কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রোববার দুপুরে এটি ঘটেছে নাফ নদীর পাড়ে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, আহত যুবকের নাম মো. ফিরোজ (৩০)। তিনি আমতলী গ্রামের আলী আহমেদের ছেলে।

পরিবারের বরাত দিয়ে লালু জানান, আজ দুপুরে ফিরোজ জাল নিয়ে নাফ নদীর হোয়াইক্যং তোতার দ্বীপে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার এক পর্যায়ে মিয়ানমার সীমান্তের দিকে চলে গেলে সেখানে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

তিনি জানান, খবর পেয়ে লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুতুপালংয়ের এক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে।

উখিয়া-৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, দুপুরে শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ১০০ গজ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তোতারদিয়া এলাকায় পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি যুবক ফিরোজের পা বিচ্ছিন্ন হয়। পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে বিএম পোস্ট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে এনে চিকিৎসার জন্য উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কন ফ

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দফা দাবিতে ৭০ ফুট ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা

ছয় দফা দাবিতে ৭০ ফুট ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেছে ‘আজাদ ফিলিস্তিন’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই পদযাত্রাটি শুরু হয়ে মন্ত্রণালয়ে যায়।  

এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় রাজু ভাস্কর্যে ‘আজাদ ফিলিস্তিন’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। এ সময় তারা ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, জায়োনাবাদ নিপাত যাক’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, জায়োনিজম নো মোর’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ফ্রি ফ্রি, প্যালেস্টাইন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের ছয় দফা দাবি পাঠ করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে মার্কিন মদদে গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে হবে এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠন ও কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে; আমেরিকান হাইকমিশনারকে তলব করে গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা করার জবাবদিহি চাইতে হবে; পাসপোর্টে পুনরায় ‘একসেপ্ট ইজরাইল’ কথাটি আনতে হবে; ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার অর্থের যোগানদাতা সকল পণ্য ও সেবাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বয়কট করতে হবে এবং তাদের দোসরদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে; ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ইসরায়েল থেকে আড়িপাতার যন্ত্রসহ কেনা অন্য যেসকল গোপন চুক্তি করেছে তা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করতে হবে এবং ইজরাইলের মতো একই বর্বর কায়দায় গণহত্যা চালানোর দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ