বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইসলামী ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা
Published: 6th, April 2025 GMT
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে অবশেষে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ বহিঃনিরীক্ষকের অডিটে বিভিন্ন অনিয়ম–জালিয়াতিতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রোববার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক দখল করে এস আলম গ্রুপ। বিভিন্ন উপায়ে শুধু এই ব্যাংক থেকে তারা ৯১ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে ব্যাংকের নিরীক্ষায়। এস আলম ইসলামী ব্যাংক দখলে নেওয়ার পর ব্যাংকটিতে প্রভাবশালী হয়ে উঠেন মনিরুল মওলা। দ্রুততার সঙ্গে তাকে পদোন্নতি দিয়ে প্রথমে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ব্যাংকটির পর্ষদের বেশির ভাগ সদস্য ও অধিকাংশ ডিএমডি পলাতক অবস্থায় আত্মগোপনে চলে যান। অদৃশ্য কারণে মনিরুল মওলা বহাল তবিয়তে ছিলেন।
ইসলামী ব্যাংকের একজন পরিচালক সমকালকে জানান, নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মনিরুল মওলাকে অপসারণের দাবি ছিল। তবে আমরা বহিঃনিরীক্ষকের অডিট রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এখন প্রতিবেদন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অডিট রিপোর্টে এস আলম গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি এবং নাবিল গ্রুপের ১৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মে তার সম্পৃক্ত পাওয়া গেছে। যে কারণে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে তাকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইসলামী ব্যাংক এক সময় দেশের সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছিল। এখন ‘দুর্বল’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পেছনে যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদের অন্যতম এই মুনিরুল মওলা। তার বাড়ি চট্টগ্রামে হওয়ার সুবাদে ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের দূরস্থার আসল চিত্র এতদিন আড়ালে ছিল। সরকার পতনের পর লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসছে। গত জুনের তুলনায় ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ চারগুণের বেশি বেড়ে ৩২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকায় ঠেকেছে। এক লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা ঋণের যা ২১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। গত জুন পর্যন্ত এক লাখ ৭৪ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিল ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। এস আলম, নাবিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেনামি ঋণ খেলাপি করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে দাঁড়াবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসল ম ব য ক ব ল দ শ ল ম ট ড ন র ল মওল এস আলম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কোন মিয়ানমার রোহিঙ্গা ফেরত নিতে চায়?
শুক্রবার খবরটা ‘ব্রেক’ হয়েছে খোদ প্রধান উপদেষ্টার দাপ্তরিক ফেসবুক পেইজে– মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার জনকে প্রত্যাবাসনযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা। আরও ৭০ হাজার জনের নাম ও ফটোগ্রাফ বাড়তি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অপেক্ষমাণ। ব্যাংককে বহুল আলোচিত বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার ‘হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ’ ড. খলিলুর রহমানকে বিষয়টি জানিয়েছেন মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শোয়ে। মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী এটিও নিশ্চিত করেছেন যে, তালিকাভুক্ত অবশিষ্ট ৫ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাইয়ের কাজটিও দ্রুততার সঙ্গে বিবেচিত হবে।
নিউজরুমের ব্যবস্থাপকরা যেভাবে বলে থাকেন, খবরটায় ‘কিছু প্রশ্ন’ রয়েছে। আমরা জানি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট’ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ২০১৮-২০ সালের মধ্যে ছয় দফায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছিল বাংলাদেশ। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনযোগ্য বিবেচিত হয়েছে কত জনের মধ্যে। ধরে নিচ্ছি, আড়াই লাখের মধ্যে; নিশ্চিত ১ লাখ ৮০ হাজার ও অধিকতর যাচাইযোগ্য ৭০ হাজার যোগ করে। বাকি সাড়ে পাঁচ লাখের মধ্যে আরও কতজন অধিকতর যাচাইযোগ্য হতে পারে? যারা অধিকতর যাচাইযোগ্য, তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কী?
চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা হবে। চুক্তির পরও বিভিন্ন দফায়, বিশেষত ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে আরও রোহিঙ্গা সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। আশ্রিত ও তাদের ঘরে জন্মানো মিলে বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমবেশি ১৪ লাখে পৌঁছেছে। যদি তালিকাভুক্ত ৮ লাখের সবাই প্রত্যাবাসনযোগ্য বিবেচিতও হয়, বাকি ৬ লাখের কী হবে?
এছাড়া, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হওয়ার সময়সীমাই বা কী? ২০১৭ সালের চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সূচিত হবে। গত সাড়ে সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি। যে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গার কথা ‘নিশ্চিত’ করা হয়েছে, তাদের
প্রত্যাবাসনও কবে শুরু বা শেষ হবে?
বড় প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিশ্রুতির সাড়ে সাত বছর পর এসে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চাইছে কোন ‘মিয়ানমার’? গত দেড় বছরে মিয়ানমার কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। যেমন, দেশটিতে সাতটি ‘স্টেট’ ও সাতটি ‘রিজিয়ন’ রয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশটির বৃহত্তম নৃগোষ্ঠী ‘বামার’ অধ্যুষিত বৃহত্তর প্রশাসনিক ইউনিটগুলো ‘রিজিয়ন’ নামে পরিচিত; যেমন– রেঙ্গুন রিজিয়ন, ইরাবতী রিজিয়ন, মান্দালয় রিজিয়ন। অন্যান্য বৃহত্তর নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চল ‘স্টেট’ নামে পরিচিত; যেমন রাখাইন স্টেট, চিন স্টেট, কাচেন স্টেট, কারেন স্টেট। স্টেট ও রিজিয়নের প্রশাসনিক গঠন অভিন্ন; পার্থক্য কেবল নৃগোষ্ঠীগত। গত দেড় বছরে স্টেটগুলো সব সংশ্লিষ্ট এলাকার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর দখলে চলে গেছে। এখন তারা চারদিক থেকে রিজিয়নগুলোতেও হামলা চালাচ্ছে।
যেমন বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাজ্য রাখাইন স্টেটের ৯০ শতাংশ এলাকা গত বছর ডিসেম্বর থেকে আরাকান আর্মির দখলে; বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অপর রাজ্য চিন স্টেটের পরিস্থিতিও তথৈবচ।
রাখাইনের অন্তত ৪টি টাউনশিপে জনসংখ্যার দিক থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সংখ্যাগুরু বা সমানে সমান ছিল: মংডু, বুথিডং, রাথিডং ও সিত্তয়ে বা প্রাচীন আকিয়াব বন্দর। এর বাইরে আরও চারটি টাউনশিপে, রাখাইন স্টেটের মিনবিয়া, ম্রাউক-উ, চ্যাকট্য এবং চিন স্টেটের পালেটওয়ায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোহিঙ্গা বসতি ছিল। এর মধ্যে সিত্তয়ে ছাড়া বাকিসব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসতিবহুল অঞ্চল এখন আরাকান আর্মির দখলে।
এটিও মনে রাখতে হবে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে গত সাড়ে সাত বছরে মিয়ানমার থেকে বারংবার প্রতিশ্রুতি এসেছে। সেটি প্রতিপালিত হয়নি। এমনকি রাখাইনে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা প্রদান এবং রোহিঙ্গাদের সীমান্তের দিকে ঠেলে না দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি ২০১৭ সালের চুক্তিতে তারা দিয়েছিল, সেটিও পরের মাস থেকে ভঙ্গ শুরু হয়েছিল। এখন এমন কী ঘটল যে, জান্তার প্রতিশ্রুতিতে ‘নিশ্চিত’ হওয়া যাবে?
তর্কের খাতিরে যদি মিয়ানমার জান্তার এবারের প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রাখাও যায়, প্রশ্ন ওঠে যে তারা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করবে কোথায়? রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু, বুথিডং, রাথিডং টাউনশিপ তো তাদের দখলে নেই, রাখাইন রাজ্যের বাকি অংশ থেকেও জান্তা নিজেই বিতাড়িত। নিজেই বিতাড়িত যে ভূমি থেকে, সেখানে আরেকজনকে প্রত্যাবাসনের নিশ্চয়তা দেওয়া বাংলা প্রবাদের ‘উড়ে খৈ গোবিন্দ নমঃ’ ছাড়া কিছু নয়।
এমনকি যে বিমসটেক সম্মেলনে মিয়ানমার জান্তা এই প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেখানে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্য সরকার বা এনইউজি। ওই সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্য জিন মার অং বলেছেন, ব্যাংকক সম্মেলনে জান্তার অংশগ্রহণ বিমসটেক সনদের লঙ্ঘন; কারণ তারা
মিয়ানমারের জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি নয় (ইরাবতী, ৪ এপ্রিল ২০২৫)।
এটি এখন মোটামুটি স্পষ্ট, বাকি মিয়ানমারে যাই ঘটুক, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনস্থল রাখাইন স্টেটে বর্তমানে ও আগামী কয়েক বছরে আরাকান আর্মিই প্রধান অনুঘটক। ইতোমধ্যে আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান নিজস্ব বেসামরিক সরকার ব্যবস্থাও চালু করেছে। মিয়ানমার বিশেষজ্ঞ ডেভিড স্কট মেথিয়েসন এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে সম্প্রতি এক নিবন্ধে বলেছেন যে, ২০২৫ সাল হতে যাচ্ছে রাখাইনের স্বাধীনতার বছর (ইরাবতী, ১৯ মার্চ ২০২৫)।
আরও আগে থেকে আমরা কিছু বিশ্লেষক বলে আসছি যে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় বরং আরাকান আর্মির সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া ভালো। আগ্রহীরা পড়ুন (‘স্বাধীন’ রাখাইন রাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ, সমকাল, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪)।
অন্তত রাখাইনের প্রশ্নে, মিয়ানমার জান্তা এখন মড়া ঘোড়া। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মতো জটিল, দীর্ঘমেয়াদি ও নাজুক ইস্যুতে বাংলাদেশ মড়া ঘোড়ার ওপর বাজি ধরবে কেন?
এটি ঠিক, রাখাইন পুরোটা দখলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের অধিকার ও প্রত্যাবর্তন বিষয়ে আরাকান আর্মি ইতিবাচক কথা বললেও এখন নানা যদি, কিন্তু, তবে সামনে আনছে। রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের জাতিগত দ্বন্দ্বের অনেক পুরোনো কথায় হাত দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও আরাকান আর্মির বিকল্প মিয়ানমারের জান্তা হতে পারে না। তাদের কথায় আশ্বস্ত হয়ে হাত-পা গুটিয়ে প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় থাকারও মানে নেই।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে এসে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে ‘হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর বদলে রাখাইনে যদি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা যায়, সেটি হবে সবচাইতে কার্যকর। সেজন্যও মিয়ানমারের জান্তা নয়; আরাকান আর্মির সঙ্গে আলোচনার বিকল্প নেই। এই কথা খুলে বলার কিছু নেই যে, আলোচনা ও দরকষাকষির ক্ষেত্রে হাতে নিজস্ব ‘কার্ড’ থাকতে হয়। বাংলাদেশের হাতে কার্ড যে একেবারে নেই, তা নয়; চাইলে এখনও খেলা সম্ভব বৈকি। তার বদলে মিয়ানমার জান্তার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা অসম্ভবের পায়ে মাথা কুটে মরার নামান্তর মাত্র।
শেখ রোকন: লেখক ও নদী-গবেষক
skrokon@gmail.com