ভূঞাপুরের ইউএনওকে হুমকি দেওয়ায় আটক ১
Published: 6th, April 2025 GMT
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) তার কার্যালয়ে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রানা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ভূঞাপুর থানার ওসি একেএম রেজাউল করিম বলেন, “রানা নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।”
এলাকাবাসী জানান, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। আজ ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে আসেন অনেকেই কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য। এসময় যাত্রীদের কাছ থেকে কয়েকটি পরিবহন বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ ওঠে।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় আ.
নারায়ণগঞ্জে রিভলবারসহ কিশোর গ্রেপ্তার
অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলিশের সহায়তায় ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তারা প্রকাশ্যে ধূমপান, অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে কয়েকজন ব্যক্তি ও পরিবহনকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একদল শ্রমিক অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রানা ইউএনও’র কার্যালয়ে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন এবং ইউএনওকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে পুলিশে তাকে আটক করে।
ভূঞাপুরের ইউএনও মোছা. পপি খাতুন বলেন, “বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রানা নামের একজন উপজেলা কার্যালয়ে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন এবং আমাকে হুমকি দেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউএনও আটক অভ য গ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নাগরিক সুবিধা না থাকলেও করের বোঝা ২০ গুণ
‘প্রিয় পৌরবাসী, আমি যেহেতু পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, সেহেতু পৌরসভার সমস্যা সমাধানের দায়িত্বও আমার। কমেন্টসে পৌর এলাকার সমস্যাগুলো লিখতে থাকুন। সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
গত ১৫ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকে এমন পোস্ট করেছেন ঘাটাইল উপজেলার ইউএনও এবং পৌরসভার প্রশাসক আবু সাইদ। এতে ফেসবুক ব্যবহারকারী ৯৯ জনের মন্তব্যে উঠে এসেছে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার ৯ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এত সমস্যা এবং অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন না হলেও সম্প্রতি পৌর কর্তৃপক্ষ স্থাপনা ভেদে ২০ থেকে ৩০ গুণ বাড়িয়েছে পৌর কর, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ পৌরসভার বাসিন্দারা।
মন্তব্যকারীরা যেসব ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেছেন, তা হলো– ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা, যানজট, সড়কবাতি নষ্ট, মাদক, ফুটপাত দখলে থাকায় পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা, ভাঙা রাস্তা, মেইন রোডের অসমতল ঢালাই রাস্তা, ভাঙা রাস্তা মেরামতের অভাব ইত্যাদি।
এদিকে নানা সমস্যায় বছরের পর বছর পৌরবাসী ভোগান্তি পোহালেও চলতি মাসেই বাড়ানো হয়েছে ২০ থেকে ৩০ গুণ পর্যন্ত পৌর কর। পৌরসভার অ্যাসেসর আব্দুল কদ্দুস স্বাক্ষরিত নোটিশ এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ঘরে ঘরে, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ঘাটাইলের ইউএনও এবং পৌরসভার প্রশাসক আবু সাইদ সমকালকে বলেন, যে বাড়তি কর টানা হয়েছে, তা বিধি অনুযায়ী করা হয়েছে। একবারে যেন জনগণের ওপর করের বোঝা না পড়ে, এ জন্য দাবি পুনর্নির্ধারণের জন্য গঠন করা হয়েছে একটি কমিটি। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।