গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কনের বাড়িতে আটকে রাখা বর পক্ষকে উদ্ধার করতে গিয়ে ওসিসহ থানার পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেছেন। রোববার সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত শনিবার রাতের এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের মো.

দুখু মিয়ার মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রামজীবন ইউনিয়নের মো. আয়নাল হকের ছেলের বিয়ে হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে গিয়ে গেট পাসের টাকা এবং নরম ও নষ্ট ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডার এক পর্যায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। এক পর্যায় স্থানীয় লোকজন এসে বর পক্ষের কয়েকজনকে আটকে রাখেন। অনেকে পালিয়ে যান। পরদিন শুক্রবার বর পক্ষের অবরুদ্ধ লোকজনকে উদ্ধারে থানায় লিখিত আবেদন করা হয়। এর পর ওসি পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কনে পক্ষের লোকজনের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার এক পর্যায় স্থানীয় লোকজন তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে।

এ সময় পুলিশ সদস্যরা পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এসে তাদেরসহ বর পক্ষের লোকজনকে উদ্ধার করে। 

সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. ওয়াজেদ হোসেন বলেন, ‘ওসি ফোন করেছিলেন। এটা আমাদের দায়িত্ব। এলাকাবাসী কাজটা খুব খারাপ করেছেন। তারা আমাদের কথা শুনতে চাননি।’

ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘অবরুদ্ধ লোকজনকে উদ্ধারের জন্য গেলে কনে পক্ষের লোকজন আমাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে লোকজন আমাকে ঘিরে ধরেছিল। সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর দ ধ ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

বর পক্ষকে উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, থানায় মামলা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কনের বাড়িতে আটকে রাখা বর পক্ষকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটে। গত শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। 

রবিবার (৬ এপ্রিল) সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের দুখু মিয়ার মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রামজীবন ইউনিয়নের মো. আয়নাল হকের ছেলের বিয়ে হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে গিয়ে গেট পাসের টাকা এবং নরম ও নষ্ট ভাতকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় দুই পক্ষ। এক পর্যায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। স্থানীয় লোকজন এসে বর পক্ষের কয়েকজনকে আটকে রাখেন। অনেকে পালিয়ে যান।

আরো পড়ুন:

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৭

সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

গত শুক্রবার বর পক্ষের অবরুদ্ধ লোকজনকে উদ্ধারে থানায় লিখিত আবেদন করা হয়। এরপর সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কনে পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী গিয়ে পুলিশসহ বর পক্ষের লোকজনকে উদ্ধার করে। 

সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওয়াজেদ হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, “ওসি ফোন করলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এলাকাবাসী কাজটা খুব খারাপ করেছেন। বারবার অনুরোধের পরও তারা আমাদের কথা শুনতে চাননি।”

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, “অবরুদ্ধ লোকজনকে উদ্ধারের জন্য গেলে কনে পক্ষের লোকজন আমাদের লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে লোকজন আমাকে ঘিরে ধরেছিল। সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।”

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনলাইনে ‘আউটসোর্সিং’ কাজ দেওয়ার কথা বলে করতেন প্রতারণা
  • বর পক্ষকে উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, থানায় মামলা
  • প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণ, আরেকজনকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২