ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে কি না, সেই সিদ্ধান্ত হবে আগামী মঙ্গলবার। আজ রোববার দুপুরে এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৩ টাকা করে বাড়াতে চায় কোম্পানিগুলো। বিষয়টি গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। ১ এপ্রিল থেকেই তারা নতুন দর কার্যকর করতে চেয়েছিল।

বাণিজ্য উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আজ অনুষ্ঠিত বৈঠকে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খানের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ও ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রগুলো জানায়, কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়েছে, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত মাসে। দাম বাড়াতে চাওয়ার মূল কারণ এটাই। তবে রেয়াত সুবিধা বজায় থাকলে দাম বাড়াতে চান না তাঁরা।

এদিকে কর রেয়াতের সুবিধা বহাল রাখার বাস্তবতায় এনবিআর নেই বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ধারণা পেয়েছে। এ কারণেই এবারের রোজার মাঝামাঝি সময়ে ট্যারিফ কমিশন ভোজ্যতেলে আমদানি পর্যায়ের শুল্ক-কর রেয়াতের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ করে এনবিআরকে চিঠি দেয়। কিন্তু এনবিআর এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ থেকে ১৭৬ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮৪৫ থেকে ৮৫০ টাকা। আর এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৭ থেকে ১৬৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেলের দাম ১৪৪ থেকে ১৫০ টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ জ যত ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জুডিশিয়াল সার্ভিস এবং লেজিসলেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

ফিলিস্তিনের গাজা-রাফাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, বোমাবর্ষণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ লেজিসলেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের। পৃথক বিবৃতিতে সংগঠন দুটি এ নিন্দা জানায়।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম গতকাল সোমবার এক বিবৃতি দেন। সেখানে গাজায় আহত এবং বাস্তুচ্যুতদের জন্য মানবিক সহায়তার পাশাপাশি এই সংকটের অবসান ঘটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লিগসহ সব মানবাধিকার সংগঠনের প্রতি জোরালো আবেদন জানান তাঁরা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান এই আগ্রাসনে প্রায় হাজারো নিরীহ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যা মানবতার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও যুদ্ধবিধির সব নীতিকে পদদলিত করে ইসরায়েল ও তার মিত্ররা এই গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ বিশ্বসম্প্রদায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ লেজিসলেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাফায়েত হোসেনের সই করা অপর বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন একাত্মতা প্রকাশ করে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে নৃশংসতার জন্য দায়ী যুদ্ধাপরাধীদের আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কার্যকর ভূমিকা রাখতে বিশ্বনেতৃত্বকে আহ্বান জানায় অ্যাসোসিয়েশন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ