশ
  • ‘ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইনে’ জনতার ঢল, বিশ্বমুসলিম ঐক্যের আ
  • ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ 
  • নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি
  • প্রশাসন আগের মতো দলবাজি শুরু করছে: নুরুল হক
  • সংস্কার-নির্বাচনের খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়